শাপলা প্রতীক হিসেবে কেউ পাবে না: সিইসি
Published: 13th, July 2025 GMT
শাপলাকে নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে আবারো ইসির অবস্থান পরিষ্কার করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। রবিবার (১৩ জুলাই) বিবিসি বাংলা এ সাক্ষতকার প্রকাশ করেছে।
অনেকগুলো দল আপনাদের কাছে নিবন্ধন চেয়েছে। প্রায় দেড়শোর মতো। অনেকের সাইনবোর্ডও নাই। ঝড়ে উড়ে গেছে। এই নিবন্ধনের ব্যাপারে আপনারা কী করবেন? নির্বাচনের সময় তো খুব বেশি নেই এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের তো স্ক্রুটিনি (যাচাই বাছাই) শুরু হয়ে গেছে। আমরা সব আবেদন পর্যালোচনা করছি। যাদের যে ডকুমেন্টস শর্ট আছে, যাদের শর্ট আছে তাদেরকে আমরা ১৫ দিন সময় দেবো। সময় দেওয়ার পর যারা কন্ডিশন ফুলফিল করবে না তাদের তো আমরা রেজিস্ট্রেশন দিতে পারবো না। আইন অনুযায়ী যে শর্ত আছে সেটা পূরণ করলেই তারা নিবন্ধন পাবে।”
সময় স্বল্পতার বিষয়ে তিনি বলেন, “অসুবিধা নাই, আমাদের তো ফিল্ড অফিস আছে অনেক, ওরাই আমাদের রিপ্রেজেন্ট করে। ৫৭০০ লোক কাজ করে আমাদের ফিল্ডে। তাদের মাধ্যমে যাচাই বাছাই অলরেডি শুরু করে দিয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট আসা শুরু করেছে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছে। এটা নিয়ে একটা বিতর্কও আছে যেহেতু জাতীয় ফুলও শাপলা। এ বিষয়ে আপনারা কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিষয়টা আমরা খুব সিরিয়াসলি বিবেচনা করেছি আমাদের কমিশনে। আমাদের কমিশনের একটা সিদ্ধান্ত হলো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত কনসেনসাস (ঐকমত্য) ছাড়া নেই না। মেজরিটির মতামত নিয়েই করে থাকি। কারো ওপর চাপিয়ে দেই না কোনো কিছু। পাঁচজন মিলেই এই কমিশন। আগে মাহবুব তালুকদার সাহেব একদিকে কথা বলতেন, বাকিরা অন্যদিকে বলতেন। আমাদের এখানে শুনেছেন আমরা দলাদলি করেছি কখনো।”
“এই শাপলা নিয়েও আমরা অনেক ইনভেস্টিগেট করেছি, বিষয়টা এক্সামিন করেছি। কিছু আইনি বিষয় আছে এখানে। ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ নিয়ে একটা আইনই আছে। আরেকটা বিষয় আছে এখানে এনসিপি চেয়েছে, এর আগে নাগরিক ঐক্যও চেয়েছিল। নাগরিক ঐক্য চেয়েছিল, আট দশদিন আগে নাগরিক ঐক্যের একটা প্রতিনিধি দল এসেছিল। তাদের মেইন ফোকাস হলো শাপলা। তারা বলেছে আমরা শাপলা চেয়েছি আপনারা দেন নাই। আমরা ওদের আবেদন পেন্ডিং রেখেছি। উনারা বললেন যে দেখেন আমরা কিন্তু অনেক আগেই অ্যাপ্লাই করেছি, এনসিপি করেছে পরে। আমি একটা রেজিস্টার্ড দল। এনসিপি রেজিস্ট্রেশনই পায়নি। আমাদের আইন অনুযায়ী যারা আগে ক্লেম করবে তাদের দিতে হয়, সুতরাং সুযোগটা সীমিত। যদি দিতে হয় তাহলে নাগরিক ঐক্যকে দিতে হবে।”
আগে চেয়েছে তাদেরকে দেবেন? নাকি শাপলা প্রতীক দেবেন না এমন প্রশ্নে নাসির উদ্দিন বলেন, “কিছু আইনি ইস্যু আছে তো। এ জন্য কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি শাপলাকে আমরা প্রতীক হিসেবে রাখবো না। এটা কেউ পাচ্ছে না, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।”
আপনারা জামায়াতকে পূর্ববর্তী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটা আপনারা কোন প্রক্রিয়ায় করেছেন। সেটাও তো আপনাদের প্রতীকের তালিকায় ছিল না, বাদ দেওয়া হয়েছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাদ দেওয়া হয়েছিল তো কোর্টের একটা রায় ছিল তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য। সম্ভবত ২০১৩ সালে। নিবন্ধন বাতিল প্রতীকসহ হয়েছিল। তখন এটাকে আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। এখন আমরা অ্যাপিলেট ডিভিশনের জাজমেন্ট পেয়েছি।”
“আমরা যে অর্ডারে উনাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছি, যখন কোনো পার্টিকে রেজিস্ট্রেশন দেই তখন রেজিস্ট্রেশন প্লাস প্রতীক দিতে হয়। সুতারং ওনাদের যখন সার্টিফিকেট দিতে হয়, তখন ওখানে কিন্তু প্রতীকসহই ছিল এবং স্ট্যাটাস কো যখন হয়েছে তখন প্রতীকসহই স্ট্যাটাস কো হয়েছে।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র এনস প আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ড্রাইডক দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে: প্রেস উইং
চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডের পরিচালনার প্রথম সাত দিনে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। প্রেস উইং জানায়, প্রতিদিন গড়ে ২২৫ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেশি হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
রোববার প্রেস উইং আরও জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনালটি দীর্ঘদিন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত ৬ জুলাই ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ জুলাই থেকে এনসিটি টার্মিনালের দায়িত্ব গ্রহণ করে চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড। ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ৭ দিনে চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডের মাধ্যমে ১০টি জাহাজের কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে এনসিটির ৪ জেটিতে একযোগে ৪টি জাহাজে অপারেশন চলছে।
এর আগে ৭ দিনে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৯৫৬ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। পরবর্তী ৭ দিনে চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ১৮১ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সম্পন্ন করেছে।