বরাদ্দকৃত ট্রেনের দাবিতে নোয়াখালীতে ছাত্র জনতার রেলপথ অবরোধ
Published: 4th, May 2025 GMT
ঢাকা-নোয়াখালী রুটে বরাদ্দকৃত নতুন ট্রেন সুবর্ণচর এক্সপ্রেস দ্রুত চালুর দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে নোয়াখালীতে।
রবিবার (৪ মে) সকাল ৬টা থেকে মাইজদী কোর্ট স্টেশনে সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের ব্যানারে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা রেললাইনে অবস্থান নেন। এতে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক মো.
অবরোধে অংশ নেওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার অন্যতম সংগঠক নাহিদা সুলতানা ইতু বলেন, “আমরা বহুদিন ধরে এই ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। অথচ কোনো অজানা কারণে ট্রেন চালু করা হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছি। ১০ দিনের মধ্যে কোনো আশ্বাস না পেলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।”
আনিসুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, “আমরা দাবির পক্ষে একমত, তবে ভোগান্তির মধ্যে আছি। জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছি। কিন্তু এখানেই অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। বারবার আশ্বাস নয় আমরা সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চাই।”
আকিল উদ্দিন নামে আরেকজন বলেন, “২০২৩ সালে সুবর্ণচর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এখনো এটি রহস্যজনক কারণে চালু হয়নি। আমরা নোয়াখালীবাসী চাই দ্রুত এই নতুন ট্রেন চালু হোক। ছাত্রদের দাবীর সাথে আমরা সাধারণ জনতা একমত। তবে দাবী আদায় করকে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। জনসাধারণ যাতে হয়রানী বা ভোগান্তিতে না পরে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”
মাইজদী কোর্ট স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “৬টায় ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অবরোধের কারণে ছেড়ে যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে। সব শেষ দেঢ় ঘণ্টা পর সাড়ে সাতটায় অবরোধ তুলে নিলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।”
ঢাকা/সুজন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্র গঠনে মৌলিক জায়গায় সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “ঐকমত্যের বিষয়ে আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গায় আমাদের একমত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
রবিবার (৪ মে) রাজধানীর সংসদ ভবনের এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে ১২ দলীয় জোটের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আলোচনার সূচনায় বলেন, “শুধু এই টেবিলে বসে, এখানে আলোচনা করে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছাতে পারব, এটা আমি মনে করিনা। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কেবল কমিশনেরও নয়, বরং রাজনৈতিক দল, সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ঐকমত্য কমিশন এক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে।”
তিনি আরো বলেন, “যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, শুধুমাত্র সেগুলোর উপর ভিত্তি করেই একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে৷ এজন্য প্রতিটা পক্ষকেই কিছু ছাড় দেওয়ার মানসিকতাও রাখতে হবে।”
আলোচনায় ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তাফা জামাল হায়দার এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলে আরো শাহাদাত হোসেন সেলিম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, রাশেদ প্রধান, লায়ন ফারুক রহমান, শামসুদ্দিন পারভেজ, মাওলানা আব্দুল রাকিব, আবুল কাশেম, ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন এবং এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ১২ দলীয় জোটসহ এ পর্যন্ত ২৪টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
ঢাকা/এএএম/টিপু