নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২০১৩ এবং ২০২১ সালের সহিংসতার মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারকে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের মহাসমাবেশ থেকে এ আলটিমেটাম দিয়েছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটি। 

এক যুগ পর ঢাকায় সমাবেশ করে হেফাজত ঘোষণা করে, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। হেফাজত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মহাসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করাসহ ১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নায়েবে আমির মাহফুজুল হক।

২০১০ সালে আহমদ শফীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক হেফাজত ২০১৩ সালে আলোচনায় আসে আল্লাহ, রাসুল (সা.

) এবং ইসলাম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ সাজাসহ ১৩ দফা দাবিতে রাজপথে নেমে। বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতারাও যুক্ত হন হেফাজতের নেতৃত্বে। 

ওই বছরের ৫ মে সংগঠনটি ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকার শাপলা চত্বরে সমাবেশের পর অবস্থান নেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো উচ্ছেদ অভিযানে সরকারি হিসাবেই ৫৮ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অতিথি করার প্রতিবাদে ফের আন্দোলনে নামে হেফাজত। তখন সরকারি হিসাবে ২১ জন নিহত হন। ২০১৩ এবং ২০২১ সালে হেফাজতের নেতাকর্মী এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ২৪০টি মামলা হয়।

মামলা প্রত্যাহারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালেই আলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন হেফাজত নেতারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও একই দাবি জানিয়ে আসছে। শাপলা গণহত্যার বিচার এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৮ মার্চ চট্টগ্রামে সভা করে হেফাজত নেতারা ঘোষণা করেন, ৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন।

গত ১৯ এপ্রিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর একে কোরআনবিরোধী আখ্যা দিয়ে আগের দুই দাবির সঙ্গে নারী কমিশন বাতিলের দাবি যোগ করে হেফাজত। চতুর্থ দাবি হলো, ফিলিস্তিন এবং ভারতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ করা। 

এ চার দাবিতে গতকাল সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতের মহাসমাবেশ শুরু হয়। তবে ফজরের পর থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী জমায়েত হন। সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীর ভিড়ে ভোর থেকে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশকারীরা শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন এবং রমনা পার্কেও অবস্থান নেন। সমাবেশে আগতদের বড় অংশই ছিল কিশোর মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। হেফাজত নেতারা দাবি করেছেন, ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষের জমায়েত হয়েছে।

হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, দাবি আদায়ে আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, প্রয়োজনে জিহাদ করব।

হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর মোনাজাতের মাধ্যমে দুপুর সোয়া ১টায় মহাসমাবেশ শেষ হয়। তিনি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদের আমলের মিথ্যা মামলা তুলে নিতে নেতারা ড. ইউনূসের সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতের মামলা প্রত্যাহার না হয়, তাহলে যা করতে হয় তাই করবে হেফাজত।

মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণের অপতৎপরতা প্রতিহতের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, চব্বিশের জুলাইয়ের স্বাধীনতার পর বলতে চাই, দিল্লির দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করতে নয়। 

নারীবিষয়ক সংস্কারের প্রতিবেদনে কোরআন, ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে অভিযোগ করে মামুনুল বলেন, ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের বৈষম্যের প্রধান কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে কমিশন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রদান করেছে।

আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনের জন্য কেউ জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন দেয়নি। হেফাজতে ইসলাম নারীবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ড. ইউনূস সরকারের প্রতি প্রশ্ন করতে চাই, কেন অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করছেন? প্রয়োজনীয় সংস্কার করুন, অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করবেন না। 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সরকারের উদ্দেশে বলেন, এই সংস্কার আমাদের দেশের বড় সংস্কার, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কোনো কিন্তু অথবা নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে যেসব আপত্তি উদ্বেগ এসেছে, তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেখুন।

তিনি আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কিছুদিন আগে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নাকি আওয়ামী লীগের। আপনি ভুলে যাবেন না, আমরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, নির্বাচনে আসবে কি না, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। 

জৌনপুরের সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে আলেম-ওলামাদের জঙ্গি তকমা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছিল। তাদের মুক্তির আগে সংস্কার, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের যুদ্ধে ঠেলে দেবেন না।

মহাসমাবেশে বিপুল জমায়েত ঘটাতে হেফাজত নেতারা গত এক মাস জেলা জেলায় যান। ময়মনসিংহ থেকে আসা জামিয়া নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ২১ বছর বয়সী দিদারুল আমিন সমকালকে জানান, ১০০ বাসে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ সমাবেশে এসেছেন। তাঁর হেফাজতের পদপদবি নেই। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিচারের দাবিতে এসেছেন। সেবার শাপলা চত্বরে তাঁর মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিলেন। পরে র‌্যাব লাশ গুম করে, যা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মহাসমাবেশ থেকে নারী সংস্কারের নামে ইসলামবিদ্বেষী প্রস্তাবনা বাতিল, জাতীয় নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনার বিচার, তার আগে পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করা, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য বর্জন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ভিনদেশিদের অপতৎপরতা বন্ধ ও কাদিয়ানীদের তৎপরতা নিষিদ্ধ করাসহ ১২ দফা ঘোষণা পাঠ করা হয়।

হেফাজতের নায়েবে আমির আহমদ আবদুল কাদের, যুগ্ম মহাসচিব হারুন ইজহার, ঢাকা মহানগর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তৃতা দেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ষ দ ধ কর ন ত কর ম সরক র র ত হয় ছ ইসল ম আওয় ম ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

ছাত্র আন্দোলনের ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

সোমবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা দিবস আছে, বিজয় দিবস আছে, কিন্তু আমাদের মুক্তি ঘটেনি। তাই ঐতিকহাসিক ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে। এ ছাড়াও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার আগে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।”

আরো পড়ুন:

বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান

নিরাপদ খাদ্য দিবস শনিবার: ‘নিরাপদ খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি কমায়’

তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মৌলিক সংস্কার এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না করে দেশে যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘গাদ্দার’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই সনদে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের নিরিখে বৈষম্যবিরোধী ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা উপধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সাংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত এবং লিঙ্গের ন্যায্য শরিকানা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে বলা হবে- আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান সম্পল্প করেছি।”

সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চ ১৩টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে, যা জুলাই সনদের কার্যকর প্রয়োগ ও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে।

প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করা সব শহীদকে রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করতে হবে;  যেসব জুলাই যোদ্ধার স্থায়ী অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচন বাতিল করে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এছাড়া ফ্যাসিবাদী আমলের সকল মন্ত্রী, এমপি ও দোষী আমলাসহ রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ জব্দ করে তা শহীদ ও আহতদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে; দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষায় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে দেশি-বিদেশি অপশক্তি চিহ্নিত করতে হবে; রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার করতে হবে যাতে ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরতান্ত্রিকতা কখনও ফিরে না আসে; ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে।

বাকি দাবিগুলো হলো- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে; সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত ও লিঙ্গের ন্যায্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই সনদের ভাষাগত দুর্ব্যবহার পরিহার করে জনসাধারণের জন্য সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে এবং সনদ চূড়ান্ত করার পূর্বে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

আগামী ২৫ জুনের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করা না হলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে ‘লাল মার্চ’ করার ঘোষণাও দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রুথ কমিশন গঠনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: আইন মন্ত্রণালয়
  • সিপিএলে সাকিব
  • মাউশির সামনে দ্বিতীয়দিনের মত অবস্থান নিয়োগপ্রত্যাশীদের
  • গাজা ইস্যুতে বিবিসির কপটতা বিশ্বব্যবস্থারই প্রতিফলন 
  • জুলাই ঘোষণাপত্র, সনদ ও বিচারের দাবিতে কাল জেলা-উপজেলায় এনসিপির কর্মসূচি
  • ঋণে জর্জরিত ৫ কোম্পানিতে বিএসইসির নজরদারি, কমিটি গঠন
  • শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি
  • মিরাজ নেই, টস জিতে ব‌্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
  • ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের