নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সার্চ সেবা চ্যাটজিপিটি সার্চে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে ওপেনএআই। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, নতুন এই পরিবর্তনের ফলে গুগলের এআই মোডের মতো যেকোনো ওয়েবসাইটের লিংক সংক্ষেপে উপস্থাপন করতে পারবে চ্যাটজিপিটি। ব্যবহারকারীরা চাইলে সার্চ করার সময় সরাসরি সেই লিংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশও করতে পারবেন। ফলে চ্যাটজিপিটি সার্চের নির্ভুলতা ও নির্ভরযোগ্যতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

ওপেনএআইয়ের দাবি, নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে চ্যাটজিপিটি সার্চে ভ্রান্ত তথ্য দেখার প্রবণতা অনেক কমে গেছে। ফলে ব্যবহারকারীরা আগের তুলনায় আরও মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য উত্তর জানতে পারছেন। কেনাকাটার করার ক্ষেত্রেও সুবিধাটি এখন আগের চেয়ে বেশি কার্যকর। ব্যবহারকারী যদি পণ্য অনুসন্ধান করেন, তখন প্রাসঙ্গিক পণ্যের তথ্য দেখানো হবে। আর যদি অনুসন্ধান পণ্যসংক্রান্ত না হয়, তবে অপ্রাসঙ্গিক কিছু না দেখিয়ে শুধু প্রয়োজনীয় তথ্যই উপস্থাপন করা হবে। পাশাপাশি উত্তরগুলো আগের তুলনায় আরও পরিপাটি ও পাঠকবান্ধবভাবে সাজানো হবে, যাতে দ্রুত বোঝা যায় এবং তথ্যের বিস্তারিত ও গুণগত মান অক্ষুণ্ন থাকে।

চ্যাটজিপিটি সার্চের পাশাপাশি নিজেদের সর্বশেষ এআই মডেল জিপিটি৫-এ একাধিক নতুন সুবিধা চালু করেছে ওপেনএআই, যার মধ্যে টগল অপশন অন্যতম। টগলটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন স্তরের বিশ্লেষণী ক্ষমতা বেছে নিতে পারবেন। ওপেনএআই এই স্তরগুলোকে অভ্যন্তরীণভাবে ‘জুস ভ্যালু’ নামে উল্লেখ করছে।

ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, চ্যাটজিপিটির ওয়েব সার্চ-সুবিধা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ইন্টারনেটে আরও সহজে কাঙ্ক্ষিত ও প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। চ্যাটজিপিটির ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাকওএস ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা যেকোনো যন্ত্র থেকে এ সুবিধা ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ওপেনএআই আনছে পকেট আকারের এআই যন্ত্র

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি ওপেনএআই নতুন এক যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপলের শীর্ষ সরবরাহকারী লাক্সশেয়ারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনফরমেশনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। যন্ত্রটি এখনো নমুনা পর্যায়ে রয়েছে। পকেট আকারের এ গ্যাজেট ব্যবহারকারীর প্রেক্ষাপট বুঝে কাজ করতে পারবে এবং সরাসরি ওপেনএআইয়ের নিজস্ব এআই মডেলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। আইফোন ও এয়ারপড তৈরির জন্য পরিচিত লাক্সশেয়ার এ প্রকল্পে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদনের সুবিধা দেবে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ স্মার্টফোন ও প্রচলিত যন্ত্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। ব্যবহারকারীরা এ যন্ত্রের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা পাবেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওপেনএআইয়ের এই পণ্য বাজারে এলে সরাসরি প্রতিযোগিতা তৈরি হবে অ্যাপল, স্যামসাং ও গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি নির্মাতাদের সঙ্গে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ওপেনএআই চীনা প্রতিষ্ঠান গোরটেকের সঙ্গেও আলোচনা করছে। এয়ারপড, হোমপড ও অ্যাপল ওয়াচ তৈরিতে অভিজ্ঞ এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্পিকার মডিউলসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সরবরাহ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদক্ষেপ এআইভিত্তিক কোম্পানিগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ও সম্ভাবনার মধ্যে একটি। কারণ, এখানে বিদ্যমান প্ল্যাটফর্ম স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের ওপর নির্ভর না করে সম্পূর্ণ নতুন ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছে ওপেনএআই।

এর আগে ওপেনএআই ৬৫০ কোটি ডলারে (৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন) অ্যাপলের সাবেক প্রধান ডিজাইনার জনি আইভ প্রতিষ্ঠিত হার্ডওয়্যার কোম্পানি ‘আইও প্রোডাক্টস’ অধিগ্রহণ করে। এ চুক্তির মাধ্যমে জনি আইভ ও তার সাবেক অ্যাপল ডিজাইন দলকে নিজেদের দলে টেনে নেয় ওপেনএআই। বর্তমানে ওপেনএআইয়ের নতুন যন্ত্রের নকশার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনি আইভ। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের কনজ্যুমার ডিভাইস তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন। প্রথম পণ্যটি ২০২৬ সালে বাজারে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান আশাবাদী, প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ১০ কোটি (১০০ মিলিয়ন) এআই ডিভাইস বিক্রি করতে পারবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওপেনএআই আনছে পকেট আকারের এআই যন্ত্র