জাবির আবাসিক হল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
Published: 25th, June 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হল থেকে কাঠের বাট যুক্ত দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ৷ পরে উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় হলের এ-ব্লকের পশ্চিম দিকে অবস্থিত টয়লেটের ফলস ছাদের উপরে আগ্নেয়াস্ত্রটি দেখেন পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুজন বাবু ৷ এরপর হল প্রশাসনের কাছে তিনি সেটি হস্তান্তর করেন।
হল প্রশাসন জানিয়েছে, শহীদ সালাম-বরকত হলের এ-ব্লকের পশ্চিম দিকে অবস্থিত ২২৬ নং কক্ষ সংলগ্ন টয়লেটের ফলস ছাদের উপরে পাইপ গানটি ছিল। হলের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুজন বাবু পরিষ্কারের জন্য রাখা লাঠির ব্রাশ ফলস ছাদ থেকে টেনে বের করতে যান। তখন ব্রাশের সঙ্গে কাঠের বাটওয়ালা একটি পুরাতন আগ্নেয়াস্ত্র বের হয়ে আসে।
আরো পড়ুন:
জাবিতে অটোরিকশা চালুর দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নাম পুনর্বহালের দাবি সাংস্কৃতিক জোটের
এরপর পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুজন বাবু আগ্নেয়াস্ত্রটি হল অফিসে এনে জমা দেন। পরে হল প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশেদুল আলমকে জানালে তিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পাঠান এবং আশুলিয়া থানায় অবহিত করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রটি হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে শহীদ সালাম-বরকত হলের পরিচ্ছন্নতা কর্মী শ্রী সুজন বাবু বলেন, “আজ সকাল সাড়ে ৮টার সময় অফিসে আসি। দৈনন্দিন কাজের মত আজও আমার কর্তব্যরত সুইপিং কাজ শুরু করি। হলের এ ব্লকে দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশে ওয়াশরুমে আমার সুইপিং কাজের জন্য রাখা লাঠি ব্রাশ ফলস ছাদ থেকে টেনে বের করি । তখন লাঠি ব্রাশের সঙ্গে কাঠের বাটওয়ালা একটি পুরাতন আগ্নেয়াস্ত্র বের হয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে আমি আগ্নেয়াস্ত্রটি হল অফিসে এনে জমা দেই।”
এদিকে, হল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সকাল ১১টায় হল কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা করেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল হালিম।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের পর তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশেদুল আলমকে জানানো হয়। পরবর্তীতে তিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পাঠান এবং আশুলিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রটি হস্তান্তর করা হয়।”
তিনি আরো জানান, “জরুরি সভায় হল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য সহকারী অধ্যাপক এসএমএ মওদুদ আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হলের আবাসিক শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ইসতিয়াক রায়হান ও সিয়াম আহমেদ। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র স জন ব ব র জন য আগ ন য হল থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
জিম্বাবুয়েতে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের যুবারা, ৯৫ রানের পর ৫ উইকেট রিজানের
রিজানের বলে বায়ান্দা মায়োলা আউট হতেই নিশ্চিত হলো জয়। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ছুটলেন রিজানের দিকে—সেঞ্চুরি হারানোর আক্ষেপে পোড়া রিজানই যে জয়ের নায়ক। ব্যাট হাতে দলের বিপদের সময় দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন ঢাল হয়ে, বল হাতেও পেস বোলিংয়ে তিনি পেয়েছেন ৫ উইকেট। তাতে জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩৩ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।
অথচ আজ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েই শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের যুবাদের। হারারেতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কালাম সিদ্দিকির সঙ্গী হয়ে দলের হাল এরপরপরই ধরেন রিজান। তাঁদের জুটিতেই নতুন করে আশা দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ১১৭ রানের জুটি গড়েন দুজন।
৭৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হয়ে যান কালাম। তবে রিজান ছুটতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। শেষ পর্যন্ত তা তিনি পাননি, ফিরেছেন রানআউট হয়ে তাঁর সঙ্গী হয় রান আউটের দুর্ভাগ্য। ৪৮তম ওভারে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে ৯৬ বলে ৯৫ রানে রানআউট হন রিজান।
এরপর ২৯ বলে ৩৮ রান করা আবদুল্লাহ ও ৮ বলে ১৩ রান করা সামিউন বাসীর শেষ ১৫ বলে যোগ করেন ২৪ রান।
বড় রান তাড়ায় দুর্দান্ত একটা শুরু পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারাও। তাঁদের ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন আল ফাহাদ। ৩১ বলে ৪০ রান করা আদনান লাগাদিয়েনকে ফেরান তিনি। আরেক ওপেনার ইউরিখ ফন শালকবভিকও ২২ বলে ১৯ রান করে আউট হন তাঁর বলেই।
দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পরও দক্ষিণ আফ্রিকাকে কক্ষপথে রেখেছিলেন মোহাম্মদ বুলবুলিয়া ও জেসন রোলেস। তাঁদের ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন রিজান। ৪৩ বলে ৩১ রান করে আউট হন বুলবুলিয়া, ৩৫ রানের বেশি করতে পারেননি রোলেসও।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। শেষদিকে এমবাথার ২৯ আর সোনির ৩৪ কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। ফাইনাল জয়ের আনন্দে মেতেছে বাংলাদেশের যুবারা। আর তাতে ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে নায়ক রিজান। রাতটা নিশ্চিতভাবেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর জন্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৫০ ওভারে ২৬৯/৫ (রিজান ৯৫, কালাম ৬৫, আবদুল্লাহ ৩৮; এমবাথা ২/৫০, মায়োলা ১/৪১)
দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল : ৪৮.৪ ওভারে ২৩৬ (লাগাদিয়েন ৪০, রোলেস ৩৫, বুলবুলিয়া ৩১, সোনি ৩৪, এমবাথা ২৯; রিজান ৫/৩৪, ফাহাদ ৩/৫০, স্বাধীন ২/৩৪)
ফল: বাংলাদেশ অ–১৯ দল ৩৩ রানে জয়ী।