বিমান ভূপাতিত আর ‘৬-০’ ইঙ্গিতে কী বোঝালেন হারিস রউফ
Published: 22nd, September 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আগের সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। তাই বলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল মুখোমুখি হবে, কিন্তু বিতর্কিত ঘটনা ঘটবে না, এমনটা কল্পনাও করা যায় না।
দুবাইয়ে কাল রাতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে যেমন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন হারিস রউফ। বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিং করার সময় পাকিস্তানের এই ফাস্ট বোলার গ্যালারিতে থাকা ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশে ‘৬-০’ ও ‘ফাইটার জেট ক্র্যাশ’ প্রদর্শন করেছেন।
স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে হারিস রউফের এমন কাণ্ডের সমালোচনা করা হচ্ছে আর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটিকে দেখা হচ্ছে ট্রল হিসেবে।
এখন প্রশ্ন হলো হাতের আঙুল দিয়ে ‘৬-০’ ও অঙ্গভঙ্গিতে ‘ফাইটার জেট ক্র্যাশ’ প্রদর্শন করে হারিস রউফ আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত এপ্রিলে হামলার ঘটনা নিশ্চয় মনে আছে! যার জেরে মে মাসে সামরিক সংঘাতে জড়িয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। কদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের বরফ এখনো গলেনি। বরং সেটির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটে।
সামরিক সংঘাতের পর দুই দেশই নিজেদের জয়ী দাবি করে। পাকিস্তান সরকার জানায়, তারা ভারতীয় বিমানবাহিনীর ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। বিপরীতে, ভারতের হামলায় পাকিস্তানের কোনো বিমানের ক্ষতি হয়নি। রউফ তাঁর ‘৬-০’ ও ‘ফাইটার জেট ক্র্যাশ’-এর অঙ্গভঙ্গিতে ভারতীয় সমর্থকদের সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।
উসকানিটা অবশ্য ভারতীয় সমর্থকেরাই আগে দিয়েছিলেন। রউফ বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিং করতে গেলেই তারা ‘কোহলি-কোহলি’ বলে চিৎকার করছিলেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেদিন ভারতকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন বিরাট কোহলি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ র স রউফ
এছাড়াও পড়ুন:
আলোচনার জন্য মির্জা ফখরুলকে জামায়াত নেতা তাহেরের ফোন
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে আলোচনার জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। বিএনপির মহাসচিব বিষয়টি নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে তুলেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে বিকেলে জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করে আলোচনায় বসার বিষয়ে কথা বলেছেন। বিএনপির মহাসচিব দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে তাঁদের জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
গত ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রস্তাব জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের সঙ্গে ওই প্রস্তাবের তফসিলে উল্লেখিত সনদের নানা অসংগতি রয়েছে জানিয়ে তাতে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। এ ছাড়া সনদ বাস্তবায়নে গণভোট কবে হবে, তা নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।
বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার পক্ষে। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামী চায়, আগে গণভোট করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার পর তার আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে জুলাই সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত রোববার উপদেষ্টা পরিষদের এক সভা থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো যদি এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাবিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের সভাপতিত্বে রাতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ ও বিস্তারিত আলোচনা শেষে কিছু বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ (ভিন্নমত) যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ১৭ অক্টোবর যে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে, তার অংশীদার হিসেবে সনদে বর্ণিত সব বিষয় ধারণ করে বিএনপি। দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সর্বসম্মতভাবে গৃহীত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে নতুন প্রশ্ন কিংবা সংকট সৃষ্টির সব অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে বিএনপি। দলটি মনে করে, দীর্ঘ আলোচনায় উপনীত ঐকমত্য বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং কোনো মতেই নিত্যনতুন প্রশ্ন উত্থাপন কিংবা সংকট সৃষ্টি করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জুলাই জাতীয় সনদের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তার আইনানুগ বাস্তবায়নের জন্য এবং যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আন্তরিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।