জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে যায়নি বাম গণতান্ত্রিক জোট
Published: 5th, August 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে যায়নি বাম গণতান্ত্রিক জোট।
ঘোষণাপত্র পাঠ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রথম আলোর এক প্রশ্নের জবাবে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র নামে কী হচ্ছে, তা তো জানি না। ওটা নিয়ে তো কেউ আমার, আমাদের দল বা জোটের সঙ্গে কথা বলেনি।’
রুহিন হোসেন বলেন, ‘আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান তো এক দিনে হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। এটাকে এখন হাইজ্যাক করা হচ্ছে। আর ওই সময় আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশের দিকে তাকালে তো দেখা যায়, এরা গণ-অভ্যুত্থানকে “ক্ষমতা উপভোগ” আর “টাকা বানানোর মেশিনে” পরিণত করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করে তুলেছে, নিজেই আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভক্তির বীজ বপন করেছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে মন্তব্য করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনের দাবি জানান বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন।
আরও পড়ুনগণ–অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম গণত ন ত র ক জ ট অন ষ ঠ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বুড়িগঙ্গায় জবির ২০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে নৌকাডুবি
পুরান ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটা নৌকা ডুবে যায়। তবে সবাইকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে লালকুঠির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, “নৌকায় ২০ জন জবি শিক্ষার্থী ছিলেন। নৌকায় একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে শিক্ষার্থীরা সঙ্গে সঙ্গে নদীতে লাফ দেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সবাইকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সবাই নিরাপদে আছেন।”
জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাতে নৌকা ভ্রমণে বের হন। লালকুঠির ঘাট এলাকায় গেলে লঞ্চের ধাক্কায় তাদের নৌকাটি উল্টে যায়।
শিক্ষার্থী মোকছেদুল ইসলাম বলেন, “আমরা একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। চালক চেষ্টা করেও নৌকা সরাতে পারেননি। লঞ্চ ধাক্কা দিলে আমরা সবাই লাফ দেই। তবে আমরা সবাই নিরাপদে আছি। দুইজনের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে এবং কয়েকজনের ফোন নষ্ট হয়ে গেছে।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা