এবার সাতক্ষীরা সীমান্তে ২৩ বাংলাদেশিকে পুশব্যাক করল বিএসএফ
Published: 28th, May 2025 GMT
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে পুশব্যাক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তাদের বাংলাদেশের ভেতরে পাঠানো হয়।
তাদের মধ্যে ২২ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও ১ জনের বাড়ি ঝালকাটিতে।
কুশখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার খালিশা সীমান্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ২৩ জনকে আটক করে স্বরূপনগর এলাকায় রাখা হয়। পরে মঙ্গলবার ভোরে তাদের কুশখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে বিএসএফ। এরপর তাদের কুশখালী বিজিবি ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
কুশখালী বিজিবির বিওপি কমান্ডার সুবেদার মেজবাহউদ্দীন জানান, কুশখালী সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাক করা ২৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। আটকের পর তাদেরকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জন নারী, ৭ জন পুরুষ ও ৯ জন শিশু রয়েছে।
জাবেদ হোসেন জানান, তারা হরিয়ানা রাজ্যে ইট ভাটায় কাজ করতেন। পুলিশ তাদেরকে ১৫ মে আটক করে নিয়ে আসে। পরে কুশখালী সীমান্ত এলাকায় একখানে ১০ দিন আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএস সদস্যরা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি সামিনুর রহমান জানান, বিজিবি ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে না। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রেখে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কল র য ব এসএফ ক শখ ল ত দ রক ২৩ জন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণী
প্রেমের টানে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি তরুণী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে অনুপ্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগে তার প্রেমিক ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলায়। অভিযুক্তরা বর্তমানে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই বাংলাদেশি তরুণীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। আর তার প্রেমিকের নাম দত্ত যাদব। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ওই বাংলাদেশি তরুণী একসময় মুম্বাইয়ের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় যোগ দেন। এসময় কর্ণাটকের বাসিন্দা দত্ত যাদবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে কয়েক মাস আগে ওই তরুণী আবার বাংলাদেশে চলে যায়। প্রেমিকের অনুরোধ রাখতে আবার ভারতে আসেন। তবে তার সঙ্গে পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অনুপ্রবেশে সহায়তা করায় তার প্রেমিক দত্ত যাদবকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, তারা ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এসময় বিএসএফ তাদের আটক করে।
অভিযুক্তদের ভারতীয় পাসপোর্ট আইন এবং ১৪ ফরেনারস অ্যাক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীন বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ওই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে অনুপ্রবেশে কোনো দালাল সহযোগিতা করেছে কি না তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। সেটি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।