জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ময়নাতদন্তে স্পষ্ট হয়েছে, পানিতে ডুবেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁকে কি জোর করে পানিতে নামতে বাধ্য করা হয়েছিল? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনুরাগীরা।

ঘটনার আগে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা এখনো যাচাই হয়নি।

পার্টি থেকে সমুদ্রে

ঘটনার আগের রাতে একটি পার্টির আয়োজন করেছিলেন সন্দীপন গার্গ, শেখর গোস্বামী ও গায়কের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সিদ্ধার্থ শর্মা। সেখানে মদ্যপানের ব্যবস্থাও ছিল বলে জানা গেছে। পরদিন সকালে তাঁরা সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা হন। জুবিনও ছিলেন সঙ্গে।

গায়কের কাছের মানুষেরা বলছেন, পানিতে নামতে ভয় পেতেন তিনি। তা সত্ত্বেও তাঁকে স্কুবা ডাইভিং করতে বলা হলো কেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সঙ্গে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল না বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনজুবিন গার্গের শেষযাত্রায় আসাম যেন থমকে গেল৫ ঘণ্টা আগেজুবিন গার্গ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে গ্যারেজে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, লুট : আহত ৪    

বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ৪ যুবক  জখমসহ গ্যারেজ ভাংচুর চালিয়ে অটোগাড়ী ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ৩ দিন পর এ ব্যাপারে আহতের বড় বোন সিমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে  হামলাকারি সন্ত্রাসী ইফতি, আসলাম, আওলাদ, আজিজ, রোহান ও বিনা বেগমের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ও একই দিন রাত সাড়ে ৯টায় বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের  সোনাকান্দা কেল্লা সংলগ্ন পাঁকা রাস্তার উপরে দুই দফা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো বন্দর থানার সোনাকান্দা কড়ইতলা এলাকার তাহের আলী মিয়ার ছেলে দেবর সাইফুল (২৫) একই থানার বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকার রিজন মিয়ার ছেলে এলাহি (২৩) সোনাকান্দা কড়ইতলা এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে সুজন (২৫) ও রুপালী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা লিমন (৩০)।

স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে  বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪ জনের মধ্যে  গুরুত্বর জখম এলাহিকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক এলাহিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শ্যামলী প্রাইমা অর্থোপেডিক হাসপাতলে প্রেরণ করে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া এলাকার তাহের আলী ছেলে ও অভিযোগের বাদিনী দেবর সাইফুলের সাথে মোবাইল বিক্রি টাকা নিয়ে একই এলাকার আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে প্রতিপক্ষ  ইফতি একই এলাকার মৃত সাহাদাত মিয়ার ছেলে আসলাম একই এলাকার মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে তাওলাদ, মানিক মিয়ার ছেলে আজিজ ও তার স্ত্রী বিনা বেগম ও  ছেলে রোহানের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।

উল্লেখিত বিরোধের জের ধরে লেডি সন্ত্রাসী বিনা বেগমের হুকুমে ইফতি, আসলাম, তাওলাদ, আজিজ ও তার ছেলে রোহানসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অভিযোগের বাদিনী দেবর সাইফুলের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।

লোক মারফতে খবর পেয়ে বাদিনীর  ছোট ভাই মোঃ এলাহি (২৫) ঘটনাস্থলে আসলে ওই  সময় ৫নং বিবাদী বিনা বেগমের হুকুমে ১নং বিবাদী ইফতি বাদিনীর  ভাই এলাহিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে বাম হাতের কুনুইয়ে কোপ দিয়ে হাতের এপার ওপারে করে ফেলে এবং ও ৬নং বিবাদী ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে কোপ দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালির উপরে মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করে।

এ ছাড়াও বিবাদী আসলাম, তাওলাদ, আজিজ ও তার স্ত্রী বিনা বেগমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অটো গ্যারেজে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটো যাহার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও একটি রানার ব্রান্ডের মোটরসাইকেল যাহার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার  টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আহত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে  বর্তমানে আহত যুবক এহাহি মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা শ্যামলী প্রাইমা অর্থোপেডিক হাসপাতলে আইসিওতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। তার অবস্থা আংশকাজনক বলে আরো জানা গেছে। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ