টাঙ্গাইলে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনের মূল পাইপ ফেটে ১২ ঘণ্টা ধরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন গ্রাহকরা।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। আর আগে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর এলাকায় গ্যাসের লাইন ফেটে আগুন ধরে যাওয়ায় সরবরাহ বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ৷

এদিকে, গ্যাস পাইপের ওপর পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় সদর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় দুই লাখ গ্রাহক দিনভর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া, ১৫টি স্টেশন এবং মির্জাপুর শিল্প অঞ্চলের ৩৫টি প্রতিষ্ঠানেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

গাজীপুরের চন্দ্রা তিতাস গ্যাস অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম বলেন, ‘‘আমাদের টিম কাজ করছে। বিদ্যুতের পিলার সরানোর পর গ্যাসের পাইপ লাইনের লোকেশন বের করতে হবে৷ এরপর বোঝা যাবে লাইন চালু হতে কত সময় লাগবে। তবে, বিকল্প পদ্ধতিতে টাঙ্গাইল শহরে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷’’

টাঙ্গাইলের তিতাস গ্যাস অফিসের সহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী মুন্না বলেন, ‘‘টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর উপজেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্যাস লাইন মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।’’

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি

চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।

এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।

আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।

বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।

এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।

এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশে কফি–সংস্কৃতি প্রসারে ‘আমা কফি’
  • রাজশাহীতে আইনি ব্যবস্থা নিন
  • বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ৩ প্যাকেজ ঘোষণা
  • চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি