Prothomalo:
2025-10-02@22:36:23 GMT

ঢাকার নিরাপদ পানিসংকট

Published: 26th, September 2025 GMT

ঢাকার মতো বড় শহরের জন্য নিরাপদ পানি একটি মৌলিক চাহিদা। কিন্তু বাস্তবে সরকারি ও স্থানীয় পানি সরবরাহ প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এটি জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায় না। নতুন টিউবওয়েল বা পাইপলাইনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ প্রায়ই সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয় না। অনেক এলাকায় পাইপলাইন অর্ধেকভাবে স্থাপন হওয়ায় পানি সরবরাহ অমসৃণ ও অনিয়মিত থাকে।

পানিনিষ্কাশনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি আরও স্পষ্ট। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার প্রকল্পের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও প্লাবনের ঘটনা বারবার ঘটছে, যা জনজীবনকে বিপন্ন করার পাশাপাশি শহরের সম্পদও নষ্ট করছে।

পানি বিশুদ্ধকরণের ক্ষেত্রে অনিয়মও কম নয়। কম খরচের উপকরণ ব্যবহারের ফলে সরবরাহকৃত পানি পুরোপুরি বিশুদ্ধ হয় না। ফলে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ শহরের বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ার মতো। নাগরিকেরা নিরাপদ পানি না পেয়ে বিকল্প উৎসের দিকে ঝুঁকছেন—যেমন অবৈধ সংযোগ, অপরিচ্ছন্ন হ্যান্ডপাম্প বা পুকুরের পানি।

শহরের পানিসংকট দীর্ঘমেয়াদি ও মারাত্মক আকার ধারণ না করার আগে নিরাপদ পানির স্বচ্ছতা, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক অংশগ্রহণ একসঙ্গে কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি।

মালিহা মেহনাজ

শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র পদ প ন শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি

চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।

এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।

আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।

বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।

এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।

এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতটি জেলার উপকরণে তৈরি হয়েছে গুলশান-বনানীর পূজামণ্ডপ
  • বাংলাদেশে কফি–সংস্কৃতি প্রসারে ‘আমা কফি’
  • রাজশাহীতে আইনি ব্যবস্থা নিন
  • বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ৩ প্যাকেজ ঘোষণা
  • চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি