অভিবাসী পরিবারের সন্তান কে এই নতুন পোপ চতুর্দশ লিও, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন
Published: 9th, May 2025 GMT
সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জার বারান্দা থেকে তাঁর নাম ঘোষণার আগেই নিচে জড়ো হওয়া জনতা ‘ভিভা ইল পাপা’—‘পোপ দীর্ঘজীবী হোন’—স্লোগানে মুখর ছিল। নতুন পোপ হিসেবে নাম ঘোষণার পর ৬৯ বছর বয়সী রবার্ট প্রেভোস্ট এখন সেন্ট পিটার্সের রাজত্বের ২৬৭তম উত্তরসূরি। তিনি পোপ চতুর্দশ লিও নামে পরিচিত হবেন।
পোপ হিসেবে রবার্ট প্রেভোস্ট প্রথম মার্কিনি। যদিও তাঁকে লাতিন আমেরিকার কার্ডিনাল বলেই মূলত গণ্য করা হয়। কারণ, পেরুতে বিশপ হওয়ার আগে বহু বছর সেখানে একজন মিশনারি হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
১৯৫৫ সালে শিকাগো শহরে স্প্যানিশ ও ফ্রেঞ্চ-ইতালীয় বংশোদ্ভূত মা–বাবার ঘরে জন্মগ্রহণকারী প্রেভোস্ট ছোটবেলায় গির্জায় ‘আল্টার বয়’ (যে পুরোহিতের সহকারী হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে রোমান ক্যাথলিক চার্চে) হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৯৮২ সালে যাজক হিসেবে অভিষিক্ত হন। তিন বছর পর পেরুতে চলে গেলেও নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে নিজ শহরে যাজক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
প্রেভোস্টের জাতীয়তা পেরুভীয়। পেরুর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কাজ করা ও তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তার জন্য শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করা হয়। তিনি পেরুর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রুজিলো শহরে ১০ বছর একজন প্যারিশ যাজক ও সেমিনারির শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
পোপ লিও চতুর্দশ হিসেবে প্রথম বক্তৃতায় প্রেভোস্ট তাঁর পূর্বসূরি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কানে এখনো ধ্বনিত হচ্ছে পোপ ফ্রান্সিসের দুর্বল কিন্তু সব সময়ের সাহসী কণ্ঠস্বর, যিনি আমাদের আশীর্বাদ করেছিলেন।’
১৯৫৫ সালে শিকাগো শহরে স্প্যানিশ ও ফ্রেঞ্চ-ইতালীয় বংশোদ্ভূত মা–বাবার ঘরে জন্মগ্রহণকারী প্রেভোস্ট ছোটবেলায় গির্জায় ‘আল্টার বয়’ (যে পুরোহিতের সহকারী হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে রোমান ক্যাথলিক চার্চে) হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৯৮২ সালে যাজক হিসেবে অভিষিক্ত হন। তিন বছর পর পেরুতে চলে গেলেও নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে নিজ শহরে যাজক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।নতুন পোপ আরও বলেন, ‘ঈশ্বরের সঙ্গে (আমরা যেন) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলি। আসুন, আমরা একসঙ্গে সামনে চলি।’ অগাস্টিনীয় সম্প্রদায়ে নিজের ভূমিকার কথাও এ সময় উল্লেখ করেন পোপ। জানান, মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি অগাস্টিনীয় মিশনের অংশ হিসেবে পেরুতে যান
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৪ সালে প্রেভোস্টকে পেরুর চিকলাইও-এর বিশপ নিয়োগ দেন। তিনি লাতিন আমেরিকায় বিশপ নিয়োগ ও তাঁদের তত্ত্বাবধানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ‘ডিক্যাস্টারি ফর বিশপস’–এ শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা রাখেন। এ দায়িত্বের কারণে তিনি অনেক কার্ডিনালের কাছেই পরিচিত মুখ
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চতুর্দশ লিও আর্চবিশপ হন এবং কয়েক মাসের মধ্যে পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে কার্ডিনাল নিযুক্ত করেন।
যেহেতু নতুন পোপ নির্বাচনে অনুষ্ঠিত কনক্লেভে (গোপন বৈঠকে) অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশ কার্ডিনালই পোপ ফ্রান্সিস কর্তৃক নিযুক্ত, তাই প্রেভোস্টের মতো কাউকে নির্বাচিত করা অবাক করার মতো ঘটনা নয়।
পোপ লিওর মতাদর্শপোপ চতুর্দশ লিও পূর্বসূরি ফ্রান্সিসের সংস্কারনীতি অব্যাহত রাখবেন কি না, তা দেখতে তাঁর প্রাথমিক বক্তব্য ও পদক্ষেপের ওপর নজর রাখা হবে। ধারণা করা হয়, প্রেভোস্ট অভিবাসী, দরিদ্র ও পরিবেশ নিয়ে ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত।
আমি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মালেও আমার দাদা–দাদি ও নানা-নানি ছিলেন অভিবাসী-ফরাসি, স্প্যানিশ…আমি একটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছি। আমার মা-বাবা দুজনই গির্জার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন।রবার্ট প্রেভোস্ট, নতুন নির্বাচিত পোপপ্রেভোস্টের সাবেক রুমমেট রেভারেন্ড জন লাইডন বিবিসিকে বলেন, ‘প্রেভোস্ট মিশুক, বাস্তবধর্মী ও দরিদ্রদের নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেন।’
ব্যক্তিগত জীবনের পটভূমি সম্পর্কে নতুন পোপ ইতালীয় চ্যানেল রাইকে বলেছিলেন, তিনি একটি অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে বেড়ে উঠেছেন। বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মালেও আমার দাদা–দাদি ও নানা-নানি ছিলেন অভিবাসী—ফরাসি, স্প্যানিশ…আমি একটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছি। আমার মা-বাবা দুজনই গির্জার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন।’
প্রেভোস্ট যদিও একজন মার্কিনি, তিনি ক্যাথলিক গির্জার ভেতরের বিভক্তি সম্পর্কে সচেতন। এদিকে তাঁর লাতিন আমেরিকান পটভূমি আর্জেন্টিনার পোপ ফ্রান্সিসের পরও একটি ধারাবাহিকতা তৈরি করেছে। ভ্যাটিকান তাঁকে আমেরিকার (উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা) দ্বিতীয় ও অগাস্টিনীয় প্রথম পোপ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
প্রেভোস্ট পেরুতে থাকার সময় গির্জায় যৌন কেলেঙ্কারির ছায়া এড়াতে পারেননি। যদিও তাঁর ডায়োসিস (বিশপের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা) কোনো গোপন চেষ্টায় তাঁর জড়িত থাকার কথা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।
কনক্লেভ শুরুর আগে ভ্যাটিকানের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি বলেছিলেন, কার্ডিনালদের আলোচনায় উঠে এসেছে, এমন একজন পোপের প্রয়োজন, যিনি ‘ভবিষ্যদ্বাণীর চেতনার অধিকারী এবং যিনি গির্জাকে একঘরে করে না রেখে বিশ্বে আলো ছড়াতে কাজ করতে পারেন।’
আর ‘লিও’ নামটি বেছে নিয়ে প্রেভোস্ট সামাজিক সচেতনতার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার সংকেত দিয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের মত।
রক্ষণশীল কার্ডিনালদের একটি অংশ মনে করে, নতুন পোপ হয়তো ফ্রান্সিসের তুলনায় এলজিবিটিদের প্রতি কম সহানুভূতিশীল হবেন।
গত বছর জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রেভোস্ট বলেছিলেন, ‘কথা নয়, এখন সময় কাজ করার। প্রকৃতির ওপর কর্তৃত্ব যেন অত্যাচারে পরিণত না হয়।’ পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুননতুন পোপ চতুর্দশ লিও৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক জ করত ন বল ছ ল ন নত ন প প আম র ক ক জ কর পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েত থেকে হুইলচেয়ারে ফিরছেন কর্মক্ষমতা হারানো প্রবাসীরা
পরিবার ও নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বছরের পর বছর প্রবাসে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। কিন্তু অনেক সময়ই কঠোর পরিশ্রম আর অসাবধানতার কারণে তাদের ভাগ্যের চাকা উল্টো পথে ঘুরতে শুরু করে
শারীরিক অসুস্থতা তাদের জীবনের গতি থামিয়ে দেয়। তখন তাদের সামনে দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
সম্প্রতি কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের চেক-ইন কাউন্টারে এমন করুণ দৃশ্যই দেখা গেছে। একই ফ্লাইটে অন্তত ১০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী হুইল চেয়ারে করে দেশে ফিরছেন। তাদের কেউ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, কেউ স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন, আবার কেউ দীর্ঘদিনের অসুস্থতায় একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
আরো পড়ুন:
নীলফামারীতে ৫ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে সম্মাননা
জুলাইয়ের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স ২৩৬ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা তুলনামূলক কম পারিশ্রমিকে কাজ করেন। অসুস্থ হলে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় অনেকে ছোটখাটো অসুস্থতা এড়িয়ে যান।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কুয়েতের সভাপতি আব্দুল হাই মামুন জানান, এই উপেক্ষা একসময় বড় আকার ধারণ করে, যা তাদের একেবারেই কর্মহীন করে দেয়। তখন তাদের দেশে ফেরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। এই অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরতে বাধ্য হওয়া প্রবাসীরা শুধু যে উপার্জনের পথ হারান তা-ই নয়, জমানো টাকাও চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়ে যায়।
নরসিংদীর হাসান উল্লাহ প্রায় অন্ধ হয়েই কুয়েত ছেড়েছেন। আর টাঙ্গাইলের ইয়ার হোসেন স্ট্রোক করে দেশে ফিরছেন। ১৩ বছর প্রবাসজীবন শেষে অসুস্থ শরীরে দেশে ফিরছেন কুমিল্লার নাহিদ ইসলাম। এই প্রবাসীরা দেশে ফিরে সুস্থ জীবনের স্বপ্ন দেখলেও, তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক।
বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, শারীরিকভাবে অসুস্থ কোনো যাত্রীর সঙ্গে একজন সহযোগী থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে হুইল চেয়ারে ফেরা এসব প্রবাসীর পক্ষে তা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান একজন দৃষ্টিহীন প্রবাসী যাত্রীকে ঢাকা যাওয়ার সুযোগ করে দেন।
প্রবাসী হাসান উল্লাহ একেবারেই চোখে দেখতে না পাওয়ায় তার ফ্লাইটে ওঠা নিয়ে একটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বিমান কর্তৃপক্ষের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন কোনো যাত্রীকে একা ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয় না। কারণ এতে তার নিরাপত্তা ও ফ্লাইটের অন্যান্য যাত্রীদের জন্য কিছু ঝুঁকি থাকতে পারে।
মোহাম্মদ শাহজাহান এই নিয়ম সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং হাসান উল্লাহকে ফ্লাইটে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তবে তিনি শুধু নিয়মের গণ্ডিতে আটকে থাকেননি। মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি একটি সমাধান খুঁজে বের করেন।
তিনি ঢাকা যাচ্ছেন এমন একজন যাত্রীকে খুঁজে বের করেন। ওই যাত্রী স্বেচ্ছায় হাসান উল্লাহকে সহযোগিতা করতে রাজি হন। এই সহযাত্রীর সহায়তায় হাসান উল্লাহ নিরাপদে ঢাকা যাওয়ার সুযোগ পান।
মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিয়ম-বহির্ভূত কোনো কাজ করতে পারেন না। কিন্তু অনেক সময় মানবিক দিক বিবেচনা করে তারা সাধ্যমতো বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতা করে থাকেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ বিমানের চেক-ইন কাউন্টারের প্রতিনিধি পলাশ মোহাম্মদ মানবিক কারণে অনেক অসুস্থ প্রবাসীকে অন্য যাত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন।
পলাশ মোহাম্মদ জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭ জন বাংলাদেশি হুইলচেয়ারে করে কুয়েত ছাড়েন। এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সেবা দিতে পেরে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করেন।
আমিরাত এয়ারলাইন্সের কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বোর্ডিং গেট ও চেক-ইন কাউন্টারের জুনিয়র কর্মকর্তা সেলিম মিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, আমিরাত এয়ারলাইন্স এর চেক-ইন কাউন্টার দিয়ে হুইল চেয়ার ব্যবহার করে কুয়েত ত্যাগ করছেন এমন প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ছে।
সেলিম মিয়া ব্যক্তিগতভাবে অসুস্থ যাত্রীদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকেন। তার মতে, প্রবাসীদের নিজেদের শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি আরো সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি এ বিষয়ে সচেতনতা না বাড়ে, তাহলে ভবিষ্যতে হুইল চেয়ার ব্যবহার করে দেশে ফিরে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে। এই বোর্ডের কাছে অসুস্থ হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীদের জন্য আর্থিক সহায়তার দাবি উঠেছে।
জনপ্রিয় সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুস ছালেহ দাবি করেন, সরকার যেন এই অসুস্থ প্রবাসীদের কমপক্ষে ১ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা দেয়।
সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক মহসিন পারভেজ জানান, তিনি নিজের খরচে অনেক অসুস্থ প্রবাসীকে দেশে পাঠিয়েছেন। অসুস্থ প্রবাসীদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার সরকারের বহন করা উচিত।
কুয়েত থেকে দেশে ফেরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বর্তমান চিত্র খুবই উদ্বেগজনক। কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার উইং, কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের চেক-ইন কাউন্টার এবং বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশি লাশ হয়ে দেশে ফিরছেন।
এই পরিসংখ্যান আরো করুণ হয়ে দাঁড়ায়, যখন দেখা যায় প্রতি মাসে গড়ে ১০০ জন প্রবাসী কর্মী কাজ করার সক্ষমতা হারিয়ে নিঃস্ব হাতে দেশে ফিরছেন। শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, কাজের সময় দুর্ঘটনা অথবা অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে তারা তাদের উপার্জনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। তাদের কুয়েতে থাকার কোনো উপায় না থাকায়, নিরুপায় হয়ে শূন্য হাতে তাদের প্রিয়জনদের কাছে ফিরে আসতে হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী