সাতক্ষীরায় ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: ২ জন গ্রেপ্তার, টাকা উদ্ধার
Published: 20th, January 2025 GMT
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক (২৬) এবং ভোমরার লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত আনারউদ্দিনের ছেলে আলিমুদ্দিন (৪২)।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুনিরুল ইসলাম জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর ভোমরার ব্যবসায়ী আমির হামজার দুজন কর্মচারী তার ব্যবসায়িক ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে ভোমরায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আলীপুরে কতিপয় দুর্বৃত্ত কর্মচারীদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা মেহেদী হাসান মুন্না নামে ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়। মুন্না আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ডিবি পুলিশ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদরের কাশিমপুর গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছে থাকা ছিনতাইকৃত অর্থের ৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আসামি আলিমুদ্দিনকে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলার আসামি আরাফাত আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধারের তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫