মাইক্রোসফটের কোডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সত্য নাদেলা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে অনুষ্ঠিত ‘লামাকন’ এআই ডেভেলপার সম্মেলনে সত্য নাদেলা জানান, বর্তমানে মাইক্রোসফটে থাকা মোট কোডের ২০ থেকে ৩০ শতাংশই এআই দিয়ে লেখা হয়েছে।

সম্মেলনে সত্য নাদেলা বলেন, ‘আমার ধারণা, আমাদের রেপোজিটরিতে থাকা কোডের প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ এআই দিয়ে লেখা হয়েছে। এমন কিছু প্রকল্পও আছে, যেগুলোর পুরোটাই এআই বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। সফটওয়্যার উন্নয়নে এআইয়ের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে এ নির্ভরতা আরও বাড়বে।’

সম্মেলনে মেটার কোডিং ব্যবস্থায় এআইয়ের ব্যবহারসংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, বর্তমানে সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও আগামী এক বছরের মধ্যেই মেটার সফটওয়্যার উন্নয়নের অর্ধেক কাজ এআইয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। জাকারবার্গ বলেন, ‘আমাদের ধারণা, আগামী বছরে মানুষের তুলনায় এআইয়ের মাধ্যমে বেশি উন্নয়ন হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ হার আরও বাড়বে।’

সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি খাতে এআই দিয়ে কোড লেখার প্রবণতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। এপ্রিলে গুগলের প্রথম প্রান্তিকের আয়সংক্রান্ত আলোচনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই জানিয়েছিলেন, গুগলের নতুন কোডের প্রায় ৩০ শতাংশ এখন এআই দিয়ে লেখা হচ্ছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এআই দ য় এআইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

এআই টুল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যারের নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত করল গুগল

নিজেদের তৈরি ‘বিগ স্লিপ’ এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) টুল ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে থাকা ২০টি নিরাপত্তা ত্রুটি সফলভাবে শনাক্ত করেছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তাবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হিদার অ্যাডকিনস জানিয়েছেন, গুগলের তৈরি বিগ স্লিপ এআই টুলটি মূলত লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম)–নির্ভর একটি স্বয়ংক্রিয় ত্রুটি শনাক্তকারী ব্যবস্থা। প্রথম দফায় টুলটির মাধ্যমে বিভিন্ন ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে থাকা ত্রুটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে এখনো ত্রুটিগুলোর সমাধান না হওয়ায় বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

গুগলের তথ্যমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সফটওয়্যারে বাস্তব ত্রুটি শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রযুক্তির অগ্রগতিতে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এ বিষয়ে গুগলের মুখপাত্র কিম্বারলি সামরা এক বিবৃতিতে জানান, প্রতিটি ত্রুটি মানুষের সহায়তা ছাড়াই এআই টুল নিজেই শনাক্ত করেছে। তবে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে গুগলের এক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ত্রুটিগুলো যাচাই করে দেখেছেন, যাতে প্রতিবেদনটি যথার্থ হয়। গুগলের প্রকৌশল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রয়্যাল হ্যানসেন এক্সে লিখেছেন, ‘এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত করার এই চেষ্টা এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।’

গুগলের তৈরি বিগ স্লিপ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি এআই টুল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যারের ত্রুটি শনাক্ত করতে পারে, যার মধ্যে রানসিবিল ও এক্সবা অন্যতম। তবে এসব টুল এখনো পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠেনি। এমনকি গুগলের বিগ স্লিপেও নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্তের পর তা যাচাইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে হয়।

এআই টুল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যারের নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্তে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ডেভেলপার অভিযোগ করেছেন, অনেক সময় এআই টুলগুলো থেকে যেসব ত্রুটির কথা বলা হয়, সেগুলোর সব কটি সত্য নয়। এ বিষয়ে ডেভেলপার ভ্লাদ আয়োনেস্কু বলেন, ‘এটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক রিপোর্ট প্রথম দেখায় খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, কিন্তু বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেগুলোর পেছনে আসলে কোনো বাস্তব ত্রুটি নেই।’

সূত্র: টেক ক্রাঞ্চ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআই টুল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যারের নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত করল গুগল