সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের মামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের চার নেতা কারাগারে
Published: 22nd, September 2025 GMT
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় করা মামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের চার নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এর আগে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামিরা।
কারাবন্দী নেতারা হলেন গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সুমন শিকদার, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খান। জাহিদ খান সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
আরও পড়ুনজাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ, নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল১৪ জুন ২০২৫বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আশিক উদ্দিন বলেন, ওই চারজন উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিন শেষে আজ সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৪ জুন সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ফেরার পথে গোয়াইনঘাটের বল্লাঘাট এলাকায় তাঁদের গাড়িবহর আটকে দেন বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। এ সময় জাফলংসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো চালুর দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা। এ ঘটনায় করা মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন ১৫ জুন রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক ওবায়েদ উল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় সরকারি কাজে বাধাদান, গাড়ি আটক ও অবরোধের অভিযোগ আনা হয়। এতে ৯ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
আরও পড়ুনসিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা, আসামি ১৫৯১৫ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ই উপদ ষ ট র গ ড় ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বক্তাবলীর মুর্শিদাকে কারাগারে প্রেরণ
প্রতারনা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফতুল্লার বক্তাবলীর মুর্শিদা বেগম (৪৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে মুর্শিদাকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারাগারে থাকা মুর্শিদা বেগম ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের রামনগর এলাকার মৃত আবুল হোসেন ওরফে কসাই আবুলের স্ত্রী। সে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল্লাহর ভাইয়ের স্ত্রী বলেও জানা গেছে।
আদালত এবং রাবেয়ার দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়নের চর রাজাপুর এলাকার আজিজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের সাথে মুর্শিদার সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদে বিগত ২০২১ সালে রাবেয়ার কাছে মুর্শিদা তার বাড়ি বিক্রির প্রস্তাব দেয়।
এতে রাবেয়া রাজি হলে তার কাছ থেকে বায়না বাবদ ১১ লাখ টাকা গ্রহণ করে মুর্শিদা। টাকা নেয়ার প্রায় এক বছরের বেশি সময় পাড় হয়ে গেলেও মুর্শিদা তার বাড়ি দলিল করে দেয়ার বিষয় কিছু না বলায় রাবেয়া টাকার জন্য চাপ দেয়।
তাতে করে বাড়ির দলিল না করে দিয়ে রাবেয়াকে ১১ লাখ টাকার চেক প্রদান করে মুর্শিদা। পরে রাবেয়া মুর্শিদার বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করে।
মামলার একপর্যায়ে মুর্শিদার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ যুগ্ম দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এর ৩য় আদালতে রায় ঘোষণা করেন। বিজ্ঞ আদালত মুর্শিদাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
পরে বিজ্ঞ আদালতে মুর্শিদা আদালতে অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে জামিন নেয়। কিন্তু আদালতে বাকী টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তা না করে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে মুর্শিদা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এদিকে রাবেয়া অভিযোগ করেন সম্প্রতি মুর্শিদার কাছে টাকা চাইতে গেলে বিগত আওয়ামী লীগ শাসন আমলে সন্ত্রাসী দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এমনকি আমার ১১ লাখ টাকা আত্মসাত করতে মুর্শিদা আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
আর চেক ডিজঅনার মামলায় তাকে এক বছরের সাজা দেয় আদালত। সেই মামলায় মুর্শিদা কারাগারে রয়েছে। আদালতের কাছে আমি সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি এবং পাওনা টাকা যাতে দ্রুত পাই সেই ব্যবস্থা যেন করা হয়।
মামলার বাদী রাবেয়ার আইনজীবী সাইদুর রহমান সাব্বির জানান, মুর্শিদা একটা প্রতারক। রাবেয়ার কাছে জমি বিক্রি করার কথা বলে ১১ লাখ টাকা নিয়ে নানা তালবাহানা করে।
একপর্যায়ে মুর্শিদার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষ্য প্রমান থাকায় সেই মামলায় বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেন এবং মুর্শিদাকে এক বছরের সাজা এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আর সেই মামলায় মুর্শিদা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।