কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 23rd, September 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (কুকসু) নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ পথনকশা ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, কুকসুর পথনকশা ঘোষণা না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপণ করছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত প্রশাসন ভবনের সামনে ‘কুকসু প্রতিষ্ঠা আন্দোলন’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
২০০৬ সালের ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ গত ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে কুকসু গঠনের প্রস্তাব ও সুপারিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় কমিটিকে।
অবস্থান কর্মসূচিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন কুকসু নির্বাচনের দাবি করে আসছি। প্রশাসন শুধু কালক্ষেপণ করছে। আজকের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অন্তর্ভুক্ত করে আগামী সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে দ্রুত কুকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে কুকসু নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া ও অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য কুকসু দরকার। বিগত দিনে কোনো সরকারই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা চায়নি। তবে আমরা এবার কুকসু চাই। দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আইনে ছাত্র সংসদের বিধান নেই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও একই বিধান। তবে ছাত্র সংসদের বিষয়টি তারা তাদের আইনে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে, ইউজিসিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছি। এ ছাড়া আমাদের পাঁচ সদস্যের কমিটি ইতিমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। সেটি নিয়ে আগামীকাল সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত বা পরবর্তী কার্যক্রম গৃহীত হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পেশীর শক্তি বাড়াতে যেসব খাবার খেতে পারেন
পেশী হল অত্যন্ত বিশেষায়িত সংকোচনশীল কোষ। যা পানি এবং এক-পঞ্চমাংশ প্রোটিন দিয়ে তৈরি। তাই পেশীর আকার ঠিক রাখতে এবং পেশী মেরামত করতে, নিয়মিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
পেশীর শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রোটিন, শর্করা এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার অপরিহার্য। এই উপাদানগুলো পেশী মেরামত এবং গঠনে সহায়তা করে, পাশাপাশি শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। কোন কোন খাবার পেশীর শক্তি বাড়াতে সহায়তা দিতে পারে, চলুন জানা যাক।
মুরগির মাংস
একশো গ্রাম মুরগির মাংস শরীরে ত্রিশ গ্রাম প্রোটিন এবং চার গ্রাম চর্বি সরবরাহ করতে পারে। যার কারণে অনেক ক্রীড়াবিদ নিয়মিত তাদের খাবার তালিকায় মুরগির মাংস অন্তর্ভুক্ত করেন। আপনিও খাবারে মুরগির মাংস যোগ করতে পারেন।
ডিম
ডিমে উচ্চ মানের প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং বি ভিটামিন রয়েছে। যা পেশী গঠনে সহায়তা করে।
মাছ
স্যামন এবং টুনা মাছ প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেশীর ব্যথা কমাতে এবং পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
দই
দইতে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ব্যায়ামের পরে পেশী পুনরুদ্ধার এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। দইতে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যা একটি বিশেষ ধরণের চর্বি।
ডাল এবং বিনস
মটরশুঁটি, মসুর ডাল এবং অন্যান্য ডাল উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন এবং ফাইবারের ভালো উৎস।
টোফু
সয়াবিন থেকে তৈরি টোফু নিরামিষাশীদের জন্য প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
সূত্র: ফিচারফিট
ঢাকা/লিপি