বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ মা হতে চলেছেন। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বলিপাড়ায় ফিসফাঁস শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে ক্যাট নিজেই জানালেন সুখবরটি। গতকাল মঙ্গলবার এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি মা হতে যাওয়ার খবর ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর সাধারণ মানুষ থেকে বিনোদনজগতের অনেকে ভিকি কৌশল-ক্যাটরিনা কাইফকে অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তবে বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার একটু অন্যভাবে এই বিটাউন দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বলিউডের মিস্টার খিলাড়ির এই পোস্ট নেট দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে আড়ম্বরের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ। তার পর থেকে এই বিটাউন দম্পতির বাবা-মা হতে যাওয়ার খবর নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে যায়। মাঝেমধ্যেই এ নিয়ে নানান গুঞ্জন শোনা যেত।

বিশেষ করে ক্যাটরিনাকে ঢিলেঢালা পোশাকে দেখা গেলেই তাঁর মা হতে যাওয়ার গুঞ্জন আরও যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠত। গতকাল ক্যাটের এক পোস্ট সব জল্পনাকল্পনায় ইতি টেনেছে। তারকা দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছেন যে তাঁদের ঘর আলো করে নতুন অতিথি আসছে। গতকাল দুপুরে ইনস্টাগ্রামে বেবি বাম্পের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাট জানিয়েছেন যে তিনি মা হতে চলেছেন। পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্যাটের বেবি বাম্প, সঙ্গে ভিকির মিষ্টি উপস্থিতি। আর ছবিতে দুজনের পরনের সাদা পোশাক আরও স্নিগ্ধতা ছড়িয়েছে। বিটাউন দম্পতি ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আনন্দ আর কৃতজ্ঞতায় ভরা হৃদয় নিয়ে জীবনের সেরা অধ্যায় শুরু করছি।’

আরও পড়ুনমা হতে চলেছেন, জানালেন ক্যাটরিনা নিজেই২২ ঘণ্টা আগেঅক্ষয় কুমার। এএফপি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাহানারা ইমামের বই বিক্রি: বাংলা একাডেমির বক্তব্য এবং প্রতিবেদকের ব্যাখ্যা

সংগ্রহশালায় দেওয়া শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই বিক্রি করা নিয়ে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।

তাতে দাবি করা হয়েছে, প্রতিবেদনে কিছু ‘আংশিক সত্য’ উপস্থাপন করা হয়েছে; কিছু অংশ এমনভাবে হাইলাইট করা হয়েছে, যাতে পাঠক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বেন।

৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘জাহানারা ইমামের দেওয়া বই বিক্রি করেছে বাংলা একাডেমি, এখন দাম হাঁকা হচ্ছে লাখ টাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদন নিয়ে ৯ নভেম্বর একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম ‘বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগারের জাহানারা ইমাম সংগ্রহের বই–সম্পর্কিত বিতর্ক বিষয়ে বাংলা একাডেমির বক্তব্য’ পাঠান।

‘অনলাইনে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম এবং হাইলাইটস ব্যাপকভাবে টেমপ্লেট আকারে প্রচারিত হয়েছে’ জানিয়ে লিখিত এই বক্তব্যে বলা হয়, এটি বহুজনের মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠার কারণে বাংলা একাডেমি শুধু সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রে বক্তব্য না পাঠিয়ে সাধারণ বিবৃতি আকারে দিয়েছে।

বই বিক্রির ব্যাখ্যায় বাংলা একাডেমির বক্তব্যে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মজুত থাকা কয়েক হাজার বই ও অন্য কাগজপত্র গত ২৫ জুন থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিধি অনুযায়ী নিলামে বিক্রি করা হয়। কারণ, মজুত রাখার ঘরটি সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে গিয়েছিল।

কয়েক বছর আগে থেকে জাহানারা ইমামসহ অন্যদের দেওয়া বইগুলো যেভাবে ছিল, ঠিক সেভাবেই আছে জানিয়ে বাংলা একাডেমি বলেছে, এ বিষয়ে কোনো নতুন কমিটি গঠিত হয়নি বা সংগ্রহশালা পুনর্মূল্যায়নের কোনো ঘটনাও ঘটেনি। অন্তত এক দশক ধরে জমা হওয়া পরিত্যক্ত বইগুলোই কেবল বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত এক বছরে নতুন যুক্ত হয়েছে কেবল গত বছরের বইমেলায় প্রাপ্ত মানহীন ও পরিত্যক্ত ঘোষিত বইগুলো।

জাহানারা ইমামকে নিজের সংশপ্তক বইটি উপহার দিয়েছিলেন শহীদুল্লা কায়সার, তা এখন ফেসবুক পেজে বিক্রির তালিকায় উঠেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ