দীর্ঘ ২৮ বছর পর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। দলীয় ও স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনে ছাত্রসংগঠনগুলো তোড়জোড় শুরু করেছে।

প্রার্থিতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও চলছে নানা বিশ্লেষণ। সেই সঙ্গে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে।

সর্বশেষ শাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্মটি অচল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শাকসু নির্বাচন হতে পারে বলে ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই ছাত্রসংগঠনের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও নির্বাচনী তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামও শোনা যাচ্ছে।

বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বাম ঘরনা ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের জোট এবং শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেলের কথা ক্যাম্পাসে বেশি আলোচিত হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামও আলোচনায় আছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল গঠনে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই দাবিদাওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক নানা কার্যক্রম নিজস্ব উদ্যোগে শুরু করেছেন। তাঁদের অনেকে নিয়মিত প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব দাবিদাওয়া জানাচ্ছেন। দলীয়ভাবেও তাঁদের সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো প্রার্থী নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে প্যানেল গঠনে ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমঝোতার জন্য দফায় দফায় আলোচনা চলছে। নানা শর্ত ও শীর্ষপদগুলো নিয়ে তাঁদের মধ্যে চলছে দর–কষাকষি।

ছাত্রদল থেকে শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি রাহাত জামান, সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ও কাজী জুনেদ ওরফে জুনায়েদ হাসানের নাম বেশি আলোচনায় আছে। শীর্ষ তিন পদে তাঁরা নির্বাচন করতে পারেন বলে সংগঠনটির একাধিক নেতা-কর্মী আভাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন : ক্যাম্পাসে রাজনীতি চালুর পর ‘যৌক্তিক সময়’ চায় ছাত্রদল, পরে নির্বাচন২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, একাডেমিক ফলাফলে এগিয়ে, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিও আছে, প্যানেল গঠনে শীর্ষ পদগুলোতে এমন প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’

ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা নিয়মিতই ক্যাম্পাসে তৎপরতা চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক নানা কর্মসূচিতে বিভিন্ন ব্যানারে নিয়মিতই বিভিন্ন উদ্যোগ নিতেও তাঁদের দেখা যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভিপি পদে নির্বাচন করতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন শিশির। ইতিমধ্যে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন উদ্যোগে তাঁকে সরব থাকতে দেখা গেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল গঠনে তাঁকে সামনে রাখা হতে পারে। এ ছাড়া শীর্ষপদগুলোতে আরও আলোচনায় আছেন সংগঠনটির শাবিপ্রবির শাখার দপ্তর সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম ও সাহিত্য সম্পাদক শাকিল মাহমুদ প্রমুখ।

শাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল গঠনে আমরা চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যাঁদের অবদান আছে এবং স্ব–স্ব ক্ষেত্রে দক্ষ ও যোগ্য, তাঁদের নিয়েই প্যানেল গঠনের চিন্তা আছে। শাকসুতে যাতে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়, সে চেষ্টা করছি।’

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শাকসু নির্বাচন হতে পারে বলে ঘোষণা দেন।

মাঠে আছে অন্যান্য সংগঠনও

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন–সমর্থিত একটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেবে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে ক্যাম্পাসে নির্বাচনকেন্দ্রিক এখনো তাদের তেমন কোনো তৎপরতা শুরু হয়নি। এ সংগঠন থেকে ভিপি পদে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজনীন লিজা, জিএস পদে সংগঠক জুবায়ের আহমেদ জুয়েল এবং এজিএস পদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেনের নাম আলোচনায় আছে। নাজনীন লিজা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের পর আমরা প্যানেল গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’

এদিকে ইসলামী ছাত্র মজলিসের পক্ষ থেকেও একক প্যানেল দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। সংগঠনটির সাবেক প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ ভিপি পদে, বর্তমান সভাপতি জুনায়েদ আহমেদ জিএস পদে, সহযোগী সদস্য কামরুজ্জামান মিয়া এজিএস পদে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের একক প্যানেল দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে অন্য ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আলোচনা চলছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের চেষ্টা চলছে। ছাত্রদলের সঙ্গেও ওই অংশের আলোচনা চলছে। স্বতন্ত্র এই প্যানেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক পলাশ বখতিয়ার, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম বিল্লাহ, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন শীর্ষ পদগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আসতে পারেন। ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তাঁদের সমর্থন দিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চায়, সবার স্বাধীন মতামত থাকবে, সবকিছু অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে। যারা ক্যাম্পাসভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়, তাই তারা গুরুত্ব পাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে।’

আরও পড়ুনশাহজালালে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে: উপাচার্য১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের চেষ্টা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবির সাবেক সমন্বয়ক ও পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মো.

মমিনুর রশীদ শুভ। নিজে ভিপি পদে থেকে বাকি পদগুলোতে প্রার্থী দিতে তিনি শিক্ষার্থীদের একত্র করছেন। মমিনুর রশীদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী হিসেবে নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করুক। একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হোক। প্যানেল গঠনে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিচ্ছি।’

এ ছাড়া কোনো ধরনের প্যানেল ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে ভিপি পদে অর্থনীতি বিভাাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমানসহ কয়েকজনের নাম আলোচনায় আছে।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন সামনে রেখে একাধিক শর্তে ছাত্ররাজনীতি চালুর সুপারিশ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বতন ত র প য ন ল র স ব ক সমন বয়ক প য ন ল গঠন র স প ট ম বর শ ব প রব স গঠন র ছ ত রদল আহম দ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন

আজ মহালয়া। সনাতন ধর্মের ভাষ্যমতে, দিনটি পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনার প্রতীক। মহালয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় তাঁদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেন, তাঁদের শান্তি কামনা করেন এবং একই সঙ্গে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানান।

মহালয়াকে কেবল আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান নয়; বরং সনাতনী সমাজের সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং সামাজিক সংহতির এক গভীর প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। ভোরের আলো আর শিশিরসিক্ত প্রভাতে এ মহালয়ার আচার আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রত্যেক প্রজন্মকে অতীতের শিক্ষার আলো ধরে সমাজের নৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রতিবছরের মতো এবারও ভক্তি, সংস্কৃতি ও সামাজিক সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্র হিসেবে উদ্‌যাপিত হবে। এ উৎসবের মর্যাদা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র, সম্প্রদায় ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত দায়িত্ব।

দুঃখজনক হলেও সত্য, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অশুভ চক্র সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে প্রতিমা ভাঙচুরের মাধ্যমে অনৈতিক প্ররোচনা সৃষ্টি করছে। গত কয়েক দিনে কুষ্টিয়া, গাজীপুরসহ কয়েকটি জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে, যেটি উদ্বেগজনক। এ কর্মকাণ্ড শুধু ধর্মীয় অনুভূতিকে আহত করে না; বরং সমাজের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংহতিতেও ক্ষতি করে। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের ৫টি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৪টি জেলাকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ নামের একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম। তাই দুর্গাপূজায় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়াই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৎপরতা এ প্রেক্ষাপটে বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। কমিশনারের নেতৃত্বে ডিএমপি ইতিমধ্যে ২৫৮টি মণ্ডপে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে। এতে অন্তর্ভুক্ত আছে মণ্ডপভিত্তিক পাহারা, পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক তৎপরতা, সিসিটিভি স্থাপন, অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রতিরোধে নজরদারি। এটি প্রমাণ করে, সামাজিক ন্যায় ও আইনশৃঙ্খলার অটল ভিত্তি রক্ষায় রাষ্ট্র সচেতন ও সংবেদনশীল ভূমিকা গ্রহণ করছে।

একইভাবে সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার মণ্ডপে নিরাপত্তার আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত পুলিশি পাহারা, সিসিটিভি নজরদারি, অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা, জরুরি সেবা সংযোগ ও দর্শনার্থীদের সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। তবে সরকারের একক তৎপরতা যথেষ্ট নয়, স্থানীয় কমিউনিটি, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ এবং সাধারণ নাগরিকদের সচেতন অংশগ্রহণ সমানভাবে অপরিহার্য। প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রম এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

দার্শনিকভাবে ভাবলে দুর্গাপূজা কেবল দেবীর আরাধনা নয়, এটি মানবসমাজের নৈতিক সংহতি ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যের এক জীবন্ত প্রতীক। প্রতিমা ভাঙচুর বা অশুভ প্ররোচনার বিরুদ্ধে সক্রিয় তৎপরতা মানে কেবল আইন রক্ষা নয়; বরং সমাজের নৈতিক ক্ষেত্রও রক্ষা করা। নাগরিকের সচেতনতা ও রাষ্ট্রের সংহত তত্ত্বাবধানের সমন্বয় নিশ্চিত করলে উৎসবের মর্যাদা ও সামাজিক সম্প্রীতি অটুট থাকবে।

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব সুস্পষ্ট। সেটি হলো কেউ যেন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পবিত্রতা বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সূক্ষ্ম সূত্রকে বিপন্ন করতে না পারে। রাষ্ট্রের নীতি ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত কার্যক্রম যদি জনগণের সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার সঙ্গে মিলিত হয়, তবেই আমরা দেখতে পাব উৎসবমুখর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজার চিত্র। তখন এটি কেবল ধর্মীয় উৎসবের মহিমা বহন করবে না; বরং মানবসমাজের নৈতিক সংহতি, সাংস্কৃতিক ঐক্য ও সামাজিক সুষমতার স্থায়ী প্রতীক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় নির্মানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতি
  • দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন