না’গঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ মাঠ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানববন্ধন
Published: 17th, May 2025 GMT
ইউজিসি অনুমোদিত নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রকল্পিত নারায়ণগঞ্জ মেডিকেল কলেজ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বিকেলে নগরীর চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের ছাত্রজনতা'র ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধন বক্তৃতারা বলেন, নারায়ণগঞ্জে ২০১৮ সালে প্রস্তাবিত তিনটি পাবলিক ইউনিভার্সিটি হওয়ার কথা ছিলো যেটা ২০২০ সালে অনুমোদন পায় এবং ২৩ সালে এটার বাজেট পাস করা হয়। বর্তমানে এ প্রকল্পগুলো স্থগিত করা রয়েছে। আমরা চাই এ প্রকল্পগুলোতে যাতে করে সরকার আবার হাত দেয়।
যেহেতু বর্তমানে বাজেট নিয়ে অনেক সমস্যা চলছে গভর্মেন্টে আমাদের রিজার্ভ সংকট। সেক্ষেত্রে শুধু স্থাপনা করার জন্য সরকার যেন একটা পদক্ষেপ নেয়, শুধু খুঁটি পুঁতে রাখুক তাহলেই চলবে। যখন আবার আমাদের রিজার্ভ আবার সম্মুখে আসবে এবং দেশের অবস্থা ভালো হবে তখন তারা আবার কাজ করুক।
আমাদের এবিষয়ে এমন কোন জোর দাবি নেই যে এখন এই মুহূর্তেই করতে হবে, আমরা সেই ধরনের কোন চাপ সৃষ্টি করছি না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জবাসীর যে দাবি এবং প্রত্যাশা সেইটা যাতে করে কোনোভাবেই নষ্ট না হয়।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সোশালিস্ট আলিফ দেওয়ান, বরিশাল ইউনিভার্সিটির মোহাম্মদ জিসান হোসেন, তোলারাম কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিলয় খান ও সোহেল খান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রবিবার হাইকোর্টের সামনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
আগামীকাল রবিবার ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ রিট বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করবে ঢাকাস্থ সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৭ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মো. মাসফিক ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল রবিবার (১৮ মে) ঢাকাস্থ সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের সামনে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ রিট বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ দেশের কারিগরি শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষায় একটি অরাজনৈতিক ও অগ্রণী ছাত্র সংগঠন। সংগঠনটি দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কারিগরি ছাত্র সমাজকে অবহিত করতে আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতি মামলার রায় বাতিলের দাবিতে ১৮ মে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। কারণ সম্প্রতি হাইকোর্ট কর্তৃক ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলার রায় স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তী শুনানির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ মে।
সাইদুর রহমান বলেন, “কারিগরি ছাত্র সমাজ পূর্বের রায়কে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আমরা কারিগরি ছাত্র সমাজ এই মামলার রায় সম্পূর্ণ বাতিল চাই। আমরা জানি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের মূল কাজ হলো ল্যাব পরিচালনায় সহায়তা এবং প্রাকটিক্যাল ক্লাসে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তারা এসএসসি অথবা এইচএসসি ভোকেশনাল পাস। এই যোগ্যতায় তারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অক্ষম এবং অযোগ্য। তাই শিক্ষক পদে তাদের পদোন্নতি অযৌক্তিক। তাদের জন্য মন্ত্রণালয় ভিন্নভাবে চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে, যে কীভাবে তাদের সিস্টেমে প্রমোশন দেওয়া যায়। তারাও তাদের সিস্টেমে প্রমোশন পাবে এ বিষয়ে সুন্দর পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রমোশন পাওয়ার অধিকার সবার আছে তবে সেটা হতে হবে যৌক্তিক।”
“আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি-জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (শিক্ষক) পদে পদোন্নতির জন্য ভিন্ন কোনো মানদণ্ডে বা বাছাই ছাড়া সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। শিক্ষকদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদটি কেবলমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরা (বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন) এর মাধ্যমে বাছাইকৃত হয়ে নিয়োগ পায়। যারা এই পদে আসতে চায় তারা নির্দিষ্ট যোগ্যতা নিয়ে বিপিএসি এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যোগ্যতার ভিত্তিতে আসুক। কোনো স্পেশালভাবে এই পদে কারো পদোন্নতি নিয়ে আসার সুযোগ নাই। আমরা চাই, ১৮ তারিখ হাইকোর্ট এ মামলাটি বাতিল করে দিয়ে কারিগরি শিক্ষার স্বচ্ছতা ও মান রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক।”
ঢাকা/রায়হান/টিপু