প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে
Published: 22nd, September 2025 GMT
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পথে রয়েছে। দ্রুতই তা ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসির নবনিযুক্ত জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
‘প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট অ্যাপ প্রস্তুত, নিবন্ধিতরা পাবেন ভোটের সুযোগ’
জাপানে জনশক্তি রপ্তানি বাড়াতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত সরকারের
রুহুল আমিন মল্লিক বলেছেন, প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের জন্য ‘ওসিভি’ (আউট অব কান্ট্রি ভোটিং) প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় কীভাবে প্রবাসী ভোটাররা নিবন্ধন করবেন এবং ভোট দেবেন, তার একটি খসড়া ইতোমধ্যে কমিশনে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, আজ বিকেলের মধ্যেই অনুমোদন মিলবে। অনুমোদন পেলেই নিবন্ধন পদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক আরো জানান, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এজন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি‘ নামে একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। প্রবাসী ভোটাররা ওই অ্যাপে নিবন্ধন করবেন। এরপর নির্বাচন কমিশন তাদের কাছে ব্যালট পাঠাবে এবং সংশ্লিষ্ট ভোটার তা পূরণ করে নিকটস্থ পোস্টবক্সে জমা দেবেন।
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি অভিজ্ঞতা। তাই, ভোটের পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে ব্যাপক প্রচার দরকার হবে। জনগণ যত বেশি সচেতন হবেন, প্রক্রিয়া তত সহজ হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, কেবল প্রবাসী ভোটাররা নন, পোস্টাল ব্যালট সুবিধা পাবেন দেশে অবস্থানরত কয়েদি এবং নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি চাকরিজীবীরাও।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে কমিশন। এ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স ন বন ধ প রব স র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রান্নায় তেল ব্যবহার কমানোর ৭টি উপায়
সাধারণ খাবার, যেমন ভাত–রুটির মতো বিভিন্ন শর্করা এবং মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল, বাদাম, বীজের মতো প্রোটিন থেকেই দৈনিক চাহিদার অনেকটুকু তেল পাই আমরা। ফলে রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করার খুব বেশি দরকার আর থাকে না।
একটি পরিবারে পাঁচ সদস্য থাকলে দৈনিক রান্নায় ভোজ্যতেলের প্রয়োজন হবে ২০–২৫ মিলিলিটার। তার মানে চাইলে এমন পরিবারে মাসে এক লিটারের কম তেল (৭৫০ মিলিলিটারের মতো) ব্যবহার করা যায়।
১ গ্রাম তেল বা চর্বি থেকে ৯ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। অধিক তেল-চর্বি খাওয়া মানে অধিক ক্যালরি। এ ছাড়া উচ্চতাপ দিয়ে রান্না ভোজ্যতেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
কীভাবে তেল ব্যবহার কমানো যায়১. ননস্টিক পাত্র বা ফ্রাইপ্যানে সামান্য পরিমাণ তেল ব্রাশ করে, ঢাকনা ব্যবহার করে সহজেই রান্না করা যায়। এ ছাড়া আজকাল রোস্টিং প্যান বা এয়ার ফ্রায়ারও ব্যবহার করা হয় কম তেলে রান্নার জন্য।
২. অনেক খাবার তেল দিয়ে কষিয়ে অথবা ডুবোতেলে না ভেজে তেল ছাড়া বা খুব সামান্য তেল ব্যবহার করে বেক করে নেওয়া যায়। প্রয়োজনে মাছ-মাংস ও সবজি সেদ্ধ বা ভাপিয়ে নিয়ে তারপর পছন্দ অনুযায়ী উপকরণ মিশিয়ে বেক করে নিলে তেলের ব্যবহার সীমিত করা যায়।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জের এই বাড়ি স্থাপত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে স্বর্ণপদক জিতেছে২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫৩. বোতল থেকে সরাসরি রান্নার পাত্রে তেল না ঢেলে দিয়ে চামচ দিয়ে মেপে নিন। এতে দৈনিক হিসাব রাখা সহজ হবে।
৪. খাবার রান্না করার সময় যেসব মসলা সচরাচর ব্যবহার করা হয়, সেসব তেলের বদলে একটু একটু করে পানি দিয়ে কষিয়ে নিয়েও তেলের ব্যবহার কমানো যায়।
বোতল থেকে সরাসরি রান্নার পাত্রে তেল না ঢেলে দিয়ে চামচ দিয়ে মেপে নিন