বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, ২০২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানের নায়ক ছিলেন সাধারণ ছাত্র-শ্রমিক-জনতা। এক বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছে না। বেকারত্ব বাড়ছে; প্রতি চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। এ অবস্থা পরিবর্তনে এ বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন।

সমাবেশে বাম জোটের নেতারা বলেন, গণ–অভ্যুত্থানে গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন সমাজের স্লোগান সামনে এলেও বৈষম্যমুক্তির পথ নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে না। বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের কথা হলেও কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচনসহ জনস্বার্থের বিষয় নিয়ে সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়নি। নারী অধিকার নিয়ে কথা হলেও এর বিরুদ্ধাচারণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

গণ–অভ্যুত্থানকে ব্যবহার করে দেশের রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সক্রিয় হয়েছে উল্লেখ করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, এরা মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করে এর অর্জন, ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছে ফেলতে চাইছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করে ফেলেছে। বিশেষ দল ও গোষ্ঠীর প্রতি তাদের পক্ষপাত দেখা যাচ্ছে।

গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর, বাসদের (মার্ক্সবাদী) প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।

সমাবেশ শেষে বাম জোটের নেতা–কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক জ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বুড়িগঙ্গায় জবির ২০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে নৌকাডুবি

পুরান ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটা নৌকা ডুবে যায়। তবে সবাইকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে লালকুঠির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, “নৌকায় ২০ জন জবি শিক্ষার্থী ছিলেন। নৌকায় একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে শিক্ষার্থীরা সঙ্গে সঙ্গে নদীতে লাফ দেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সবাইকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সবাই নিরাপদে আছেন।”

জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাতে নৌকা ভ্রমণে বের হন। লালকুঠির ঘাট এলাকায় গেলে লঞ্চের ধাক্কায় তাদের নৌকাটি উল্টে যায়।

শিক্ষার্থী মোকছেদুল ইসলাম বলেন, “আমরা একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। চালক চেষ্টা করেও নৌকা সরাতে পারেননি। লঞ্চ ধাক্কা দিলে আমরা সবাই লাফ দেই। তবে আমরা সবাই নিরাপদে আছি। দুইজনের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে এবং কয়েকজনের ফোন নষ্ট হয়ে গেছে।”

ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ