এসএসসি পরীক্ষায় মাইলস্টোন কলেজের প্রশংসনীয় সাফল্য
Published: 13th, July 2025 GMT
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় আগের বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মাইলস্টোন কলেজ আবারও নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবছর বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে মোট ১,৮৬৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১,৮১৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, পাসের হার ৯৭.২১ শতাংশ।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬৩ জন শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগে অংশগ্রহণকারী ১,৫৮৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১,৫৫২ জন পাস করেছে এবং এ বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫৫ জন। অন্যদিকে, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২২৮ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ২১০ জন উত্তীর্ণ হয়।
ফলাফল প্রসঙ্গে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি গৌরবময় অর্জন, যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফসল।”
তিনি আরো বলেন, “গঠনমূলক একাডেমিক কার্যক্রম, নিয়মিত পাঠ মূল্যায়ন, শিক্ষকদের নিষ্ঠা এবং অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতার কারণেই এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে।”
তিনি কলেজ প্রশাসনের সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। অধ্যক্ষের ভাষায়, “এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমরা আরো মনোযোগী থাকবো।”
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন শ ক ষ র থ পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
চোয়ালের সঙ্গে কলম চেপে লিখে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে লিতুন জিরা
লিতুন জিরার জন্ম থেকে দুটি পা নেই। নেই হাত দুটিও। ডান বাহুর মাথা ও চোয়ালের সঙ্গে কলম চেপে ধরে লিখে লিখে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। প্রকাশিত ফলাফলে সে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। অদম্য এই কিশোরী একই ফল করেছিল পিইসিতেও। বড় হয়ে চিকিৎসক হিসেবে দেখার স্বপ্ন তার। লিতুন জিরার স্বপ্ন পূরণের পথে শুরু থেকেই তার পাশে আছে পরিবার।
লিতুন জিরা যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জাহানারা খাতুন দম্পতির মেয়ে। সে উপজেলার গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
লিতুন জিরার বাবা হাবিবুর রহমান উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এ আর মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক। মা জাহানারা খাতুন গৃহিণী। দুই ভাই-বোনের মধ্যে সে ছোট। বড় ভাই ইশতিয়াক আহমেদ ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
ফলাফল প্রসঙ্গে লিতুন জিরা বলে, ‘পরীক্ষার ফলাফলে আমি খুব খুশি। মা-বাবা ছাড়াও স্কুলের স্যার ও বন্ধুরা আমাকে সহযোগিতা করেছে। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার ইচ্ছা ভালো মানুষ হওয়ার। লেখাপড়া শিখে আমি চিকিৎসক হতে চাই। মানুষের সেবা করতে চাই।’
মা-বাবার সঙ্গে লিতুন জিরা