চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন মাস্ক খুলেছেন ক্লিনার, অভিযোগ মৃতের স্বজনদের
Published: 22nd, September 2025 GMT
অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেখ সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত সাইফুল ইসলাম নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগিপোল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শেখ ইসমাইলের ছেলে।
রোগীর স্বজনেরা জানান, কিডনি জটিলতায় গত শনিবার সাইফুলকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, পরদিন সকালে ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং কর্মচারী (ক্লিনার) আব্দুল জব্বার অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে সিলিন্ডারসহ আরেক রোগীকে দেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে সাইফুল ইসলাম মারা যান।
সাইফুলের মা রশিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাতভর দৌড়াদৌড়ি করে ছেলেকে অক্সিজেন দিয়েছিলাম। কিন্তু, সকালে ক্লিনার অক্সিজেন খুলে নেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ছেলে মারা যায়।’’
মৃতের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই ক্লিনার অক্সিজেন খুলেছেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে ছটফট করতে করতে আমার ভাই মারা গেছে।’’
ওয়ার্ডে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক ব্যক্তি এসে সাইফুলের নাক থেকে নল খুলে সিলিন্ডার নিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আউটসোর্সিং কর্মচারী আব্দুল জব্বার বলেন, ‘‘একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেওয়ার জন্য অক্সিজেন খুলে নেওয়া হয়েছিল।’’
খুমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
বিশ্বসেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’ এর যৌথ জরিপে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন:
মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
তারা হলেন, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান দুর্যোগ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অভিজিৎ ঘোষ।
ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টর ড.ফেরদৌস রহমান বলেন, “এটা অবশ্যই একটা আনন্দের খবর। শিক্ষক হিসেবে বড় পাওয়া। আমার শিক্ষার্থীরা আমাকে সহযোগিতা করেছে। তাদের কাছে আমি ঋণী। আমি চাই এ সংখ্যাটা যেন দীর্ঘ হয়। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরব ও আনন্দের। সামনে দিনে অনেকে জায়গা করে নিবে এই কামনা করছি।”
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার খুবই ভালো লাগছে, একজন শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে আছে। এটা আমার পরিশ্রমের প্রতিফল। আশা করি, ভবিষ্যতে আমার অনেক সহকর্মী এতে অন্তর্ভুক্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি ছড়াবে।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, “বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পাওয়া সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি গবেষণায় তাদের আরো উদ্বুদ্ধ করব, যাতে গবেষণার ক্ষেত্র তারা প্রসারিত করেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সমৃদ্ধ হয় এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে ভালো একটি অবস্থান অর্জন করতে পারে।”
এলসেভিয়ার প্রতি বছর প্রায় ২ হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি এবং এর আর্কাইভে ৭০ লাখের বেশি প্রকাশনা রয়েছে।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী