দুজনই সাবেক ক্রিকেটার, ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছেন। এখনো দুজন ভারতের হয়েই ‘খেলেন’, তবে সেটা কণ্ঠ দিয়ে। আর এ কাজে তাঁদের দক্ষতা আর জনপ্রিয়তাও বেশ।

এখনকার দিনে দর্শক যেসব ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠ উপভোগ করেন, নভজ্যোৎ সিং সিধু ও রবি শাস্ত্রী তাঁদের মধ্যে প্রধানতম। দর্শক চাহিদা ও জনপ্রিয়তা থাকায় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের কাছে সিধু ও শাস্ত্রীর কদরও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে এই দুজনের আয়ের অঙ্কও বেশ বড়সড়ই।

১৯৯২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া শাস্ত্রী ২০১৭ থেকে ২০২১ সময়ে ছিলেন ভারত জাতীয় দলের প্রধান কোচ। তবে গত তিন দশকের মধ্যে শাস্ত্রী সবচেয়ে বেশি সময় ব্যস্ত থেকেছেন ধারাভাষ্যকক্ষেই। শাস্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে ভারত জাতীয় দলে খেলা সিধুর ধারাভাষ্যে অভিষেক ২০০১ সালে। পাঞ্জাব থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার অল্প সময়ের মধ্যেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে ধারাভাষ্যে সারকাজম, কবিতা, উপাত্তের ব্যবহার আর খেলোয়াড় ও খেলার ঘটনা বর্ণনায় দর্শক হাসানো শব্দচয়ন তাঁকে আলাদা খ্যাতি এনে দিয়েছে। ধারাভাষ্যে ‘সিধুজম’ নামে একটি শব্দও প্রচলিত আছে।

সিধু অবশ্য ২০১৪ সালের পর প্রায় এক দশক ধারাভাষ্য দেননি। এ সময় ‘দ্য কপিল শর্মা শো’, ‘ফ্যামিলি টাইম উইথ কপিল শর্মা’সহ বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে সময় দিয়েছেন। ব্যস্ত ছিলেন রাজনীতিতেও। ২০২১ সালে কংগ্রেসের হয়ে পাঞ্জাবের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর অবশ্য সে পথেও ব্যস্ততা কমিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নাকি ভারতের প্রধান কোচ—কী হতে চান সৌরভ গাঙ্গুলী১১ ঘণ্টা আগে

২০২৪ সালে আইপিএল দিয়ে ধারাভাষ্যে ফেরার সময় পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিধু বলেছিলেন, একসময় আইপিএলে দিনপ্রতি ২৫ লাখ রুপিও পারিশ্রমিক পেতেন তিনি। তবে দীর্ঘ বিরতির পর এ সময়ের দর্শকদের কতটা আমোদিত করতে পারেন, এ নিয়ে সংশয়ও ছিল অনেকের। বাস্তবতা হচ্ছে, সিধুর ধারাভাষ্যের ‘পারফরম্যান্স’ এখনো আগের মতোই।

ভারতের ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ক্রিকব্লগারের তথ্য অনুসারে, এ মুহূর্তে ভারতীয় ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান সিধুই। সাধারণত হিন্দি ধারাভাষ্যই দিয়ে থাকেন সিধু, ভারতের দর্শক তাঁকে নিজেদের ভাষায়ই শুনতে পছন্দ করেন। ক্রিকব্লগার বলছে, বর্তমানে ধারাভাষ্যের জন্য দিনপ্রতি ১৫ লাখ রুপি পান সিধু। আর বৈশ্বিক সম্প্রচারে ইংরেজি ধারাভাষ্য দেওয়া শাস্ত্রী পেয়ে থাকেন দিনপ্রতি ১২ লাখ রুপি।

ভারতের ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে এই দুজনের পারিশ্রমিকই সবচেয়ে বেশি। অন্যদের মধ্যে বীরেন্দর শেবাগ ১০ লাখ, আশিস নেহরা ৯ লাখ, ইরফান পাঠান ৭ লাখ, সুনীল গাভাস্কার ও দিনেশ কার্তিক ৬ লাখ করে এবং সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ৫-৬ লাখ রুপি করে পেয়ে থাকেন।

আরও পড়ুনআইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের কার কত আয়২৪ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু

ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস

সম্পর্কিত নিবন্ধ