৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ১৬২ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ১ জুনের মধ্যে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ের পদায়ন কার্যালয়ে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে। ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা না পেলে ওই তারিখেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগদান করবেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। নির্ধারিত তারিখে যোগদান না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চাকরি করতে ইচ্ছুক নন ধরে নিয়ে নিয়োগপত্র বাতিল করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পিএসসি ৪৩তম বিসিএসে ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। সুপারিশের প্রায় ১০ মাস পর গত বছর ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে গত ৩০ ডিসেম্বর আগের নিয়োগ বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগবঞ্চিতদের আন্দোলনের মুখে মন্ত্রণালয় জানায়, নেতিবাচক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কারণে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জনকে গেজেটভুক্ত করা হয়নি। অনুপযুক্তরা কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১৬২ জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হলো।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাকৃবিতে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের দাবি
সম্প্রতি প্রকাশিত ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ওই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন ও অধিযাচনকৃত ৮৭০টি পদ যুক্ত করে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানান।
আরো পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার হয়েছেন রাবির অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী
বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত পাবনার আশিক-গৌরব-ধ্রুব
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৪৪তম বিসিএস এর ফাঁকা থাকা পদগুলো মেধাক্রম অনুযায়ী পুনঃবণ্টন করা, রিপিট ক্যাডার প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষমানদের নতুন করে সুপারিশ করা; যারা ৪১তম এবং ৪৩তম বিসিএস-এ কর্মরত রয়েছেন কিন্তু ৪৩তম বিসিএস-এ পছন্দক্রমের লোয়ার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এবার যোগদান করবেন না, এমন সুপারিশ বাতিল করে নতুনদের জন্য সুপারিশ করা; দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রকাশিত এই বিসিএস-এ পদসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে এমন বিপুল সংখ্যক প্রার্থী চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, যারা ইতিমধ্যেই ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে একই ক্যাডারে নিয়োজিত রয়েছেন। স্বভাবতই, তারা ৪৪তম বিসিএসে যোগদান করবেন না।
তারা বলেন, এমন ‘রিপিট ক্যাডার’ প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন, যাদের সুপারিশপ্রাপ্ত পদগুলো ফাঁকা থেকে যাবে। অনেক প্রার্থী পছন্দক্রমের নিচের ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন– তারাও অনেকেই যোগদান করবেন না। ফলে শত শত মেধাবী অপেক্ষমাণ প্রার্থী একটি স্বপ্ন পূরণের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ প্রশাসনে পদ শূন্যই রয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী