শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো একাত্মতা জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। 

বুধবার সাধারণ সভা করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হন। এরপর আধা ঘণ্টা তারা উপাচার্যের কক্ষে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শিক্ষকরা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের বারান্দায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 

এ কর্মসূচি শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.

মো. ফারুক হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নতুন উপাচার্য যোগদানের পর শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য আমরা ৭ কার্যদিবস সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে পারেননি। শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তি কার্যকর হয়নি। 

তিনি বলেন, আমরা ২ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাইনি। তিনি দাপ্তরিক কাজ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছেন। আমরা উপাচার্যের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না। এর দায়ভার উপাচার্যকেই নিতে হবে। তিনি কবে ক্যাম্পাসে ফিরবেন শিক্ষকরা কেউ তা জানেন না। 

ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছি বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে হবে। তা না হলে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এটা যদি এমন হয় যে উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তের কারণে আমরা ক্লাসে ফিরতে পারব না, তাহলে আমাদের ১ দফা দাবি জানাতে হবে। উপাচার্য দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা এই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপর দুপুর ১টায় সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, উপাচার্য বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়ন না করলে তার অপসারণের এক দফা দাবিতে ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামবেন।

এদিকে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ সেখানে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, নতুন করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের প্রয়োজন নেই। আগের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তারা একমত। তবে নিরাপরাধ কেউ যেন সাজা না পায়। তারা দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে চান।

তবে গত ৩ মাস ধরে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা গত ২ দিন কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। তারা আপাতত চুপচাপ রয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। এ অবস্থায় সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী। শুরু হয়নি নতুন ব্যাচের ক্লাসও। ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১৬ দিনেও ক্লাসে ফেরেনি শিক্ষকরা। এছাড়া ১৮ মে থেকে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন থেকেও বিরত রয়েছেন শিক্ষকরা।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য র শ ক ষকদ র শ ক ষকর

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে ডোবা থেকে নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের গলিত লাশ উদ্ধার

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ গ্রামের একটি ডোবা থেকে এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম রাহেদ হোসেন (১৮)। তিনি পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপর জেলার রামগঞ্জ থানার ৬ নম্বর লাচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর খাসের বাড়ির ইউছুফ কামালের ছেলে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে সোনাইমুড়ী-চাটখিল ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে জয়াগ গ্রামের জেলে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় এক ব্যক্তি মাছের পোনা ছাড়তে যান। এ সময় তিনি সেখানে দেখেন, কচুরিপানার ভেতরে এক ব্যক্তির গলিত লাশ পড়ে আছে। এরপর পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির বাবা ঘটনাস্থলে এসে জামা-কাপড় দেখে লাশটি শনাক্ত করেন।

নিহত রাহেদ হোসেনের বাবা ইউছুফ কামাল বলেন, তাঁর ছেলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। ১৬-১৭ দিন আগে অটোরিকশাটি নিয়ে ঘর থেকে বের হন। এরপর আর বাড়িতে না ফেরায় রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, গলিত লাশটির হাড় বের হয়ে এসেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

ওসি মোরশেদ আলম আরও বলেন, পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা রাহেদকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত থাকতে পারে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকসু নীতিমালা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার
  • অবৈধ আর্থিক লেনদেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাময়িক বরখাস্ত
  • হান্নান মাসউদের জিম্মায় ছাড়া পেলেন তিন সমন্বয়ক
  • ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার নোবেল, যা বললেন প্রাক্তন স্ত্রী
  • অগ্নিগলা পাখির খোঁজে
  • অভিষেককে মাঠ ছাড়তে বলে ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ লক্ষ্ণৌর স্পিনার
  • অভিষেককে মাঠ ছাড়তে বলে ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ লখনৌর স্পিনার
  • হায়দরাবাদের তাণ্ডবে লক্ষ্ণৌর স্বপ্নভঙ্গ
  • নোয়াখালীতে ডোবা থেকে নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের গলিত লাশ উদ্ধার