পরিপত্র জারি হলে আ.লীগের ওয়েবসাইট-ফেসবুক বন্ধে পদক্ষেপ: ফয়েজ আহমদ
Published: 11th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে পরিপত্র জারির পর দলটির ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও ইউটিউব বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে এ কথা বলেছেন।
গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।
সাইবার স্পেসে নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ রোববার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পরিপত্র জারির পর বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে সরকারের হাতে সবকিছু বন্ধ করার ক্ষমতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার শুধু ওয়েবসাইট ব্লক (বন্ধ) করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিপত্র হলে আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার জন্য বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, সরকারি পরিপত্র জারি হলে ওই রেফারেন্সে বিটিআরসির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ইউটিউব, ফেসবুক ব্লক করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।
কনটেন্ট (আধেয়) সরানো, পেজ বা অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এবং আরেক টেক জায়ান্ট গুগলের কাছে নিয়মিত অনুরোধ করে থাকে। এসব প্ল্যাটফর্ম বলে থাকে, তারা নিজস্ব নির্দেশিকা ও নীতি লঙ্ঘন করে কি না, তা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
মেটার স্বচ্ছতা প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মটি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিটিআরসির অনুরোধে বাংলাদেশে ২ হাজার ৯৪০টি আইটেমে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।
গুগলের স্বচ্ছতা প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে কনটেন্ট সরানোর জন্য ৪৯০টি অনুরোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮২৭টি আইটেম ছিল। সবচেয়ে বেশি ৩৩৭টি অনুরোধ ছিল প্রথম ৬ মাসে। প্রথম ৬ মাসে গুগল ৬৮ দশমিক ২ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরের ৬ মাসে ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনবিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ১০ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ ফ সব ক অন র ধ র জন য প রথম সরক র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে 'মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' পুনর্বহাল করা হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় 'মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' সংবিধানের প্রস্তাবনা ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ছিল। সেটা পরবর্তীতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারলে সেটি সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কওম হিসেবে, মুসলমান হিসেবে বিভক্তি এবং দুর্বলতার কারণে ফিলিস্তিনের গাজাবাসী, আরাকানের রোহিঙ্গাসহ সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হতে হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, যদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায়, সরকার পরিচালনার দায়িত্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দেয়, এ দেশের জনগণ যদি আমাদের মহব্বত করে দায়িত্ব দেয়, যদি আপনারা সবাই সহযোগিতা করেন, মঞ্চে উপবিষ্ট যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পীরে কামেল, হজরত, ওলামায়ে কেরাম, আমাদের দেশের বুজুর্গানে দ্বীন যারা আমাদের পরিচালিত করেন, সবাই যদি আপনারা সহযোগিতা করেন, একসাথে থাকেন, তাহলে আপনাদের এখানে আজকে যে সমস্ত দাবি-দাওয়া আছে, আমরা সকল দাবি-দাওয়া এই প্রস্তাবের পক্ষে ইনশাআল্লাহ কানুনি ব্যবস্থা...’
তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই মঞ্চ থেকে অনেকে এবং সামনে উপবিষ্টরা সালাহউদ্দিন আহমদকে নিজ মুখে কাদিয়ানিদের কাফির ঘোষণার দাবি তুলে হইচই শুরু করেন।
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন। আজ শনিবার দুপুরে