Samakal:
2025-06-30@03:37:07 GMT

রক মিউজিকে নতুন সুর

Published: 15th, May 2025 GMT

রক মিউজিকে নতুন সুর

বহুবার শোনা গল্পের মতোই তাদের অতীত। সুরের নেশায় জোট বেঁধেছিল দু’জন মানুষ, বখতিয়ার আর আবিদ। যেখানে আমন্ত্রণ পেতেন সেখানেই যেতেন গান করতে। গানের ভুবনের বাসিন্দারা যাকে খ্যাপ মারা শো বলতেন, ঠিক সেটিই করতেন তারা। যেখানে হরেক রকম মানুষের হরেক রকম গানের চাহিদা পূরণ করতে হতো তাদের। তারপরও শো করে কত টাকা সম্মানী পাবে, তা নিয়েও ছিল না মাথাব্যথা; বরং কোনো কোনো সময় গাঁটের পয়সা খরচ করে হলেও গান শোনাতে যাওয়ার ইচ্ছাটা ছিল প্রবল। এ করতে গিয়ে বিভিন্ন মঞ্চে নানা সময়ে পরিচয় বেশ কয়েকজন মিউজিশিয়ানের সঙ্গে। সমমনা তেমন তিন মিউজিশিয়ান জামিলুর, তানিম আর সামীকে নিয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন রচনা শুরু করেছিলেন আবিদ ও বখতিয়ার। কারণ, ততদিনে একের পর এক লোকাল শো করতে করতে তারা ক্লান্ত। চাইছিলেন যা নিজের পছন্দের, ঠিক সে ধরনের গানের মধ্য দিয়ে শিল্পী মনকে তৃপ্ত করা। সে উদ্দেশ্যেই ২০১০ সালে তারা জন্ম দেন নতুন এক ব্যান্ডের।

নাম ‘বে অব বেঙ্গল’। চাটগাঁ সমুদ্র পারে ছুটে বেড়ানো তরুণ বলেই তারা এ নাম বেছে নিয়েছিলেন। এরপর নেমেছিলেন রকবাজির দৌড়ে। এই হলো বে অব বেঙ্গলের জন্মকথা। কী এতে কোনো নতুনত্ব আছে? জানি, এর উত্তরে অনেকে বলবেন ‘না’। কারণ, একুশ শতকে জন্ম নেওয়া বেশির ভাগ ব্যান্ডের জন্মবৃত্তান্ত এমনই। তাহলে এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, বে অব বেঙ্গলকে নিয়ে আলাদা করে এ প্রতিবেদন লেখার কারণ কী? এর উত্তরে বলতে হবে, বে অব বেঙ্গল সেই ব্যান্ড, যারা তাদের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সমকালীন দৃশ্যপট এঁকে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ‘মুখোশের গল্প’, ‘আঁচড়’, ‘গন্ধ খুঁজে পাই’ গানগুলো তার বড় প্রমাণ। যার সৃষ্টিতে আছে ব্যান্ড সদস্যদের নিজস্বয়তার ছাপ। এ কারণে তাদের ইতিহাসের পৃষ্ঠা উল্টে দেখা। তা হাতড়ে দেখতে গিয়ে জানা গেল, রক গানের চিরচেনা আদলের সঙ্গে বে অব বেঙ্গলের সদস্যদের নিজস্ব ভাবনাজুড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৩ সাল থেকে। শুরুতে শিল্পী ও অ্যালবাম আয়োজক জয় শাহরিয়ারের তত্ত্বাবধানে মিশ্র অ্যালবাম ‘রকহোলিক’-এর জন্য ‘জ্যোস্নার স্নান’ গানটি তৈরি করেছিলেন তারা। এরপর যখন প্রথম অ্যালবাম ‘নীরব দুর্ভিক্ষ’-এর আয়োজন শুরু করে, তখন তারা আবিষ্কার করেন, মনের গহিনে কোন বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত আলোড়ন তুলে যাচ্ছে। সেই বিষয়গুলো তারা বেছে নিয়েছেন তাদের সাত সুরের গল্পে; যা নিয়ে সৃষ্টি তাদের ১০ গানের অ্যালবাম ‘নীরব দুর্ভিক্ষ’।

প্রথম অ্যালবাম শ্রোতার মাঝে কতটা সাড়া ফেলবে, তা নিয়ে ভাবনা ছিল না; বরং সংগীতের নেশায় ডুবে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে ওঠাই ছিল তাদের লক্ষ্য। যদিও মাঝে ব্যান্ড লাইনআপ পরিবর্তনে তাদের পথচলা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। তবে চিরতরে থেমে যায়নি। বরং দিন দিন ক্ষুধা বেড়েছে গান তৈরি আর প্রকাশনার। সে কারণে দিনমান একাকার করে নতুন সুর-সংগীতের আয়োজনে নিবেদিত ছিলেন বে অব বেঙ্গলের সদস্যরা; যার সুবাদে এখন প্রতি মাসে প্রকাশ পাচ্ছে তাদের নতুন গান। যার আয়োজনে স্বাতন্ত্র্য ধরে রেখেছে রক-মেটাল ঘরানার এই ব্যান্ড। 

অতীত হাতড়ে যখন এই বিষয়গুলো উঠে এলো, তখন যে প্রশ্নটি সবার আগে চলে আসে, তা হলো রকবাজির দৌড়ে অংশ নেওয়ার আগে ব্যান্ডে সদস্যদের ভাবনাটা কী ছিল? এর জবাবে বে অব বেঙ্গল ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী বখতিয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রথম চাওয়া ছিল, নিজেদের ভালো লাগা প্রাধান্য দিয়ে গান করে যাওয়া। একান্ত নিজেদের মতো করে কিছু করা। তাই কে আমাদের গান শুনবে, কে শুনবে না এ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না কখনও। খ্যাতির মোহ আমাদের পেয়ে বসেনি কখনও। তাই যখন আমরা শুনি, আমাদের কোনো গান শ্রোতার ভালো লাগছে, তখন তা আমাদের বাড়তি আনন্দ দেয়। আমরা সময়ের যাত্রী, সময়ের হাতেই সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি। তাই সময়ই নিশ্চিত করবে আমাদের গন্তব্য কত দূরের।’ সৃষ্টির নেশায় মেতে উঠতে কখনও সস্তা জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসাননি।

তারপরও রক মিউজিক নতুন সুর উদ্ভাবন করে চলেছেন। এটি কীভাবে সম্ভব হয়েছে? এর প্রশ্নে বখতিয়ারের সোজাসাপটা জবাব, ‘ভাবনার জগতে যে বিষয়গুলো নাড়া দেয়, সেগুলোই সাত সুরে গেঁথে নেওয়ার চেষ্টা করি। এ চেষ্টা ততক্ষণ পর্যন্ত চলে, যতক্ষণ না বুঝতে পারি; আমাদের সৃষ্টি আত্মার সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে। একদিন দু’দিন নয়, সেই ২০১০ সালে যখন বে অব বেঙ্গল ব্যান্ডের জন্ম; তখন থেকে এ একই ভাবনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সৃষ্টির তাড়না থেকে জন্ম দিয়ে চলেছি একের পর এক গান। হতে পারে এটাই কারণ, যা আমাদের গানগুলো অন্য সবার আয়োজন থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করছে।’ এ গেল নিজস্বয়তার কথা। এখন প্রশ্ন হলো, বে অব বেঙ্গল যেসব আয়োজন শ্রোতাদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে, সে প্রত্যাশা পূরণের দায়ভার অনুভব করেন কিনা? এ নিয়ে ব্যান্ডের বেইজ গিটারিস্ট এহতেশাম আবিদ বলেন, ‘শ্রোতার ভালোলাগা, ভালোবাসা আমাদের এগিয়ে চলার প্রেরণা। নিজেদের সংগীততৃষ্ণা আর শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণের জন্য সৃষ্টির নেশায় মেতে আছি আমরা। ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছি, আগের আয়োজনগুলো ছাপিয়ে আরও ভিন্ন ধাঁচের আয়োজন তুলে ধরার।’ 

এ কথার পাশাপাশি আবিদ সুখবরও দিলেন, এ বছরেই তাদের ‘দ্বিতীয়’ অ্যালবামের বাকি গানগুলো প্রকাশ পাবে। বছরের তৃতীয় ভাগে আনুষ্ঠানিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা হবে ‘দ্বিতীয়’ অ্যালবামের স্মারক; যার মাধ্যমে আগামী দিনের সফর আরও সুর-মূর্ছনার হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য লিড গিটারিস্ট রকিবুল নিপু, কি-বোর্ডিস্ট জামিলুর রহমান জিমি ও ড্রামার আবিদ পাশা। v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ষয়গ ল বখত য় র আম দ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নাটকে ভালোবাসার গল্পের প্রাধান্য

দেশে যে কোনো উৎসব মানেই নাটকে বৈচিত্র্যময় গল্পের উপস্থিতি। সে গল্পে থাকে প্রেম, পারিবারিক টানাপোড়েন, সম্পর্কের ভাঙাগড়া ও সামাজিক নানা বৈচিত্র‍্যের চিত্র। তবে গল্পে বৈচিত্র্য থাকলেও অধিকাংশ নাটকে প্রেমের গল্প যেন সবসময়ই থাকে কেন্দ্রবিন্দুতে। উৎসবের বাইরেও এই প্রেমের গল্পের প্রাধান্যই বেশি লক্ষণীয়; যা ছিল অতীতে এবং বর্তমানেও। এই সময়ে এসে তা যেন বেড়েছে বহুগুণ। কয়েক বছর ধরে উৎসবে দর্শকপ্রিয়তা আর ট্রেন্ডিং তালিকার দৌড়ে এগিয়ে থাকা বেশির ভাগ নাটকই ভালোবাসার গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত। কখনও প্রেমের চঞ্চলতা, কখনও সম্পর্কের দ্বিধা, কখনও বা পারিবারিক টানাপোড়েনে জমে উঠেছে নাটকের আবহ।

গেল ঈদুল আজহায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি’র ব্যানারে এবার প্রকাশ হয়েছে এক ডজন ঈদ নাটক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে জোভান অভিনীত ‘আশিকি’। ঈদের রাতেই ইউটিউবে মুক্তি পাওয়া এ নাটকটি এরইমধ্যে পৌঁছে গেছে ৫০ লাখেরও অধিক ভিউয়ারের ঘরে। নাটকটিতে দেখা যায়, আশিক নামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের গায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শহরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। প্রেমে পড়ে ধনীর দুলালী জসের সঙ্গে। গানের প্রতি ভালোবাসা, সমাজের টানাপোড়েন আর এক অসাধারণ প্রেমকাহিনির গল্পে নাটকটি জয় করে নিচ্ছে দর্শকহৃদয়। নির্মাতা ইমরোজ শাওনের কথায়, ‘আশিকির গল্পে আছে একজন শিল্পীর স্ট্রাগল, আবার এক অনন্য ভালোবাসার ভাষ্য।’

একই ব্যানারের আরও একটি নাটক ‘তবুও মন’ নিয়েও বেশ আলোচনা চলছে। তমাল আর রায়ার গল্প এটি। তমাল চাকরি করে থাইল্যান্ডে, রায়া পড়ে রাজশাহীতে। দু’জনের স্বভাব দুই মেরুতে হলেও তাদের সম্পর্ক গড়ায় এক মিষ্টি গন্তব্যে। ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী অভিনীত এই নাটকে প্রেম ও পরিবারের টানাপোড়েনকে একসঙ্গে তুলে ধরেছেন নির্মাতা আবুল খায়ের চাঁদ।

এদিকে দীর্ঘদিন পর নাটকে ফিরেছেন ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’খ্যাত নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তাঁর নির্মিত ‘চুপকথা’ নাটকে জুটি হয়েছেন তৌসিফ মাহবুব ও নাজনীন নীহা। প্রেমের গল্প হলেও এতে রয়েছে প্রকৃতি ও সমাজ নিয়ে নানা প্রশ্ন। শ্রীমঙ্গল, জাফলং, গাজীপুর হয়ে ঢাকায় শুটিং হওয়া এই নাটকটি যেন একপ্রকার সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে। মহসীন মেহেদীর লেখা গল্পে উজ্জ্বল নিজের মতো করে সংলাপ ও চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন। নাটকটির বিশেষত্ব– নায়ক-নায়িকার প্রথম দেখা কুমিরের খামারে! তবে নির্মাতা মনে করেন, এটি শুধু প্রেমের গল্প নয়। প্রেম ও প্রকৃতির গল্প বলা যেতে পারে। উজ্জ্বলের ভাষায়, ‘গল্পটা প্রেমের। তার সঙ্গে সমাজের নানাবিধ প্রসঙ্গ এসেছে। আমার যে কোনো কাজে যেমনটা হয় আর কী। নির্মাণের সময় সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি বরাবরই মাথায় রাখি। এবারও তাই হলো। তবে এবার নাটক বানাতে গিয়ে মোটামুটি একটি সিনেমা বানিয়ে ফেলেছি সম্ভবত।’ 

তৌসিফ-তটিনী জুটি হয়ে এসেছেন আরেক রোমান্টিক নাটকে ‘মন দিওয়ানা’। নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখির এই নাটকে দেখা যায়, রুসু নামের এক বাউন্ডুলে ছেলের সঙ্গে কলেজ পাস করা মারজানের হঠাৎ পরিচয় ও র‍্যাগিং থেকে গড়ে ওঠা সম্পর্কের গল্প। একদিকে রোমান্স, অন্যদিকে বন্ধুত্বের সহজ গল্পে নাটকটি পেয়েছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা।

অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত নাটক ‘ভুল থেকে ফুল’। দুই প্রজন্মের মুগ্ধতা ছড়ানো দুই তারকার রসায়ন দেখা গেছে এই নাটকে। নাটকটির মাধ্যমে ভিন্ন রকম এক আবেগঘন অনুভূতির জগতে দর্শককে নিয়ে গেছেন নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন। নাটকটি প্রকাশ করেছে ইউটিউব চ্যানেল ধূপছায়া। গল্পটি প্রেমের হলেও তা আটপৌরে রোমান্সের পথে হাঁটে না। বরং এখানে প্রেম এসেছে ভুলের পথে, উপলব্ধির ধাপে, সম্পর্কের নীরব কান্নায়। নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন বলেন, ‘গল্পটির প্রতিটি বাঁকে রয়েছে মায়া। আপনি চাইলেও ইমোশনাল না হয়ে থাকতে পারবেন না। নাটকটি শেষ হলে মনে হবে, ভুলের পরেও ভালোবাসা রয়ে যায়। কখনও কখনও ভুলই আমাদের সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করায়।’

ঈদের এই নাটকগুলোর বাইরে সাম্প্রতিক সময়ের সফল রোমান্টিক নাটকের তালিকাতেও ভালোবাসার গল্পই শীর্ষে। যেমন— নিলয়-হিমির ‘গুডবয় ব্যাড লাক’, ‘কাছের মানুষ’, তৌসিফ-কেয়া পায়েলের ‘ভুল মানুষ’, জোভান-তটিনীর ‘মন বদল’, অপূর্ব-সাদিয়ার ‘মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর’, জোভান-কেয়ার ‘বন্ধুত্ব নাকি প্রেম’, মুশফিক-মিম মানতাশার ‘নাইস টু মিট ইউ’, আরশ খান-সুনেহরার ‘পাগল প্রেম’, জোভান-নাজনীন নীহার ‘মিথ্যে প্রেমের গল্প’ এবং অপূর্ব-তটিনীর ‘চিঠি দিও’ ও ‘ফিরে আসা।’

সব মিলিয়ে এবারও প্রমাণ হলো, বাংলা নাটকের প্রাণ এখনও ভালোবাসার গল্পেই। চরিত্রের টানাপোড়েন, আবেগের ছায়া, মায়ার মোড়ক–সবকিছু মিলিয়ে প্রেমই রয়ে গেল নাটকের মূল চালিকাশক্তি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সামাজিক মাধ্যমে বাড়বে কনটেন্ট চাহিদা
  • আমি আফরান নিশোর ফ্যান: স্বস্তিকা
  • যত্নে থাকুক মন...
  • আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ ওয়েস্ট ইন্ডিজের, জবাবদিহির আওতায় আনার পরামর্শ
  • আ.লীগ আর কখনও সুস্থ ন্যারেটিভ নিয়ে ফিরতে পারবে না: মান্না
  • জয়া আহসান কবে বিয়ে করবেন?
  • নাটকে ভালোবাসার গল্পের প্রাধান্য
  • আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল: কাজল