লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস ২০২৫ সালের জন্য ফ্রি অনলাইন কোর্স ঘোষণা করেছে। অনলাইন কোর্সগুলো অর্থনীতি, রাজনীতি, আইন, সমাজবিজ্ঞান, স্বাস্থ্যনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ফাইন্যান্সসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। ফ্রি অনলাইন কোর্সগুলো পেশাজীবী, প্রাথমিক এবং মধ্যবর্তী স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী। কোর্সগুলো নিজস্ব সময় অনুযায়ী সম্পন্ন করা যাবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে যোগাযোগ, গণিত, পরিসংখ্যান, হিসাববিজ্ঞান, ফাইন্যান্স, মানুষ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করতে পারবেন।

এই কোর্সগুলোয় অংশগ্রহণকারীরা নতুন দক্ষতা অর্জন, নিজের ক্ষেত্রের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ পাবেন। কোর্সগুলো অভিজ্ঞ অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত, যা উচ্চমানের শিক্ষার নিশ্চয়তা দেয়। সব কোর্স এডুএক্স (edX) প্ল্যাটফর্ম এবং শিক্ষার্থীরা অডিট কোর্স অপশনের মাধ্যমে বিনা মূল্যে অংশ নিতে পারেন। তবে যাঁরা সার্টিফিকেট নিতে চান, তাঁদের সামান্য ফি দিতে হবে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে পাচ্ছেন উচ্চতর স্কেল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের শর্তাবলি

বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত।

অধিকাংশ প্রাথমিক কোর্সের জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা আবশ্যক নয়।

ইন্টারনেট ও মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে কোর্সে অংশগ্রহণ করতে হবে।

কোনো বয়সসীমা নেই।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।

পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

ছবি: কবির হোসেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে হাফ ম্যারাথনে অংশ নিল ১০ বছরের শিশু, ছিলেন ৭৪ বছরের ‘দাদু’

‘আমি নিয়মিত দৌড়াই, এ জন্য সুস্থ্ আছি। দৌড়ালে ওষুধ খেতে হবে না। শরীর-মন সুস্থ রাখার জন্য এটিই প্রাকৃতিক ওষুধ’ বলছিলেন জমির হোসেন (৫৫)। দেশের যে প্রান্তেই ম্যারাথন হয়, জমির হোসেন অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

সুনামগঞ্জে আজ শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথনে অংশ নিয়ে ২১ কিলোমিটার দৌড়েছেন জমির হোসেন। তাঁর গ্রুপে (৪৫ বছরের বেশি) পেয়েছেন সেরার পুরস্কার। শুধু জমির হোসেন একা নন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাড়ে ৩০০ জন এই ম্যারাথনে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ১০ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭৪ বছর বয়সী বৃদ্ধও ছিলেন।

‘সুরমা রানার্স সুনামগঞ্জ’–এর উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো সুনামগঞ্জ শুক্রবার হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হলো। সকাল ছয়টায় পৌর শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে ম্যারাথন শুরু হয়। এতে দুটি ক্যাটাগরিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৩৫০ রানার (নারী-পুরুষ) অংশ নেন। ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার দুই ভাগে ম্যারাথন হয় সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নির্ধারিত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে স্বেচ্ছাসেবকেরা ম্যারাথনে অংশ নেওয়া লোকদের জন্য পানি, স্যালাইন, হালকা খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রয়োজনে তাঁদের কাছ থেকে সেগুলো নিচ্ছেন দৌড়ে অংশ নেওয়া লোকজন। জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা ও অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত আছে।

দৌড় শেষে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা জমির হোসেন বলছিলেন, ‘আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর দৌড়াই। এটা বহুদিন থেকে আমার অভ্যাস। আমি কোনো ওষুধ খাই না। এটিই (দৌড়) আমার ওষুধ।’

রাজবাড়ী থেকে আসা বিশ্বজিৎ রায় জানান, তিনি ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত দৌড়ান। দেশে এবং দেশের বাইরে একাধিক ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। এবার সুনামগঞ্জ ম্যারাথনে এসে ভালো লেগেছে জানিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম করতে হবে। দৌড়ানো চমৎকার ব্যায়াম। দৌড়ালে অসুখ হবে না, ওষুধ খেতে হবে না।’
চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে রাইয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যারাথনে অংশ নেন সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা মারুফ আহমদ মান্না। তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। মারুফ বলেন, ‘সুস্থ থাকাটা জরুরি। নিজের শহরে এত চমৎকার একটি আয়োজন হচ্ছে জেনে অংশ নিলাম।’

ঢাকা থেকে আসা ৭৪ বছর বয়সী খবির উদ্দিন খান ছিলেন ম্যারাথনের মূল আকর্ষণ। ম্যারাথনে অংশ নিতে আগের দিন তিনি চলে আসেন সুনামগঞ্জে। তাকে ঘিরে সবার ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। দেশে তো বটেই, দেশের বাইরে অনেক জায়গায় তিনি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। রানারদের কাছে তিনি ‘দাদু’ হিসেবে পরিচিত। সবাইকে জমিয়ে রাখেন। খবির উদ্দিন খান বলেন, ‘পরিমিত খান, নিয়মিত দৌড়ান, দেখবেন আপনি ভালো থাকবেন। নিজে ভালো থাকা এবং অন্যদের ভালো থাকতে উৎসাহ দিতেই ম্যারাথনে অংশ নিই। সুনামগঞ্জে প্রথম ম্যারাথনেও আমি অংশ নিয়েছিলাম।’

বিজয়ীদের অর্থ, সনদ, মেডেল, ক্রেস্টসহ নানা উপহার দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে সুনামগঞ্জ শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণের মুক্ত মঞ্চে

সম্পর্কিত নিবন্ধ