অভিনয়শিল্পী স্বাগতা মা হয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। প্রথম আলোকে আজ রোববার দুপুরে খবরটি জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী নিজেই। স্বাগতার মা হওয়ার খবরে পরিবারের সবাই খুশি।

স্বাগতা জানালেন, তিনি চেয়েছিলেন অস্ত্রোপচার ছাড়াই যেন সন্তানের জন্ম হয়। তাই দুই মাস আগেই তিনি ব্যাংকক গিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলছিলেন স্বাগতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করতে হয়। স্বাগতা বলেন, ‘মা–মেয়ে দুজনেই ভালো আছি। সবাই আমাদের জন্য যেন দোয়া করবেন।’

স্বাগতা জানান, তাঁর মেয়ের নাম রাখা হয়েছে মারিয়ম সর্বজয়া সানু আজাদ। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের নামটা বড় রাখা হয়েছে। এই নামের মধ্যে দাদা (আবুল হাসান আজাদ) নানা (খোদা বক্স সানু) দুজনের নামের অংশ রাখতে চেয়েছি আমরা, তাই এমনভাবে নামটা রাখা হয়েছে।’

আরও পড়ুনপ্রবাসীকে বিয়ে করছেন স্বাগতা, কবে কখন কীভাবে পরিচয় জানালেন তিনি১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

মেয়েকে নিয়ে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবেন স্বাগতা।

২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রেমিক হাসান আজাদকে বিয়ে করেন স্বাগতা। লন্ডনপ্রবাসী হাসান একাধারে সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও মিউজিক কম্পোজার। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চশিক্ষা ও পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি একজন ব্যবসায়ী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন স ব গত

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। আন্দোলন থেমে যাওয়ার পরও রাজস্ব আদায়ে ভালো করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ রোববার গত জুলাই–আগস্টের শুল্ক–কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, গত জুলাই–আগস্টে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

গত মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হয়নি। আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে রাজস্ব আদায় বিঘ্ন হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টেও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।

এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনের পর এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি–আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ কম।

এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাই–আগস্টে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা এবং আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায় হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ