বন্দরে দরজা ভেঙ্গে ২ সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 9th, August 2025 GMT
বন্দরে দরজা ভেঙ্গে দুই সন্তানের জননী নিপা রানী দাস (২৪) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বন্দর উপজেলার আমৈরস্থ শরীফ মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ি দরজা ভেঙ্গে ওই গৃহবধূ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
আত্মহত্যাকারী ২ সন্তানের জননী নিপা রানী দাস সুদূর কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার নয়া মোহাম্মদপুর এলাকার সদেব দাসের মেয়ে। আত্মহত্যাকারী গৃহবধূ পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে বন্দর থানা পুলিশ থানা চত্বর থেকে স্বামী অলক কুমার দাস (৩০) কে আটক করে।
আটককৃত স্বামী অলক কুমার দাস সুদূর ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার ভেলাবাস এলাকার অমৃত দাসের ছেলে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে আত্মহননকারি গৃহবধূ মা মাধবী রানী গনমাধ্যমকে জানান, গত ৮ বছর পূর্বে সুদূর ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার ভেলাবাস এলাকার অমৃত দাসের ছেলে অলক কুমার দাসের সাথে আমার মেয়ে নিপা রানী দাসের সামাজিক রীতিনীতি মেনেই বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে প্রদান করা হয়। তাদের সংসারে ৬ বছরের ১টি কন্যা ও ২ বছরের ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে স্বামী অলক কুমার দাস, তার পিতা অমৃত দাস ও দেবর বিশ্বজিৎ দাস বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে আমার মেয়ে গত শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যে কোন সময়ে উল্লেখিত ভাড়াটিয়া ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ী দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চান মনন
‘আপনার জীবনে দারুণ এক মুহূর্ত এটা। একটা পুরস্কার জিতলেন, যে পুরস্কার দাবার চৌকোনা বোর্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি’—কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলেন মনন রেজা। উত্তর দিলেন খুবই ছোট্ট করে, ‘জি।’
এরপর তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হলো গত বছর তাঁর অর্জন ও সাফল্যের কথা। ২০২৪ সালে জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদের ৪৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে হয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার। ওপর–নিচ মাথা ঝাঁকিয়ে এবার বললেন, ‘হুম।’
এসবই মনন করেছেন ১৫ বছরে পা রাখার আগে। এখনো তাঁর সামনে পুরো জীবন পড়ে আছে—দাবার বোর্ডে মনন আরও কত কী করবেন ভবিষ্যতের সেই জীবনে, এমন আলোচনা দেশের দাবার অঙ্গনে। সেই সম্ভাবনার কথা ভেবেই মননকে সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪–এর বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
মননের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী আর এখন কীই–বা চান?’ মনে হচ্ছিল, আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়া মনন নিশ্চয়ই গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্নের কথাই বলবেন, যেটা থেকে খুব বেশি দূরেও নন তিনি। কিন্তু মনন ওই প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘আমি তো অনেক কিছুই করতে চাই। কিন্তু চাইলেই তো আর পাওয়া যাবে না। এর জন্য পরিশ্রম করতে হবে। লাগবে অবকাঠামোগত সহযোগিতাও।’
মননের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, পাশে বসে ছিলেন অন্য এক খেলার বর্ষীয়ান এক ক্রীড়াবিদ। তিনি একটু অবাক হয়েই বলে উঠলেন, ‘ছেলেটা ওর বয়সের চেয়ে বড়!’
মনন রেজার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ২০০৪ সালের উদীয়মান রাসেল মাহমুদ জিমি