রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘জুলাই কর্নার’, হলে বিশেষ ভোজ ‘বিজয় ফিস্ট’
Published: 6th, July 2025 GMT
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘জুলাই কর্নার’ নির্মাণ, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের সংবর্ধনাসহ নানা আয়োজন রয়েছে। কর্মসূচির সমাপ্তি হবে আগামী ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার বিজয় র্যালি’ আয়োজনের মাধ্যমে। হলগুলোতে আয়োজন করা হবে ‘বিজয় ফিস্ট’ নামের বিশেষ ভোজ।
গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ জুলাই বেলা ১১টায় ‘জুলাই চত্বর’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। ১৫ ও ১৬ জুলাই আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা ও নাট্যোৎসব এবং ১৮ জুলাই শিক্ষক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২০ জুলাই বেলা সাড়ে তিনটায় শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ও শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় ‘জুলাই কর্নার’ স্থাপন করা হবে। ১ আগস্ট কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল হবে। ১ থেকে ৫ আগস্ট চলবে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। ২ আগস্ট হবে চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা।
এ ছাড়া ৩ ও ৪ আগস্ট বিপ্লবকেন্দ্রিক সংগীতানুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। শেষ দিন ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ছাত্র-জনতার বিজয় র্যালি ও বিজয় ফিস্ট। একই দিনে জুলাই বিপ্লবকে কেন্দ্র করে স্মারক ও অ্যালবাম প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসন্ন ৫ আগস্ট ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বার্ষিকী’ উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। যেগুলো এই অভ্যুত্থানকে আরও স্মরণীয় করে রাখবে। আগামী ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বিজয় ফিস্টের’ আয়োজন করা হয়েছে। ফিস্টে আবাসিক এবং অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত র ব জয় ফ স ট ৫ আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন শুক্রবার
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে প্রাণীত করেছে, তিনি সবুজের কবি আল মাহমুদ। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন শুক্রবার (১১ জুলাই)।
১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার মৌরাইলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আর সাহিত্যের ষোলকলা পূর্ণ করে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমরতার পথে হারিয়ে যান তিনি।
কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক আয়োজনে দিনটি পালন করবেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
আরো পড়ুন:
এলিজার নতুন দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
তরুণ লেখকদের নিয়ে চন্দ্রিমায় সাহিত্য আড্ডা
এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবিকে ঘিরে আলোচনা, স্মরণ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কালের কলস ও কালের ধ্বনি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
একই দিন সকালে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ, ময়মনসিংহে আয়োজন করেছে ‘আমাদের আল মাহমুদ’ শীর্ষক সেমিনার।
বাংলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জুলাইতে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তবে দিন-তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর ১২ জুলাই, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে বিকেল ৪টায় কবিতা, স্মৃতিচারণ ও আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী পালন না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে কবিভক্তরা। তারা জানিয়েছেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সময়ে আল মাহমুদকে তুমুল অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে আল মাহমুদের অনেক কবিতা ছাত্র-জনতাকে দারুণভাবে উদ্বুব্ধ করেছে। তিনি বাংলা ভাষার ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করা। অবিলম্বে কবির লেখনি পাঠ্যপুস্তকে পুনর্বহালসহ কবির সাহিত্য গবেষণায় কবি আল মাহমুদ ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়।
ঢাকা/এসবি