ফতুল্লায় পাম্প হাউস পরিদর্শন শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক
Published: 24th, June 2025 GMT
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধের অভ্যন্তরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে মোটা অংকের অর্থ খরচ করে পাম্পহাউস নির্মাণ করা হলেও ওই পাম্প হাউসে আসেনা পানি।
কোন ধরনের পরিকল্পনা ও সমীক্ষা ছাড়াই মোটা অংকের অর্থ খরচ করে ওই পাম্প হাউসটি নির্মাণ করা হলেও সেটি জনগণের কোন কাজে আসেনি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধ এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে দুই দফায় সর্বমোট ১৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এখনো পানিবন্দী অবস্থাতেই থাকতে হচ্ছে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ফতুল্লার ডিআইটি মাঠ সংলগ্ন অচল পাম্প হাউসটি পরিদর্শন শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এসময় তার সঙ্গে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পাম্প হাউসটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডিএনডি অভ্যন্তরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে পাম্প হাউসটি নির্মাণ করা হলেও এটির সঙ্গে যে সংযোগ খাল রয়েছে সেটির তুলনায় এটি অনেক উচু। এছাড়াও যেসব এলাকায় বর্তমানে জলাবদ্ধতা সেসব এলাকাগুলো অত্যন্ত নিচু।
এছাড়াও সংযোগ খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি এদিক দিয়ে আসেনা। যে কারণে এই পাম্প হাউসটি দিয়ে কোন ধরনের পানি নিস্কাশন হয়না। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে পাম্পগুলো বিকল হয়ে গেছে।
এসময় জেলা প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করেন, যারা এই পাম্প হাউসটি নির্মাণ করেছে তারা কি কোন ধরনের সার্ভে করেন নাই। যেহেতু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয় সেহেতু পাম্প হাউসটি সেভাবেই নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি।
এছাড়াও পাম্প হাউসে যদি পানিই না আসে তাহলে এখানে পাম্প হাউস করে কি লাভ হয়েছে। তিনি এসব বিষয় নিয়ে পাম্প হাউসে থাকা অবস্থাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এ বিষয়ে কি করণীয় সে বিষয়ে আগামীতে সেমিনার সহ নানা পদক্ষেপ নিবেন বলে স্থানীয়দের জানান।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন র ম ণ কর
এছাড়াও পড়ুন:
নাগরিক সমস্যা নিয়ে নাসিক প্রশাসককে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর স্মারকলিপি
নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট ও বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোশনের প্রশাসক এএইচএম কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব এর নিকট ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নে স্মারকলিপি পেশ করেছে আমরা নারায়ণগঞ্জকাসী।
সোমবার (২৩ জুন) আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুর উদ্দিন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ স্মারকলিপি পেশ করেন।
এ সময় নাসিক প্রশাসক গভীর মনোযোগের সাথে দাবিসমূহ শ্রবন করেন এবং দাবিগুলি যৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করে স্মারকলিপি গ্রহনপূর্বক উহা দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
১১ দফা দাবিগুলো হলো-
১। বন্দরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে কদম রসুল সেতুর প্রয়োজনীয় র্যাম্প পরিবর্তন করে দ্রুত নির্মান কাজ শুরু করা।
২। জন দূর্ভোগ নিরসনে বঙ্গবন্ধু সড়কের ড্রেন ও ফুটপাত সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা।
৩। রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল খালের পানিতে ভাসমান কচুরীপানা ও ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করে তা প্রতি মাসে অন্তত: দুই বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দাবী জানাচ্ছি।
৪। বঙ্গবন্ধু রোড সহ শহরের সকল সড়ক বাতি এবং রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল লেকের চতুর্পাশে স্থাপিত সড়ক বাতিগুলি ধারাবাহিক ভাবে সচল রাখা।
৫। মীরজুমলা রোড সম্পূর্ণ হকার মুক্ত করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা।
৬। ক) ২নং গেইট এর মোড় দিয়ে উল্টো পথে পশ্চিমে আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কে অবৈধ ভাবে যান চলাচল প্রবেশ বন্ধ করা।
খ) বঙ্গবন্ধু সড়কের গলাচিপা মোড় থেকে উল্টোপথে ডানদিকে তথা দক্ষিনে যান চলাচল বন্ধ করা।
গ) ২নং গেইট দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভাজকের দুই পার্শ্বেই গাড়ি চলাচলা নিশ্চিত করা।
ঘ) ২নং রেল গেইট থেকে বাস ষ্টোপেজ অপসারণ এবং এসএস রোড (চেম্বার রোড) থেকে বাম দিকে কোনাকুনি (মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভ সংলগ্ন) বঙ্গবন্ধু সড়কে যাওয়ার ফুটপাতও রাস্তাটি হকার মুক্ত করে পথচারী ও যান চলাচলে উন্মুক্ত করা।
ঙ) ২নং গেইট হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন দেওভোগ অঞ্চলে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পথ তৈরি করা।
৭। ২নং গেইট তথা আলমাস পয়েন্ট থেকে উত্তরে ২নং রেল গেইট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তাটি ১০/১৫ ফুট প্রশস্ত করা।
৮। চাষাড়া মোড়ের সোনালী ব্যাংকের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্ব পার্শ্বটি যান চলাচলে উন্মুক্ত রাখতে অবৈধ মিশুক ও সিএনজি ষ্টেশন অপসারন করা।
৯। শায়েস্তা খান সড়কে সুয়ারেজ পাইপ লাইন স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করা।
১০। ২নং রেল গেইট থেকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে চাষাড়া পর্যন্ত অস্থায়ী রাস্তাটি সংস্কার ও চালু করতে হবে।
১১। রাসেল পার্কে চারুকলা ভবনের নিচতলায় তরুন ছাত্রদের কুংফু কারাতে প্রশিক্ষন ব্যবস্থাটি পুনরায় চালু করা অথবা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা।
স্মারকলিপি দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মন্টু, সহ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস আজাদ, কুতুবউদ্দিন আহম্মদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্লা, হাজী মোঃ রমজান উল রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আহম্মদ জাগু, গোলাম রসুল রফিক, ক্রীড়া সম্পাদক হাজী মোঃ জাহাঙ্গীর কবির পোকন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান জামান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রাজীউদ্দিন আহম্মদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিমন শিপলু, যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, আবুল হোসেন সরদার, কার্যকরী সদস্য হাফেজ শফি আহম্মেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মোড়ল, তাপস সাহা, কামাল হোসেন মিলন প্রমুখ।