ভারতীয় বাংলা সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা দীপঙ্কর দে। মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে। তার বয়স এখন ৮২ বছর। ২০২০ সালে ৭৫ বছর বয়সে অভিনেত্রী দোলন রায়কে বিয়ে করেন তিনি। তখন কনের বয়স ছিল ৪৯ বছর। আর এখন দোলন রায়ের বয়স ৫৫ বছর।  

১৯৪৪ সালের ৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন দীপঙ্কর দে। গতকাল ৮১ বছর পূর্ণ করে ৮২ বছরে পা দিয়েছেন। এ উপলক্ষে দোলন তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে প্রিয় মানুষের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে।

দীপঙ্করের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে দোলন লেখেন, “শুভ জন্মদিন টিটো (দীপঙ্কর)। আমি আর যে কয়দিন বাঁচি, তোমার প্রতিটা জন্মদিন আমি যেন তোমার পাশে তোমার নিশ্বাসে বাঁচি এভাবে। ঈশ্বরের কাছে এতটুকুই চাওয়া, আর কিছু না। তোমাকে ভালোবাসি।” 

আরো পড়ুন:

‘নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলে অনায়াসে তাকে চরিত্রহীন বলা যায়’

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন অভিনেত্রীর স্বামী

দীর্ঘ ২২ বছর লিভ-ইনে থাকার পর রেজিস্ট্রি বিয়ের মাধ্যমে দোলনকে আইনি স্বীকৃতি দেন দীপঙ্কর দে। তারা যখন লিভ-ইন শুরু করেন, তখন এর এতটা প্রচলন ছিল না। দুজনের বয়সের ব্যবধানও ২৬ বছর। দীপঙ্কর তখন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হলেও দোলন মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। যে কারণে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল এই যুগলকে। শুনতে হয়েছিল কটু কথাও।

তবে দোলন-দীপঙ্করের এসবই এখন অতীত। সমালোচনার পৃষ্ঠা বন্ধ করে ভক্ত-অনুরাগীরাও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছেন। অন্তত দোলনের ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট বক্সে তেমন দৃশ্য দেখা যায়।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

মৃত্যু নিয়ে মশকরা করে রোষনলে পায়েল

শেফালি জরিওয়ালার নাম উচ্চারণ না করেই তার মৃত্যু নিয়ে মশকরা করলেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগি! এক সাংবাদিককে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রয়াত অভিনেত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন পায়েল। ওই সাংবাদিকের সঙ্গে হোয়াটস্অ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের রোষানলে পড়েন পায়েল। এমনকি এই অভিনেত্রীকে অমানবিক বলেও দাবি করেন অনেকে।

এর আগে পায়েলের সংসার ভাঙার গুঞ্জন ওঠে। সেই বিষয়ে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করতেই এক সাংবাদিককে খোঁচা দেন পায়েল। এবং শেফালীর বয়স ধরে রাখার ওষুধ নিয়ে খোঁচা দেন অভিনেত্রী।

সাংবাদিক পায়েলকে লিখে পাঠান, ‘‘পায়েল, আশা করছি আপনি ভালো আছেন। কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখলাম, আপনার ও সংগ্রামের (পায়েলের স্বামী) মধ্যে কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং আপনারা বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। এই খবরের কী কোনও সত্যতা রয়েছে? এটুকুই জানার ছিল।”

আরো পড়ুন:

এপ্রিলে বিয়ে, জুলাইয়ে বিচ্ছেদ?

যীশু নেই, কেমন আছেন নীলাঞ্জনা?

সরাসরি উত্তর ‘না’ দিয়ে পায়েল লেখেন, “বিজয়, আপনি অবসাদে ভুগছেন, জানতে পেরে খুব খারাপ লাগছে। দয়া করে অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ খাবেন না। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।” এই উত্তর পেয়ে সাংবাদিক লেখেন, “আমি কিন্তু এই নিয়ে কোনো প্রতিবেদন লিখছি না। কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখে আপনার কাছে জানতে চাইলাম।” এর উত্তরে আবার পায়েল লেখেন, “তাহলে বলতে হয়, বয়স ধরে রাখার ওষুধ খেয়ে আপনার এই অবস্থা হয়েছে।”

এই প্রতিচ্ছবি পায়েল নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর পরে সাংবাদিক জানান, তিনি তার কাজটুকুই করছেন মাত্র। পেশাগত দায় থেকেই এসব প্রশ্ন করেছেন। তখন পায়েল আবার ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আমার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যখন মশকরা করেছিলেন আপনি, আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলাম? শোনেন, আমার সঙ্গে এ সব করার চেষ্টা করবেন না। যান, প্রতিবেদন লিখুন।”

এই প্রতিচ্ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই রেগে যান নেটিজেনদের। এক নেটাগরিক লেখেন, “সাংবাদিক নিজের কাজ করছিলেন। প্রশ্ন সহ্য করতে না পারলে, মানুষের সামনে নিজের জীবন তুলে ধরবেন না। আর সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে, শেফালী জরীওয়ালার মৃত্যু কীভাবে হলো সেটা নিয়ে একটা জঘন্য মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্য খুবই নিষ্ঠুর এবং লজ্জাজনক।”

উল্লেখ্য, শেফালি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে ২৭ জুন মারা যান। এরপরে জানা যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বয়স ধরে রাখার ওষুধ এবং ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট সেবন করতেন শেফালি। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, সেটাই কি তার মৃত্যুর কারণ?

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ