সোনারগাঁয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে আবার সু-বাতাশ বইবে : সিনিয়র শিক্ষা সচিব
Published: 12th, July 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের মতবিনিময় ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(১২জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা অডিটোরিয়ামে সোনারগাঁ সংঘের আয়োজনে এ মত বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.লুৎফর কবিরের উপস্থাপনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিদ্দিক জোবায়ের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মুল ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। আমরা সরকার থেকে এবছর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কোন অতিরিক্ত নাম্বার (গ্রেস) দেওয়া হবেনা।
এ বছর অতিরিক্ত নাম্বার না দেওয়ার কারনে আমাদের এসএসসির ফলাফলে এ অবস্থা। তাই এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। শিক্ষার্থী শিক্ষক ও অবকাঠামোর এই তিনটি হচ্ছে মুল। মান সম্মত শিক্ষা ঠিক রাখতে হলে অবকাঠামো ঠিক রাখতে হবে।
আমরা শুনি এবং ভুলে যাই, যা দেখি তা মনে রাখার চেষ্টা করি এবং যা বাস্তবে কাজ করি তা মনে ধারন করি। একটি বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে একটি স্বপ্ন দেখা শুরু করে। আমরা তো চাকরি করি না আমরা ভবিষ্যৎ নাগরিক তৈরি করি।
তাহলে আমার সোনারগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা কেন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়? আমার সোনারগাঁয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে আবার সু-বাতাশ বইবে।
তিনি আরও বলেন, সোনারগাঁয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে যতো সমস্যা আছে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমরা বিভাজনমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চাইনা। একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চাই।
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দারুণ সাফল্য
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এ বছর ৩৮টি বাংলা মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৭ হাজার ৭৬২ জন এবং ২৬টি ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৫৩৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। গড় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা নিঃসন্দেহে একটি অনবদ্য সাফল্য।
এই ধারাবাহিক কৃতিত্বের মূল চালিকা শক্তি হলো ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজগুলোতে বিদ্যমান শৃঙ্খলাপূর্ণ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। এ ছাড়া যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিবিড় পরিচর্যা ও সুনিপুণ পাঠদান, শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা, নিয়মিত অধ্যয়ন এবং নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা।
এ ছাড়া এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের দূরদর্শী দিকনির্দেশনা, দক্ষ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের কার্যকর নেতৃত্ব, নিবেদিতপ্রাণ অনুষদ সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রয়াস এবং অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতা।