‘অগোছালো কথাবার্তাই ডোবাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোকে’
Published: 13th, July 2025 GMT
অগোছালো কথাবার্তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে ডোবাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে দল চালাতে পরিপক্ব মুখপাত্র প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, “একটি বিষয়ে ৫০০ জনের বক্তব্য দেওয়া রাজনৈতিক দলের জন্য এক ভয়াবহ দুর্যোগের রেসিপি। এতে দলের ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত ভাবমূর্তি বিপর্যস্ত হয়। এ পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের পক্ষে কথা বলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা।”
তিনি বলেন, “টেলিভিশনের টকশো বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা মন খুলে কথা বলছেন। এতে দল সম্পর্কে শৃঙ্খলাহীন ও অগোছালো একটি চিত্র ফুটে উঠছে, যা ক্রমাগত দলকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এর কোনো সুফল নেই, বরং প্রতিপক্ষের হাতে সমালোচনার অস্ত্র তুলে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।”
শফিকুল আলম আরো বলেন, “মানুষ ভুলে যায়, আমরা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ভর এক যুগে বাস করছি। এই যুগে দলের পক্ষে কথা বলার জন্য দরকার অত্যন্ত যোগ্য ও মেধাবী মুখপাত্র। যাদের সেই যোগ্যতা নেই, তাদের উচিত মাঠ পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের এক ডজনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক সাংবাদিক। কারণ, তারা জানেন কীভাবে একজন মুখপাত্র হিসেবে কথা বলতে হয় এবং কাদের উদ্দেশে কী বার্তা দেওয়া দরকার।”
তার মতে, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রাক্ষুসে যুগে যোগাযোগ দক্ষতাই একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান কিংবা পতনের প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দলীয় বক্তব্য উপস্থাপনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন, নয়তো মুখের বেপরোয়া ব্যবহারেই দল ডুবে যেতে পারে।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু প্রাচীন কোনো ধূমকেতু হতে পারে
১ জুলাই সৌরজগতের ভিন্ন নক্ষত্র থেকে একটি রহস্যময় বস্তু প্রবেশ করে। সেই বস্তুটিকে বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন ধূমকেতু হতে পারে বলে মনে করছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাস প্রায় ৭০০ কোটি বছর বয়সী হতে পারে। সেই হিসাবে আমাদের সৌরজগতের চেয়ে ৩০০ কোটি বছরের পুরোনো এই বস্তু। সৌরজগতে বিস্তৃত বিভিন্ন ধূমকেতুর তুলনায় ৩আই/অ্যাটলাসের হাইপারবোলিক গতিপথ প্রমাণ করে এটি আমাদের সৌরজগতের কোনো বস্তু নয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ম্যাথিউ হপকিন্স বলেন, হ্যালির ধূমকেতুর মতো সব অ-নাক্ষত্রিক ধূমকেতু সৌরজগতের গঠনের একই সময়ে গঠিত হয়েছিল। এ জন্য এদের বয়স ৪৫০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন সম্ভাব্য এই ধূমকেতুতে বরফ থাকতে পারে। পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি অনুসরণ করে বলা হচ্ছে, বস্তুটি সম্ভবত আমাদের দেখা সবচেয়ে প্রাচীন ধূমকেতু। বস্তুটিকে প্রাথমিকভাবে ১ জুলাই চিলির অ্যাটলাস সার্ভে টেলিস্কোপ দিয়ে শনাক্ত করা হয়। সূর্য থেকে প্রায় ৬৭ কোটি কিলোমিটার দূরে প্রথম তখন পর্যবেক্ষণ করা হয়। পৃথিবী ও বৃহস্পতির মধ্যকার প্রায় সমান দূরত্বে এর অবস্থান। টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা যাচ্ছে বস্তুটি।
অন্য নক্ষত্র থেকে আমাদের সৌরজগতে আসা এটি তৃতীয় বস্তু। অন্য দুটি বস্তুর চেয়ে ৩আই/অ্যাটলাস ধুলাআর বরফের মতো উদ্বায়ী উপাদান নিয়ে ছুটছে। বস্তুটির বয়স বেশি হওয়ার কারণ জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। আগের খোঁজ পাওয়া আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর তুলনায় মিল্কিওয়ের সম্পূর্ণ ভিন্ন অঞ্চল থেকে এই বস্তু এসেছে।
বস্তুটি সম্ভবত মিল্কিওয়ের থিক ডিস্ক এলাকায় তৈরি হয়েছিল। এই এলাকায় পুরোনো তারার অঞ্চল দেখা যায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিঃপদার্থবিদ ক্রিস লিন্টট বলেন, এটি সম্ভবত ছায়াপথের এমন একটি অংশ থেকে এসেছে, যেখানে আমরা কোনো বস্তু কখনো দেখিনি। এই ধূমকেতুটি সৌরজগতের চেয়ে পুরোনো হওয়ার দুই-তৃতীয়াংশ সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি