জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও থেমে নেই সাকিব আল হাসান। রাজনীতি ও বোলিং নিষেধাজ্ঞার পর সাম্প্রতিক সময়টা অনেকটাই বিতর্কের মধ্যে কেটেছে এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। তবে মাঠের বাইরের ঝড় সামলে এবার আবারও নিয়মিত হচ্ছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। নতুন করে যুক্ত হল আরেকটি টুর্নামেন্ট, ম্যাক্স সিক্সটি টি-টেন ক্রিকেট লিগ।

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য এই লিগের দ্বিতীয় আসরে অংশ নিচ্ছেন সাকিব। সাকিবের এই টুর্নামেন্টে খেলার কথা ইন্সটাগ্রামে জানিয়েছে ম্যাক্স সিক্সটি ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ। অবশ্য সাকিব কোন দলের হয়ে খেলবেন তা জানা যায়নি। 

ম্যাক্স সিক্সটিতে সাকিবের সঙ্গে খেলবেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান ও অ্যালেক্স হেলস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স এবং শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরার মতো অভিজ্ঞ তারকারা। এর আগে সাকিব চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্সে।

উল্লেখ্য, গত বছর কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার সময় বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠে এবং পরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন সাকিব। সে সময় জাতীয় দল থেকে দূরে ছিলেন তিনি। পরে অ্যাকশন শুধরে ফেরেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)।

আগামী ১৬ জুলাই কেম্যান আইল্যান্ডে মাঠে গড়াবে ম্যাক্স সিক্সটি লিগের দ্বিতীয় আসর, চলবে এক সপ্তাহব্যাপী। ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ। লিগের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ক্যারিবিয়ান টাইগার্স।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুষে চলে যায় বরাদ্দের অর্ধেক

সড়ক পাকাকরণের কাজ হয়েছে ৬০ শতাংশ। ঠিকাদার মোট বিলের ৮০ শতাংশ তুলে নিয়ে তিন বছর ধরে লাপাত্তা। এক কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ থমকে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। 
এ চিত্র দেখা গেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নওগাঁ মাজার থেকে রংমহল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের। ইতোমধ্যে সড়কে বিছানো খোয়া উঠে গেছে। ধুলাবালি জমে সামান্য বৃষ্টিতে কাদাপানিতে একাকার সড়ক। 
এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলম হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে কল রিসিভ করলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, কার্যাদেশ পাওয়ার মোট বরাদ্দের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রকৌশলী,  অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন জনকে দিতে হয়। কাজ চলাকালে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী সাইটে যান, তাদের ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা হাজিরা হিসাবে দিতে হয়। এভাবে বরাদ্দের অর্ধেক টাকা চলে যায় ঘুষের পেছনে। যে টাকা থাকে, তা দিয়ে মানসম্মত কাজ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে অনেক ঠিকাদার কিছুদিন কাজ করার পর বরাদ্দের টাকা তুলে লাপাত্তা হয়ে যান। কর্তারা তাদের কীভাবে বিল ছাড় করেন, তারাই বলতে পারবেন। অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বীকার করেননি।
২০২১-২২ অর্থবছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ৩-এর আওতায় নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ মাজার থেকে রংমহল পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এ কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৪ টাকা। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ৬৬ লাখ ১১ হাজার ৮৯৯ টাকায় কার্যাদেশ পায় মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ। ২০২২ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। এর পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তা শেষ হয়নি।
২০২১ সালের ২২ অক্টোবর তৎকালিন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ সড়ক পাকাকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পর ঠিকাদার সড়কের উভয় পাশে মাটি খুঁড়ে বালু ফেলে খোয়া বিছিয়ে দেন। এর মধ্যে সড়কের কাজ হয়েছে ৬০ শতাংশ। কিন্তু ঠিকাদার ৮০ শতাংশ কাজের বিল তুলে লাপাত্তা। তিন বছর ধরে সড়কটি বেহাল পড়ে আছে। 
সড়কের কাজ শেষ করতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিলেও 
সাড়া মেলেনি। নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কার্যাদেশ বাতিল করেছে। এখন চলছে পুনঃদরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া। 
সড়কটি দিয়ে নওগাঁয় হজরত শাহ শরিফ জিন্দানী (র.)-এর মাজার, নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ, নওগাঁ ফাজিল মাদ্রাসা, নওগাঁ হাটবাজার, নওগাঁ সোনালী ব্যাংক, নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ অফিসে যাতায়াত করতে হয়। 
উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালক সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। ঠিকাদার প্যালাসাইডিং, সাববেজ, সেন্ট ফিলিং ও ডব্লিউবিএম করেছে। সে অনুযায়ী বিল পাঠিয়েছি। বাকি কাজ না করায় বেশ কয়েকবার তাগাদা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সাড়া না পাওয়ায় ঠিকাদারের চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ