বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে সর্বশেষ আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান, ২০২৩ সালের মার্চে। দুই বছরের বেশি সময় পর আবারও এই পুরস্কার আসতে পারে বাংলাদেশের ঘরে।

মেহেদী হাসান মিরাজ যে আইসিসির এপ্রিলের সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনীত হয়েছেন! পুরস্কারটা জিততে হলে মিরাজকে দুই পেসার জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে পেছনে ফেলতে হবে। আগামী সোমবার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে আইসিসি।

এপ্রিলে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১–১ এ ড্র করেছে বাংলাদেশ। সিলেটে জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্ট জিতলেও চট্টগ্রামে শেষ টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ, তিন দিনেই ম্যাচ জিতে নেয় ইনিংস ব্যবধানে।

তাতে বড় অবদান ছিল মিরাজের। ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার একই দিনে সেঞ্চুরি করেন ও ৫ উইকেট নেন। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৩৮.

৬৬ গড়ে করেন ১১৬ রান, ১১.৮৬ গড়ে উইকেট শিকার করেন ১৫টি। সিরিজসেরার পুরস্কারও ওঠে তাঁর হাতে।

সেই সিরিজেই বল হাতে ঝলক দেখান ব্লেসিং মুজারাবানি। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই পেসার দুই টেস্ট মিলিয়ে নেন ১০ উইকেট। এর ৯টিই সিলেটে, যা চার বছর পর জিম্বাবুয়েকে টেস্ট জেতাতে সহায়তা করে। সিলেট টেস্টে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও মুজারাবানির হাতে ওঠে।

আরেক দীর্ঘদেহী পেসার বেন সিয়ার্স গত মাসে আলো ছড়িয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। নিজেদের মাঠে বাবর–রিজওয়ানদের ৩–০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে কিউইরা।

সিয়ার্স প্রথম ওয়ানডেতে খেলেননি। তবে শেষ দুই ওয়ানডেতে সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান, পাঁচটি–পাঁচটি করে নেন ১০ উইকেট।  

২০২১ সাল থেকে মাসসেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করে আসছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির একটি স্বাধীন ভোটিং একাডেমি সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করে। প্যানেলে আছেন সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও ক্রীড়া সাংবাদিক। এ ছাড়া দর্শকেরাও আইসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে মনোনীত তিন খেলোয়াড়ের একজনকে ভোট দিতে পারেন।

নারী–পুরুষ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার চারবার আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন। ২০২১ সালের মে মাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার জেতেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব জিতেছেন দুবার—২০২১ সালের জুলাইয়ের পর ২০২৩ সালের মার্চে। আর একমাত্র বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে নাহিদা আক্তার মাসসেরা স্বীকৃতি পেয়েছেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ক র আইস স র উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের নিট মুনাফা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে

বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড অতিক্রম করলেও নিট মুনাফায় বড় ধাক্কা খেয়েছে। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে ৪৭৩ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮০২ কোটি টাকা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

ব্যাংকটি সূত্রে জানা গেছে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০২৪ সালে ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। ওই বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা ছিল ৮০২ কোটি টাকা; যা ছিল দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে গত বছরে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছে ৪৭৩ কোটি টাকা।

ব্যাংকটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যে জানিয়েছে, ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করায় মুনাফা কমে গেছে; যা ভবিষ্যতে ব্যাংকটির স্বাস্থ্য উন্নতি করতে ভূমিকা রাখবে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন প্রথম আলোকে বলেন, এবার পরিচালন মুনাফা অনেক হলেও চাহিদামতো ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতের ঝুঁকি চিন্তা করে ব্যাংকের ভিত্তি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য মুনাফা কমে গেছে। তবে শেয়ারধারীদের ঠিকই ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইতালির জার্সি পরেই ফেলেছিলাম: রাফিনহা 
  • বিদেশে শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যয় পরিশোধ আরও সহজ হলো
  • রুয়েটের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এনসিপির মিছিলে কর্মকর্তা
  • নোবিপ্রবিতে ৪ বছরে স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন ৫৭৩৪ শিক্ষার্থী
  • ‘ভারতের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছি না, তবে প্রস্তুত থাকতে হবে’
  • ফিজিওথেরাপি কোর্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ২০২১ সালে এসএসসি পাসেও আবেদন
  • পেপ্যাল কি আসবে বাংলাদেশে
  • আ.লীগ নিষিদ্ধ, নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ ১২ দফা
  • ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের নিট মুনাফা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে