নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে অবৈধভাবে জেলেদের ধরা প্রায় ৪ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ৬১৫ কেজি ইলিশ স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার সময় কোস্টগার্ড হাতিয়া স্টেশন ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাংকি ঘাট ও চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় ৬টি ফিশিং বোট (এফবি আমেনা, এফবি নিহা ও এফবি বাবুল) তল্লাশি করে প্রায় ৪ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ৬১৫ কেজি ইলিশ মাছ ও ৩টি বোটসহ ৯৫ জন জেলেকে আটক করা হয়।

তিনি জানান, পরবর্তী সময়ে জব্দ মাছ হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.

ফয়েজুর রহমানের উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরীব প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়। জব্দ বোটগুলোকে জরিমানা ও ৯৫ জন জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা যায়, সরকার প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন মোট ৫৮ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৮ কোটি ডলার

জুন মাসের ২১ দিনে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৮ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।

রবিবার (২২ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বল হয়, ২০২৪ সালের জুন মাসের ২১ দিনে দেশে এসেছিল ১৯১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ।

এর আগে, দেশে চলতি বছরের মার্চ মাসে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো আসেনি বাংলাদেশে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এছাড়া মাসের শুরুতে ছিল ঈদুল আযহা। ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের নিকট বেশি অর্থ পাঠায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে রেমিট্যান্স আহরণ বাড়ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার এবং মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

ঢাকা/এনএফ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৮ কোটি ডলার