ইরানের অন্তত ১৪ জন বিজ্ঞানীকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
Published: 25th, June 2025 GMT
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, ইসরায়েল ইরানে চালানো হামলার সময় দেশটির অন্তত ১৪ জন বিজ্ঞানীকে লক্ষ্য করে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে রসায়নবিদ, পদার্থবিদ এবং প্রকৌশলীরাও ছিলেন।
বার্তা সংস্থাটি ফ্রান্সে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জোশুয়া জারকার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডগুলোর ফলে ইসরায়েলি ও মার্কিন বোমা হামলায় অবশিষ্ট থাকা পারমাণবিক অবকাঠামো এবং উপকরণ থেকে ইরানের অস্ত্র তৈরি করা ‘প্রায়’ অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আরো পড়ুন:
ইরানের হামলার আগে কাতারের ঘাঁটি থেকে সৌদিতে যুদ্ধবিমান ও রসদ সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে কাতারের ‘কূটনৈতিক বিজয়’
তিনি বলেন, “পুরো দলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে যাবে।”
এপি জানিয়েছে, সোমবার জারকা এই মন্তব্য করেছেন। আর পরদিন মঙ্গলবার ইরানি টেলিভিশন জানিয়েছে, আরেকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবের ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। ১৩ জুনের এক হামলায় তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে নিহত হলেও তখন তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
তবে জারকার এই দাবির পরও বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের আরো বিজ্ঞানী আছেন যারা নিহতদের শূন্যতা পূর্ণ করতে পারেন এবং এই হত্যাকাণ্ড দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিকে সাময়িকভাবে পিছিয়ে দিতে পারলেও তা পুরোপুরি থামাতে পারবে না।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড সচল রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশাসন। বৈঠকে তাদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন পেছানোয় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি
বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় যেন সচল থাকে। সেজন্য আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।”
তিনি বলেন, “তারা প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তারা তাদের কমিটির সঙ্গে বসে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, “উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীন স্যার আলোচনায় বসেছিলেন। প্রশাসন কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা সমিতিতে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাব।”
এ সময় সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী