২০ জুন উদীচীর ২৩তম সম্মেলনের ‘অসম্পূর্ণ নির্বাচনী অধিবেশন’ আহ্বান
Published: 20th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, বর্তমানে উদীচীর কোনো বৈধ পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় সংসদ নেই। তিনি কেন্দ্রীয় সংসদের এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্য আগামী ২০ জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) সোশ্যাল গার্ডেন মিলনায়তনে উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের ‘অসমাপ্ত ও অসম্পূর্ণ নির্বাচনী অধিবেশন’ আহ্বান করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বদিউর রহমান এই ঘোষণা দেন। তাঁর এই ঘোষণার পর উদীচীর দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে হট্টগোল সৃষ্টি হলে আয়োজকেরা সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে বদিউর রহমান বলেন, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত উদীচী দেশের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক সংগঠন। অতীতে অনেক চড়াই–উতরাই পেরিয়ে এসেছে। চলতি বছর গত ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের তিন দিনব্যাপী ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের তৃতীয় তথা সমাপনী দিনে নির্বাচনী অধিবেশনে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। অনভিপ্রেত ওই ঘটনায় সম্মেলনের কাজ অসমাপ্ত ও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। একপর্যায়ে ‘বিষয় নির্বাচনী কমিটি প্রস্তাবিত প্যানেল’ পাস হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা কয়েকজনকে নিয়ে ‘শপথ’ নেন। পরে কিছু বিক্ষুব্ধ প্রতিনিধি সম্মেলন কক্ষের বাইরে আরেকটি খণ্ডিত প্যানেল ঘোষণা করে শপথ পাঠ করেন, যা বিধিবহির্ভূত।
অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, এই উভয় প্যানেলে সভাপতি পদে তাঁর নাম থাকলেও কোনো শপথ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকেননি। এক প্রশ্নের জবাবে বদিউর রহমান বলেন, এ কারণে তিনি উদীচীর কোনো কমিটিরই সভাপতি নন। এই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ সন্ধানে তিনি জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে উদীচীর বিভিন্ন পর্যায়ের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ, প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ছাত্র যুবনেতাদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে অসমাপ্ত জাতীয় সম্মেলনের অসমাপ্ত নির্বাচনী অধিবেশন আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এই অধিবেশনে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উদীচীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, উদীচীর মতো একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্মেলন নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে যে আলোচনা–সমালোচনা চলছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিস্থিতি যা–ই হোক, উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। সবাই মিলেমিশে একত্রে থাকাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কার কী ভুল, কার কোথায় সত্যতা তা না খুঁজে সবাই মিলে এই সংকট কাটাতে হবে।
এই দুই বক্তার বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হলে উদীচীর কর্মীরা পক্ষে বিপক্ষে একের পর এক বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে থাকেন। একটি পক্ষ বদিউর রহমানের ২০ জুন অধিবেশন আহ্বানের এখতিয়ার নেই বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে তুমুল হট্টগোল শুরু হলে সংবাদ সম্মেলন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অসম প ত পর য য় স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
৩০ টাকার জন্য বন্ধুকে হত্যা
মমিন হোসেন (২০) ও রাকিব হোসেন (১৯) দুই বন্ধু। রাকিব পরিচ্ছন্নকর্মী আর মমিন দোকানের কর্মচারী। আম বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন মমিন। রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনির গাছ থেকে আম পাড়েন তারা। পরে সেই আম কলোনির বাজারে বিক্রি করে ৩০ টাকা কম–বেশি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মমিনকে খুন করে রাকিব। সোমবার রাতে তাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এসি হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী বলেন, গত ১২ মে সন্ধ্যায় রাকিব, মমিন ও তাদের আরেক বন্ধু আলামিন মিলে এজিবি কলোনির আল হেলাল জোনের আম গাছ থেকে আম পাড়েন। পরে সেই আম এজিবি কলোনি কাঁচা বাজারে ৩৯০ টাকায় বিক্রি করেন তারা। টাকার একভাগ (১৩০ টাকা) নিয়ে আলামিন চলে যায়। বাকি ২৬০ টাকার মধ্যে রাকিব ৮০ টাকা খরচ করে। ওইদিন রাতে মতিঝিল পোস্টাল অফিসার্স কলোনির সামনে ময়লার ডাস্টবিনের পাশে মমিনকে আম বিক্রির ১০০ টাকা দেয়। তিনি ভাগের ৩০ টাকা দাবি করলে রাকিব ও মমিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা দু’জন বাড়ি চলে যায়।
তিনি বলেন, পরের দিন একই স্থানে তাদের মধ্যে আবার টাকা নিয়ে মারামারির একপর্যায়ে রাকিব আম কাটার ছুরি দিয়ে মমিনের গলার আঘাত করে। মমিন রাস্তার উপরে পড়ে গেলে রাকিব ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক মমিনকে মৃত ঘোষণা করলে রাকিব লাশ ফেলে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ চলে যায়।
এসি বলেন, ওই ঘটনায় নিহত মমিনের বাবা ফিরোজ শেখ মতিঝিল রাকিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই জুলহাস উদ্দিন ৭ দিনের মধ্যে রাকিবকে গ্রেপ্তার করেন। মঙ্গলবার আসামি রাকিবকে আদালতে তোলা হয়। আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।