মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রারের বিচারসহ দুই দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রেজিস্ট্রার অফিসে প্রবেশ করেন এবং তাকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। 

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন পেছানোয় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি

এ সময় তারা উপাচার্য বরাবর দুই দফা দাবি পেশ করে আল্টিমেটাম দেন। দাবিগুলো হলো- জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বিরোধিতাকারী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রারের বিচারের জন্য কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অফিসে তালা খোলা হবে না, তবে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় অফিস কার্যক্রম চলতে থাকবে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ‘মাকসু’ গঠনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে শিক্ষার্থী বাস ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

পরে আবার বেশকিছু শিক্ষার্থী গিয়ে তালা খুলে দেন।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, “আমরা পরপর দুইবার রেজিস্ট্রার অফিসে আবেদন জমা দিয়েছি। তারপরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি কিছু শিক্ষক তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চারদিন আগে রেজিস্ট্রারকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিচারের জন্য তিনদিন সময় দিয়েছিলাম। তবু ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা বাধ্য হয়েই এ কর্মসূচি পালন করছি।”

আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর ইসলাম তামিম বলেন, “মাকসু গঠনের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে গেলে তারা শুধু কালক্ষেপণ করছেন। আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে যদি রোডম্যাপ ঘোষণা না হয় তাহলে শিক্ষার্থী বাস ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল যান চলাচল বন্ধ থাকবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, “এ বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন আছে। শিক্ষকরাও কাজ করে যাচ্ছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে মাকসু যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নেই, তাই সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছি।”

এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রারকে সাময়িক বহিষ্কার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন। সেখানে রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন অপকর্ম ও অনিয়মের অভিযোগও উল্লেখ করেন তারা।

পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সব সংগঠনকে তাদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকা/কাওছার/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বুড়িগঙ্গায় জবির ২০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে নৌকাডুবি

পুরান ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটা নৌকা ডুবে যায়। তবে সবাইকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে লালকুঠির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, “নৌকায় ২০ জন জবি শিক্ষার্থী ছিলেন। নৌকায় একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে শিক্ষার্থীরা সঙ্গে সঙ্গে নদীতে লাফ দেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সবাইকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সবাই নিরাপদে আছেন।”

জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাতে নৌকা ভ্রমণে বের হন। লালকুঠির ঘাট এলাকায় গেলে লঞ্চের ধাক্কায় তাদের নৌকাটি উল্টে যায়।

শিক্ষার্থী মোকছেদুল ইসলাম বলেন, “আমরা একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। চালক চেষ্টা করেও নৌকা সরাতে পারেননি। লঞ্চ ধাক্কা দিলে আমরা সবাই লাফ দেই। তবে আমরা সবাই নিরাপদে আছি। দুইজনের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে এবং কয়েকজনের ফোন নষ্ট হয়ে গেছে।”

ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ