ইশরাকের নামাজের সময়সূচি ও বিধান
Published: 7th, August 2025 GMT
ইশরাকের নামাজ ইসলামে একটি নফল নামাজ, যা ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয়ের কিছু সময় পরে আদায় করা হয়। এটি সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা (ঐচ্ছিক সুন্নত) হিসেবে বিবেচিত এবং এর ফজিলত অনেক।
মহানবী (সা.) এই নামাজের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি ও বিশেষ পুরস্কার অর্জন করতে পারেন।
ইশরাকের নামাজের সময়সূচিইশরাকের নামাজের সময় ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু হয় এবং সূর্যোদয়ের পর শেষ হয়। নিচে এর সময়সূচি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:
শুরুর সময় : ইশরাকের নামাজ সূর্যোদয়ের প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর থেকে শুরু হয়, যখন সূর্য সম্পূর্ণভাবে দিগন্তের উপরে উঠে যায়। এই সময়টি সাধারণত ফজরের নামাজের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে শুরু হয়। (ফিকহুস সুন্নাহ, সাইয়্যিদ সাবিক, পৃষ্ঠা: ১৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২০১৮)
ধরা যাক, ফজরের সময় ঢাকায় সকাল ৪:৩০ এ শুরু হয় এবং সূর্যোদয় ৫:৪৫ এ। তাহলে ইশরাকের নামাজ সকাল ৬:০০ থেকে শুরু করা যায়।
শেষ সময়: ইশরাকের নামাজ জোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে পড়তে হয়। সাধারণত সূর্যোদয়ের পর থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত এই নামাজ পড়া যায়। তবে, সর্বোত্তম সময় হলো সূর্যোদয়ের ১৫-৩০ মিনিট পর, যখন সূর্যের আলো পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়ে। (আল-লুলু ওয়াল মারজান, পৃষ্ঠা: ১৮৬, দারুল ইফতা প্রকাশনী, ২০০৫)
আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫সময় নির্ধারণের নীতিইশরাকের সময় স্থানভেদে ভিন্ন হয়, কারণ সূর্যোদয়ের সময় ভৌগোলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য স্থানীয় নামাজের সময়সূচি অনুসরণ করা উচিত। সূর্যোদয়ের ঠিক সময়ে নামাজ পড়া মাকরুহ, তাই সূর্য সম্পূর্ণভাবে ওঠার পর পড়া উচিত। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৮১)
ইশরাকের নামাজের বিধানরাকাত সংখ্যা: ইশরাকের নামাজ সর্বনিম্ন ২ রাকাত পড়া হয়। তবে, ৪ বা ততোধিক রাকাতও পড়া যায়, কারণ এটি নফল নামাজ।
প্রকৃতি: এটি সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা, অর্থাৎ ঐচ্ছিক সুন্নত। তবে নবীজি (সা.
নিয়ত: ইশরাকের নামাজের নিয়ত করা হয়, যেমন: “আমি ইশরাকের দুই রাকাত নফল নামাজ আল্লাহর জন্য আদায় করছি।” (ফাতাওয়া নূর আলা আদ-দারব, শাইখ ইবনে উসাইমিন, পৃষ্ঠা: ২০৮, দারুল ইফতা প্রকাশনী, ১৯৯৮)
ইশরাকের নামাজের ফজিলতইশরাকের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে। আলী ইবনে আবু তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাআতে পড়ে, তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে বসে থাকে এবং তারপর দুই রাকাত (ইশরাক) নামাজ পড়ে, তার জন্য একটি হজ্জ ও উমরাহর সওয়াব রয়েছে।” (সুনানে তিরমিজি, হাদিস:: ৫৮৬)
আরও পড়ুননামাজ আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির একটি ধাপ১৭ জুলাই ২০২৫ব্যবহারিক পরামর্শফজরের পর প্রস্তুতি: ফজরের নামাজের পর মসজিদে বা বাড়িতে জিকির করে সূর্যোদয়ের জন্য অপেক্ষা করা। এটি হাদিসে উল্লিখিত ফজিলত অর্জনের সুযোগ দেয়।
সময়ের পরিকল্পনা: সকালের ব্যস্ততার মধ্যে ইশরাকের জন্য ৫-১০ মিনিট সময় রাখা। সকাল ৬:০০-৬:৩০ এর মধ্যে এটি পড়া সুবিধাজনক।
শিশুদের শিক্ষা: পরিবারে শিশুদের ইশরাকের নামাজ শেখানো, যাতে তারা এই সুন্নাহর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে।
মানসিক প্রস্তুতি: ইশরাকের নামাজ পড়ার আগে আয়াতুল কুরসি বা সুরা ইখলাস পড়ে মনকে আধ্যাত্মিকভাবে প্রস্তুত করা।
সতর্কতামাকরুহ সময় এড়ানো: সূর্যোদয়ের ঠিক সময়ে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকা, কারণ এটি নিষিদ্ধ সময়। সূর্য সম্পূর্ণ উঠে যাওয়ার পর পড়া উচিত।
নিয়তের স্পষ্টতা: ইশরাকের নিয়ত স্পষ্টভাবে করা, যাতে এটি নফল হিসেবে গণ্য হয়।
নিয়মিততা: ইশরাকের নামাজ নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করা উচিত, বিশেষ করে সপ্তাহে কয়েকবার, যাতে সুন্নাহর পুরস্কার পাওয়া যায়। কারণ, আমল ধারাবাহিকভাবে করাও একটি সুন্নাত।
ইশরাকের নামাজের মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেন এবং এটি দিনের শুরুতে আধ্যাত্মিক শক্তি যোগায়। হাদিসে উল্লেখ আছে, ইশরাকের নামাজ একটি হজ্জ ও উমরাহর সমান পুরস্কার বয়ে আনে। এছাড়া, এটি মানসিক শান্তি ও দিনের কাজে বরকত আনে। (আল-ফিকহুল মুয়াসসার, মুহাম্মদ ইবনে সালিহ, পৃষ্ঠা: ১৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২০১৫)
আরও পড়ুনজীবনকে ছন্দে ফেরাবে ‘ধীর নামাজ’২৪ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইশর ক র ন ম জ র ফজর র ন ম জ র র ন ম জ র সময র সময স চ র জন য পর থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোটে ৪টির বেশি প্রশ্ন রাখার চিন্তা সরকারের
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে গণভোটে চারটির বেশি প্রশ্ন রাখার চিন্তা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ বেশির ভাগ দল একমত, সেগুলো নিয়ে একটি প্রশ্ন হবে। আর সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাসহ যেসব মৌলিক প্রস্তাবে বড় দল বিশেষ করে বিএনপির ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে আলাদা কয়েকটি প্রশ্ন থাকবে। সব মিলিয়ে গণভোটে চার-পাঁচটি প্রশ্ন রাখা হতে পারে। সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সরকার আশা করছে, এভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী তা মেনে নেবে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে।
সংবিধান-সংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাব খসড়া আদেশের তফসিলে রাখা হয়েছে। একটি আদেশ জারি করে গণভোট করার সুপারিশ ছিল ঐকমত্য কমিশনের। সেখানে একটিই প্রশ্ন রাখার সুপারিশ ছিল।৩০টি দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ৬টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ৮৪টি প্রস্তাবের মধ্যে ৪৮টি সংবিধান-সম্পর্কিত। এর মধ্যে অন্তত ৩০টি প্রস্তাবে কোনো না কোনো দলের ভিন্নমত আছে। সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ভিন্নমতের বিষয়টি রাখা হয়নি।
সংবিধান-সংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাব খসড়া আদেশের তফসিলে রাখা হয়েছে। একটি আদেশ জারি করে গণভোট করার সুপারিশ ছিল ঐকমত্য কমিশনের। সেখানে একটিই প্রশ্ন রাখার সুপারিশ ছিল। সেটি হলো, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং এর তফসিলে থাকা সংস্কার প্রস্তাবগুলো সমর্থন করেন কি না। গণভোটের সময় নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) না রাখায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বিএনপি। তারা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট চায়। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী সুপারিশ নিয়ে ইতিবাচক হলেও আগে গণভোট চায়। এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে কিছু পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভিন্নমত থাকা ১৮টি সংস্কার প্রস্তাবের সব কটি তিন-চারটি প্রশ্নের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। তা সম্ভব না হলে কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হতে পারে।প্রশ্নগুলো কী হতে পারেসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংবিধান-সংক্রান্ত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ৩০টি প্রস্তাবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশির ভাগ দল একমত। এগুলো নিয়ে গণভোটে একটি প্যাকেজ প্রশ্ন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। সেখানে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হবে এই ৩০টি সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না। এর বাইরে ১৮টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বড় ধরনের মতবিরোধ আছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব। এগুলো নিয়ে গণভোটে আলাদা তিন-চারটি প্রশ্ন করার চিন্তা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মতবিরোধ থাকা প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আছে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন। গণভোটে আলাদা একটি প্রশ্ন করা হবে, পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন চান কি না। আরেকটি প্রশ্ন রাখা হতে পারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যেভাবে প্রস্তাব করেছে, সেভাবে বাস্তবায়ন চান কি না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করা হবে। এরপর ওই আদেশ ও ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে হবে গণভোট।ন্যায়পাল নিয়োগ, সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) নিয়োগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগ নিয়ে আলাদা একটি প্রশ্ন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হোক তা চান কি না, এমন একটি প্রশ্ন রাখা হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভিন্নমত থাকা ১৮টি সংস্কার প্রস্তাবের সব কটি তিন-চারটি প্রশ্নের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। তা সম্ভব না হলে কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হতে পারে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করা হবে। এরপর ওই আদেশ ও ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে হবে গণভোট। গণভোটে হ্যাঁ জয়ী হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। বিকল্প সুপারিশে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে সংসদ সংবিধান সংস্কারে ব্যর্থ হলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে।
সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন।আসিফ নজরুল, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টাআইন উপদেষ্টা যা বললেনআগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন।’
গতকাল বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ সংশোধন বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে এটা আলোচনা করছি। সব দলের প্রত্যাশার প্রতি সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার, সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি।’
এর আগে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা। বক্তব্যে তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন এত আলোচনা করেছে, অথচ সংস্কার নেই, পণ্ডশ্রম হয়েছে, এমন দোষ দেওয়া হচ্ছে। অপপ্রচারের মাত্রা এমন জায়গায় চলে গেছে যে ২৫ লাখ টাকা খাবারের বিল বানিয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। সবকিছুতে সীমা থাকা উচিত।
সংস্কার বাস্তবায়নে আমলাতন্ত্রের বিরোধিতার মুখে পড়ার কথাও বলেন আইন উপদেষ্টা। পুলিশ সংস্কার কমিশন আইনের খসড়া তৈরির অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই আইন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করার কথা ছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেওয়ার পর তারা এটি প্রস্তুত করেছে। আইনটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল যে কমিশন তিনজন আইজিপির নাম প্রস্তাব করবে এবং সরকার সেই তিনজনের মধ্য থেকে একজনকে আইজিপি পদে নিয়োগ দেবে। যখন আইনটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটিতে পাঠানো হয়, তখন আমলাতন্ত্র প্রচণ্ডভাবে আইনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়।