বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রের ৮৮৩ শিক্ষার্থীর সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের নির্দেশ
Published: 12th, July 2025 GMT
বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া ৮৮৩ শিক্ষার্থীর ফলাফল সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভুলক্রমে ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের বদলে ২৫ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল পাঠিয়েছিল। পরে কেন্দ্রসচিবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো.
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীর ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর ৫০-এর স্থলে ভুলবশত ২৫ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রসচিব লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ওই কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীর ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর ২৫-এর স্থলে ৫০ সন্নিবেশিত করে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায় বগুড়া জিলা স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ২৫-এর স্থলে ৫০ সন্নিবেশ করে ফলাফল সংশোধনপূর্বক প্রকাশের জন্য অনুরোধ করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বিষয়ে কম নম্বর পাওয়ার বিষয়টি নজরে আসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এরপর তাঁরা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েন জিলা স্কুলের শিক্ষকেরা। এ সময় উত্তেজিত অভিভাবকদের হাতে কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ শহরের মোট আটটি বিদ্যালয়ের ৮৮৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এসব শিক্ষার্থীর ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা ৫০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়নের কথা থাকলেও জিলা স্কুল কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভুলক্রমে ২৫ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে ফলাফল শিক্ষা বোর্ডে পাঠায়। এতে অন্য বিষয়ে ৯০ থেকে ৯৮ নম্বর পেলেও ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী ৬০-এর নিচে নম্বর পেয়েছে। ফলে প্রত্যাশিত ফল পায়নি শিক্ষার্থীরা।
জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব সেলিমা নাসরিন বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ভুলের ঘটনা ঘটেছে। ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ২৫-এর বদলে ৫০ নম্বর সন্নিবেশিত করে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা বোর্ডে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। শিগগির ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে বলে তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র ক পর ক ষ স শ ধ ত ফল পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির দরকারি তারিখ—১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।
ভর্তির যোগ্যতা—১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd
ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।
২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—১. দুই কপি ছবি।
২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
ভর্তি ও অন্যান্য ফি—অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,
রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,
কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,
একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,
ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,
পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,
প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,
মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।
বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।
২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট