৪৩ তম বিসিএসের বাদ পড়াদের গেজেট আজই
Published: 20th, May 2025 GMT
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদন হয়ে ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়াদের গেজেট আজ মঙ্গলবারই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এই কাজের সাথে যুক্ত একজন উপসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এসেছে। গেজেট আজই হবে।
এর আগে আজ সকালের দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছিলেনন, ‘এ–সংক্রান্ত ফাইল যমুনায় (প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) আছে। প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার অপেক্ষায় আছি আমরা। সেখান থেকে ইতিবাচক কিছু এলেই গেজেট হয়ে যাবে। ঠিক কখন আসবে ফাইল তা বলা কঠিন।’
আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, ৬০৮ পদের জন্য করুন আবেদন৫ ঘণ্টা আগে৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। ভেরিফিকেশন শেষে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রথম সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যানথ্রাক্স ঝুঁকি: ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জব
রংপুর ও গাইবান্ধা অঞ্চলে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগের প্রাদুর্ভাব। গবাদিপশুর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগ ও শঙ্কা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই আছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না তারা। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
মাংস ক্রেতারা জানান, আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের। তবে, তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
আরো পড়ুন:
হাত-পায়ের ব্যথা কমাতে পাঁচটি নিয়ম মেনে চলুন
টকদইয়ের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে হিতে বিপরীত
ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। জবাই করার আগে প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। এই দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও নিয়ম মানা হচ্ছে না। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে বাড়ছে সংক্রামকজনিত রোগবালাই।
মাংসের ক্রেতা সদর উপজেলার আবদুস সালাম বলেন, “পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।”
নলছিটি উপজেলার এইচ এম সিজার বলেন, “রংপুর ও গাইবান্ধায় সম্প্রতি অ্যানথ্রাক্স রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত প্রাণী বা তাদের দেহবস্তুর সংস্পর্শে এলেই ছড়ায় যা মানুষকে সংক্রমিত করে। আমাদের এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাংস বিক্রেতারা পশু জবাই করেন। পশুটি সুস্থ আছে কিনা সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। যেখানে পশু জবাই হয় সেখানে কখনো কোনো পশু চিকিৎসককে দেখিনি।”
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, ৫ আগস্টের আগে নিয়মিত পশু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতো। এখন আর তা করা হয় না, প্রশাসনের কেউ থাকেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নীরোদ বরণ জয়ধর বলেন, “আমি নতুন যোগদান করেছি। কেন পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না বিষয়টি জেনে বলতে পারব। অসুস্থ পশু জবাই হলে তা থেকে মানব শরীরে অ্যানথ্রাক্স ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে।”
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এরপর থেকে যাতে তদারকি করেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, এ বিষয়টিতে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
ঢাকা/অলোক/মাসুদ