আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের রাজনীতি থেকে সরে এসে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। 

তিনি বলেন, “যারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের রাজনীতি করবে তারা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে এবং যারাই এটা করবে তাদের রাজনীতির জন্য কাল হবে। আমাদের এখন দরকার বাংলাদেশ পুনর্গঠন প্রশ্নে একমত হওয়া, আওয়ামী পুনর্বাসন প্রশ্নে নয়।"

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বাংলামোটরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। 

বিস্তারিত আসছে.

..

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নেত্রকোনায় কৃষক নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলার বাদী ও তাঁর পরিবারকে আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বাদীর পরিবার। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাদী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দিয়েছেন।

নূর মোহাম্মদ (৩৫) সদর উপজেলার জামাটি গ্রামের বাসিন্দা। গত ৩০ আগস্ট আধিপত্য বিস্তার ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মামলার এজাহার, লিখিত অভিযোগ ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌগাতি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপিকর্মী দোজাহান মিয়ার (৫২) সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশ কয়েকজনের বিরোধ চলছিল। গত ৩০ আগস্ট রাতে জেলা বিএনপির সম্মেলন থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌগাতি বাজারের কাছে দোজাহান মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর দোজাহানের প্রতিবেশী মাতু মিয়া (৫৫) লোকজন নিয়ে জামাটি গ্রামের রফিক মিয়ার বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় রফিকের ভাতিজা নূর মোহাম্মদ ও তাঁর পরিবার বাধা দিলে হামলাকারীদের আঘাতে নূর মোহাম্মদ, রফিক মিয়াসহ কয়েকজন আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক নূর মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন।

দোজাহান মিয়ার স্ত্রী জসোমা আক্তার ৩ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরদিন নূর মোহাম্মদ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা মোফাজ্জল মাতু মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত দুই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নূর মোহাম্মদের বাবার দাবি, মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষের লোকজন তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ নিয়ে আজ জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। শেষে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

অভিযোগের বিষয়ে মামলার দুই আসামি দাবি করেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে কোনো হুমকিও দেননি।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ