২৭ বছর আগে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা সিনাউল হককে গুলি করে খুনের মামলায় যুবলীগ নেতাসহ পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় দেন।

খালাস পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন যুবলীগ নেতা টিংকু দত্ত, সালাউদ্দিন, তছলিম উদ্দিন, শাহনেওয়াজ ও মো.

হোসেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ সাহেদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত রায়ের আদেশে পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালের ৬ জুলাই নগরের মেহেদীবাগ এলাকায় বিয়ের আসর থেকে বের হওয়ার পর সিনাউলক হককে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় তার বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ সাবেক কাউন্সিলর ও ওমরগণি এমইএস কলেজছাত্র সংসদের ভিপি ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আটজনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন। এর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ওয়াসিম উদ্দিনসহ তিন আসামির নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উদ দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জাবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাতজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আমেরিকার বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেটা রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টারের (মেট্রিকস) গবেষক জন পি.এ. ইয়োনিডিস গবেষণা প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে এ তালিকা এলসিভিয়ার জার্নালে প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন:

হাবিপ্রবিতে ঘুষের অভিযোগে দুদকের অভিযান

‎ বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

গবেষকদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ওই প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানীদের ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধ করে এ তালিকায় দুটি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। এর একটি হল পুরো পেশাগত জীবনের ওপর, আরেকটি শুধু ১ বছরের গবেষণা কর্মের ওপর।

বার্ষিক গবেষণা মূল্যায়ন ক্যাটাগরিতে তালিকায় স্থান পাওয়া জাবির সাত শিক্ষক হলেন-পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এসএম দিদার উল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এএ মামুন, ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির অধ্যাপক এম শামীম কায়সার, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ আল-জামান, মো. নূরুল ইসলাম এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. এনামুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন গবেষকের তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী হলেন, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইমফরমেটিক্স বিভাগের মোহাম্মদ এ. মামুন।

এ অর্জন প্রসঙ্গে অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, “আমি সত্যিই গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। এটি আমার টানা চতুর্থবারের স্বীকৃতি (২০২২, ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫)। এ অর্জন কেবল আমার একার প্রচেষ্টার ফল নয়, বরং আমার সহ-লেখক, শিক্ষার্থী এবং সহযোগীদের অমূল্য সমর্থনের প্রতিফলন।”

সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ আল-জামান বলেন, “স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র) এবং এলসেভিয়ার কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় আমি আসলেই কৃতজ্ঞ। প্রতি বছর জাবি থেকে কয়েকজনের নাম থাকে। তবে এবার তালিকায় আটজনের নাম এসেছে, যা সত্যি গর্বের বিষয়।”

স্ট্যানফোর্ড–এলসেভিয়ার টপ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকা হলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এক মানদণ্ড, যেখানে গবেষকদের অসাধারণ উদ্ধৃতি প্রভাব এবং দীর্ঘমেয়াদি একাডেমিক অবদানকে গুরুত্ব দিয়ে স্থান দেওয়া হয়। এলসেভিয়ার প্রতি বছর প্রায় ২ হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি এবং এর আর্কাইভে ৭০ লাখের বেশি প্রকাশনা রয়েছে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জাবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী