শাস্ত্রী না সিধু—ধারাভাষ্য থেকে কার আয় বেশি
Published: 23rd, June 2025 GMT
দুজনই সাবেক ক্রিকেটার, ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছেন। এখনো দুজন ভারতের হয়েই ‘খেলেন’, তবে সেটা কণ্ঠ দিয়ে। আর এ কাজে তাঁদের দক্ষতা আর জনপ্রিয়তাও বেশ।
এখনকার দিনে দর্শক যেসব ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠ উপভোগ করেন, নভজ্যোৎ সিং সিধু ও রবি শাস্ত্রী তাঁদের মধ্যে প্রধানতম। দর্শক চাহিদা ও জনপ্রিয়তা থাকায় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের কাছে সিধু ও শাস্ত্রীর কদরও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে এই দুজনের আয়ের অঙ্কও বেশ বড়সড়ই।
১৯৯২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া শাস্ত্রী ২০১৭ থেকে ২০২১ সময়ে ছিলেন ভারত জাতীয় দলের প্রধান কোচ। তবে গত তিন দশকের মধ্যে শাস্ত্রী সবচেয়ে বেশি সময় ব্যস্ত থেকেছেন ধারাভাষ্যকক্ষেই। শাস্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে ভারত জাতীয় দলে খেলা সিধুর ধারাভাষ্যে অভিষেক ২০০১ সালে। পাঞ্জাব থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার অল্প সময়ের মধ্যেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে ধারাভাষ্যে সারকাজম, কবিতা, উপাত্তের ব্যবহার আর খেলোয়াড় ও খেলার ঘটনা বর্ণনায় দর্শক হাসানো শব্দচয়ন তাঁকে আলাদা খ্যাতি এনে দিয়েছে। ধারাভাষ্যে ‘সিধুজম’ নামে একটি শব্দও প্রচলিত আছে।
সিধু অবশ্য ২০১৪ সালের পর প্রায় এক দশক ধারাভাষ্য দেননি। এ সময় ‘দ্য কপিল শর্মা শো’, ‘ফ্যামিলি টাইম উইথ কপিল শর্মা’সহ বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে সময় দিয়েছেন। ব্যস্ত ছিলেন রাজনীতিতেও। ২০২১ সালে কংগ্রেসের হয়ে পাঞ্জাবের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর অবশ্য সে পথেও ব্যস্ততা কমিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নাকি ভারতের প্রধান কোচ—কী হতে চান সৌরভ গাঙ্গুলী১১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে আইপিএল দিয়ে ধারাভাষ্যে ফেরার সময় পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিধু বলেছিলেন, একসময় আইপিএলে দিনপ্রতি ২৫ লাখ রুপিও পারিশ্রমিক পেতেন তিনি। তবে দীর্ঘ বিরতির পর এ সময়ের দর্শকদের কতটা আমোদিত করতে পারেন, এ নিয়ে সংশয়ও ছিল অনেকের। বাস্তবতা হচ্ছে, সিধুর ধারাভাষ্যের ‘পারফরম্যান্স’ এখনো আগের মতোই।
ভারতের ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ক্রিকব্লগারের তথ্য অনুসারে, এ মুহূর্তে ভারতীয় ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান সিধুই। সাধারণত হিন্দি ধারাভাষ্যই দিয়ে থাকেন সিধু, ভারতের দর্শক তাঁকে নিজেদের ভাষায়ই শুনতে পছন্দ করেন। ক্রিকব্লগার বলছে, বর্তমানে ধারাভাষ্যের জন্য দিনপ্রতি ১৫ লাখ রুপি পান সিধু। আর বৈশ্বিক সম্প্রচারে ইংরেজি ধারাভাষ্য দেওয়া শাস্ত্রী পেয়ে থাকেন দিনপ্রতি ১২ লাখ রুপি।
ভারতের ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে এই দুজনের পারিশ্রমিকই সবচেয়ে বেশি। অন্যদের মধ্যে বীরেন্দর শেবাগ ১০ লাখ, আশিস নেহরা ৯ লাখ, ইরফান পাঠান ৭ লাখ, সুনীল গাভাস্কার ও দিনেশ কার্তিক ৬ লাখ করে এবং সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ৫-৬ লাখ রুপি করে পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুনআইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের কার কত আয়২৪ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক টনের বেশি কোকেন চোরাচালানে জড়িয়ে ডাচ ফুটবলার গ্রেপ্তার
আয়াক্সের সাবেক উইঙ্গার কুইন্সি প্রোমেসকে আরব আমিরাত থেকে নেদারল্যান্ডসে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। মাদক চোরাচালান ও মারাত্মকভাবে আক্রমণের অভিযোগে নেদারল্যান্ডসে সাড়ে সাত বছর জেল খাটতে হবে দেশটির জাতীয় দলের হয়ে ৫০ ম্যাচ খেলা সাবেক এই ফুটবলারকে।
আরও পড়ুনসবকিছু জিততেই রেকর্ডভাঙা দামে লিভারপুলে যোগ দিলেন জার্মান তরুণ ভির্টৎস১ ঘণ্টা আগেবিবিসি জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডস পুলিশের অনুরোধে দুবাইয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দুবাই পুলিশ। ২০২০ সালে বেলজিয়াম থেকে নেদারল্যান্ডসে এক টনের বেশি কোকেন চোরাচালানে কুইন্সির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার পর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ডাচ আদালত তাঁকে ছয় বছর কারাবাসের সাজা দেন। ডাচ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, দুবাই পুলিশ চলতি মাসের শুরুতে কুইন্সিকে গ্রেপ্তার করে। ডাচ বিচার বিভাগের অধীনে ভাড়া করা বিমানে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
তবে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’ জানিয়েছে, ২০২০ সালে ব্রাজিল থেকে ১ হাজার ৩৬৩ কেজি কোকেন চোরাচালানে সংশ্লিষ্টতার জন্য কুইন্সি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। একই দেশের সংবাদমাধ্যম ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বন্দর ব্যবহার করে নেদারল্যান্ডসে কোকেন নিয়ে যান কুইন্সি।
নেদারল্যান্ডসে কৌঁসুলিদের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, ৩৩ বছর বয়সী কুইন্সিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি দুটি অভিযোগই অস্বীকার করে আপিল করেছেন।
আরও পড়ুনএবার চেলসিকে ধরাশায়ী করে ইতিহাস গড়ল আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ২ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের জুনে আরেকটি মামলায় কুইন্সিকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেন নেদারল্যান্ডসের আদালত। এই মামলার ঘটনা ২০২০ সালের জুলাইয়ে পারিবারিক পার্টিতে। চুরি যাওয়া গয়না নিয়ে বিবাদের সময় নিজের এক আত্মীয়র হাঁটুতে ছুরি মারেন কুইন্সি। কারাবাসের পাশাপাশি তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২০১১ সালে ডাচ ক্লাব টুয়েন্টে দিয়ে সিনিয়র ফুটবলে অভিষেক কুইন্সির। এরপর ২০১৪ সালে তিনি পাড়ি জমান রাশিয়ান ক্লাব স্পাতার্ক মস্কোয়। চার বছর সেখানে থেকে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সেভিয়া ও আয়াক্স ঘুরে আবারও স্পাতার্ক মস্কোয় ফিরে যান কুইন্সি। সেখানে তিন বছর থেকে গত বছর দুবাই ইউনাইটেডে যোগ দেন।
নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলে কুইন্সির অভিষেক ২০১৪ সালে। ২০২১ সালে ইউরোর শেষ ষোলোয় চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে ডাচদের হারের পর জাতীয় দলে আর ফিরতে পারেননি কুইন্সি।
নেদারল্যান্ডসে কোন কারাগারে কুইন্সি সাজা খাটবেন, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।