বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম উপকূলে একটি মাছ ধরার নৌযান ডুবে আট জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অন্য একটি নৌযানের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে সাগরে তল্লাশি চালাচ্ছে কোস্টগার্ড।

ডুবে যাওয়া নৌযানটিতে ১৯ জেলে ছিলেন, এর মধ্যে ৮ নিখোঁজ থাকলেও বাকি ১১ জনকে অদূরে থাকা একটি নৌকা উদ্ধার করে। নিখোঁজ জেলেদের সবাই নোয়াখালীর বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন আবুল বাশার, জামাল উদ্দিন, মো.

ফারুক ও মো. ইদ্রিস।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব আজ শুক্রবার বেলা একটায় প্রথম আলোকে বলেন, নৌযানের মালিক আজ সকালে বিষয়টি কোস্টগার্ডকে জানিয়েছেন। এরপর নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কোস্টগার্ড।

ডুবে যাওয়া নৌযানের মালিক মোহাম্মদ মিরাজ আজ বেলা দুইটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকালে চট্টগ্রাম নগরের ফিশারিঘাট এলাকা থেকে নৌযানটি গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। দুপুরে অন্য একটি মাছ ধরার নৌযানের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। নৌযানে থাকা ১১ জনকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় অন্য একটি নৌকা উদ্ধার করেছে, তবে এখন পর্যন্ত আটজনকে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে একটি বড় নৌকা নিয়ে গভীর সাগরে যাচ্ছেন বলেও জানান মোহাম্মদ মিরাজ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে বরিশালের সড়কে জুমার নামাজ আদায়

‘এই মুহূর্তে দরকার সারা দেশের স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংস্কার’  এই স্লোগানে দ্বাদশ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তারা জুমার নামাজ সড়কে আদায় করেছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদের গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারীরা।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, “বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসলে প্রতিটি ক্ষেত্রে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। প্রথমে রোগী নিয়ে আসার পর ট্রলি আনতে গেলে দিতে হয় ১০০ টাকা, নার্সদের দিতে হয় ১০০ টাকা, সিস্টারদের দিতে হয় ১০০ টাকা, আয়াকেও দিতে হয় ১০০ টাকা। রাত ১০টার পরে হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না।”

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে টিটিসি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

৭১ এর গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

“জরুরি বিভাগেরও একই অবস্থা। মাঝে মধ্যে জরুরি বিভাগে ডাক্তার পাওয়া গেলেও তাদের অবহেলায় রোগী ও তাদের স্বজনদের সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মূলত ইর্ন্টান চিকিৎসকদের ওপর ভরসা করে চলছে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা”, যোগ করেন তিনি।

মহিউদ্দিন রনি বলেন, “চিকিৎসকদের অবহেলায় প্রায় প্রতিনিয়ত রোগীদের প্রাণহানী ঘটছে। তেমনি হাসপাতালের স্টাফদের অর্থ বাণিজ্যের কারণে রোগীর স্বজনদের পকেট খালি হচ্ছে। এ অবস্থা দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের। এ কারণে স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের ভোগান্তি ও হয়রানির প্রতিবাদে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।”

আন্দোলকারীদের দাবি, স্বাস্থ্যখাতে বৈষম্য চলবে না, সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, শেবাচিমে জনদুর্ভোগ বন্ধ করতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ