খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরীর আড়াংঘাটা থানা এলাকার লতার বাইপাস মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার পশ্চিমবিল পাবলা এলাকার নির্মল সেনের ছেলে পুস্পেন সেন ও প্রভাস মন্ডলের ছেলে সৌরভ মন্ডল। আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার মিত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘‘গত রাতে দুই যুবক মোটরসাইকেলযোগে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। পরে আবার খুলনা থেকে আফিলগেটগামী একটি পিকআপ ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই পুস্পেন সেনের মৃত্যু হয়। আহতাবস্থায় সৌরভ মন্ডলকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’’

আরো পড়ুন:

ঘন কুয়াশা: রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে ৬ গাড়ি

সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ১০৪ তম জন্মদিন আজ

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ১০৪তম জন্মদিন আজ। অসাধারণ সব চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। তাঁর সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’ অস্কারসহ দুনিয়াব্যাপি খ্যাতি লাভ করে। 

সত্যজিৎ রায় মোট ৩৭ টি ছবি পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- অপরাজিত, পরশপাথর, জলসাঘর, অপুর সংসার, দেবী, তিনকন্যা, কাঞ্চনজঙ্ঘা, অভিযান, মহানগর, চারুলতা, গুপী গাইন বাঘা বাইন, হীরক রাজার দেশে, অরণ্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, জয়বাবা ফেলুনাথ, সোনার কেল্লা, ঘরে-বাইরে, গণশত্রু, শাখা-প্রশাখা, আগন্তুক। এসব চলচ্চিত্র অনেকেরই অনেকবার করে দেখা। 

চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরেও তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সংগীত পরিচালক, কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক্স নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক। সব কিছুতেই রয়েছে তার উজ্জল অবদান। প্রতিটি বিষয়েই তার প্রতিভাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। 

১৯২১ সালের ২ মে তাঁর জন্ম কলকাতায় হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তার ছিল আত্মিক সম্পর্ক। সত্যজিৎ রায়ের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার বড় মসুয়া গ্রামের অধিবাসী। 

তার পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর জন্ম বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে।  উপেন্দ্রকিশোর ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে তৎকালীন প্রবেশিকা বা ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তিও পেয়েছিলেন। তারপর কলকাতায় গিয়ে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে। তিনি কলকাতায় চলে গেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তার যোগাযোগ থেকেই যায়। সেই সূত্রে সত্যজিৎ রায়ের বাবা সুকুমার রায়ের বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো। সত্যজিৎ রায়ের জন্মের ছয় বছর আগে মারা যান উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী, আর মাত্র আড়াই বছর বয়সে বাবাকে হারান সত্যজিৎ। তারপরও বাংলাদেশের সঙ্গে ছেদ পড়েনি তাদের। কারণ তার মামার বাড়ি ছিল ঢাকার ওয়ারীর র‍্যাংকিং স্ট্রিটে।

ঢাকার প্রথম আবাসিক এলাকা ছিল ওয়ারী। ছোটবেলায় দু-তিন দিন ঢাকায় ছিলেন সত্যজিৎ রায়। তখন তার বয়স মাত্র পাঁচ বা ছয় বছর। সত্যজিৎ রায়ের সেটাই ছিল সর্বপ্রথম ঢাকায় আসা। তিনি পরবর্তী বার যখন ঢাকায় এলেন তখন হয়ে উঠেছেন বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, গুণী সাহিত্যিক। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তখন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। সত্যজিৎ রায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয় ১৯৭২ সালের শহীদ দিবস উপলক্ষে। স্বাধীন বাংলাদেশে সে বছরই প্রথম পালিত হয় শহীদ দিবস। সত্যজিৎ রায়সহ ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী, সাহিত্যিক, পরিচালকরা ঢাকায় আসেন ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।

বাংলা সাহিত্যে সত্যজিৎ রায় একটা বড় জায়গা দখল করে আছেন। বিশেষ করে শিশুতোষ গোয়েন্দা কাহিনী ফেলুনাথ সিরিজ ছেলে-বুড়ো সবার প্রিয়। এছাড়া বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কুও দারুণ পাঠকপ্রিয়। তিনি একাধিক ছোট গল্প লিখেছেন।

১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন এই মহান চলচ্চিত্রকার। 

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ