সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত হলে কালই নির্বাচন দেন: রেজাউল করীম
Published: 22nd, September 2025 GMT
জুলাই বিপ্লবের অঙ্গীকার নিয়ে সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত হলে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আগামীকালই নির্বাচন দেন।
তবে তিনি পিআর পদ্ধতিতে এই নির্বাচন চেয়েছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়ে গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন আমাদের প্রধান কর্মসূচি। কিন্তু বিদ্যমান পদ্ধতির নির্বাচনে আমরা ডামি ভোট, রাতের ভোট দেখেছি। এই নির্বাচনী ব্যবস্থা হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট জন্ম দিয়েছে। ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত এই পদ্ধতিতে আমরা আর কোনো নির্বাচন চাই না। আমরা এমন পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই যার মাধ্যমে আর কোনো ফ্যাসিস্ট জন্ম নেবে না। আপনারা জানেন, সেই পদ্ধতি হলো পিআর। এই সরকারের প্রধান তিনটি অঙ্গিকার ছিল- সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত হলে আগামীকালই নির্বাচন দেন।’’
‘‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি। বরং দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, আর হাজার কোটি টাকা পাচার হতে দেখেছি। হাসিনার আমলে আইয়াতে জাহেলিয়াতের বর্বরতা দেখেছি। ৫ আগস্ট আমাদের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়নি, বিচারও দৃশ্যমান না। এমন বাস্তবতায় পুরনো বন্দোবস্তের নির্বাচন নিয়ে এত মাতামাতির অর্থ কি?’’ প্রশ্ন রাখেন চরমোনাই পীর।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি স্পষ্ট। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে জুলাই বিপ্লবীদের ফাঁসির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।’’
রেজাউল করীম আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘বিএনপির এক নেতা আমাদের সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শিষ্টাচার বহির্ভূত। তাকে বলব, ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমাদের কী ভূমিকা তা মির্জা ফখরুল ইসলাম বা বরকতুল্লাহ বুলু সাহেবের কাছে জিজ্ঞাসা করুন।’’
গণসমাবেশ থেকে ঢাকা-১০ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে আব্দুল আউয়ালের নাম ঘোষণা করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘‘দেশে অনেক দলের শাসন দেখেছেন। কিন্তু ইসলামের শাসন দেখেন নায়। এবার ইসলামকে সুযোগ দিয়ে দেখেন, আপনাদের হাজার বছরের লালিত আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে ইনশাআল্লাহ।’’
আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, কে এম শরীয়াতুল্লাহ প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপে ফ্রান্স
কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের জায়গা নিশ্চিত করল ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করেন দুটি গোল। আর এই দুই গোলেই তার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ৪০০-এর মাইলফলক।
শেষ ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় সাতে। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পের দুই গোলের মাঝখানে বায়ার্ন মিউনিখের মাইকেল অলিসে করেন একটি গোল, আর শেষদিকে স্কোরলাইনকে আরও সুন্দর করে তোলেন লিভারপুলের হুগো একিটিকে।
আরো পড়ুন:
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্স দলে ফিরলেন এন’গোলো কান্তে
ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ কেপ ভার্দের ‘বিশ্বকাপ’ স্বপ্ন ছোঁয়ার ইতিহাস
যদিও ম্যাচজুড়ে ফ্রান্সকে বারবার থামিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের রক্ষণ। বিশেষ করে দিদিয়ের দেশমের জন্য এটি ছিল প্যারিসে তার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। কারণ, বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব ছাড়বেন ফরাসি কোচ। তাই ম্যাচে ছন্দের ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
৫৫ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। এমবাপ্পের প্যানেনকা পেনাল্টি ভেঙে দেয় ইউক্রেনের প্রতিরোধ। সেই গোল থেকেই শুরু হয় প্যারিসের উল্লাস।
তারপর অলিসের চমৎকার টার্ন নিয়ে নেওয়া শট ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত করে। আর শেষ দশ মিনিটে এমবাপ্পে ও একিটিকে স্কোরলাইনে আরও রঙ যোগ করেন।
এই হারে ‘গ্রুপ-ডি’ থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে ইউক্রেন। ম্যাচে তারা একটিমাত্র শট নিতে পেরেছিল, যা ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইন্যাঁকে কোনো ভাবেই পরীক্ষা করতে পারেনি। শুরু থেকেই তাদের পরিকল্পনা ছিল ফ্রান্সকে অস্বস্তিতে রাখা এবং প্রায় এক ঘণ্টা সেটিতে সফলও হয়েছিল তারা।
বিরতির ঠিক আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে যখন ব্র্যাডলি বারকোলার দুর্দান্ত বাঁকানো শট ইউক্রেন গোলরক্ষক ত্রুবিন পোস্টে ঠেকিয়ে দেন।
তবে এমন প্রতিভাবান একটি দলকে বেশি সময় আটকানো কঠিন। বারকোলার দারুণ দৌড়ের পর অলিসেকে ফাউল করেন তারাস মিখাভকো। স্পট কিকে তখন এমবাপ্পের সামনে শুধু নরম চিপে বল পাঠিয়ে দেওয়ার কাজটা বাকি ছিল।
কিছুক্ষণ পর এন’গোলো কান্তের প্রেসিংয়ে ইউক্রেনের ডিফেন্স বল হারালে আবার সুযোগ আসে ফ্রান্সের। কান্তে বল বাড়ান অলিসেকে। তিনি ডান পা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাম পায়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে চমকপ্রদ শটে গোল করেন।
শেষদিকে আবার জ্বলে ওঠেন এমবাপ্পে। শুরু এবং শেষ- দুটোরই সঙ্গী তিনি। এ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২০ ম্যাচে তার এটি ২৩তম গোল এবং ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল। আর ৮৮ মিনিটে অধিনায়ক এমবাপ্পের দেওয়া থ্রু পাস থেকে একিটিকে করেন দলের চতুর্থ গোল।
ফলাফল- ফ্রান্স নিশ্চিত করল বিশ্বকাপ। আর প্যারিসে রাতে আবারও গর্জে উঠল ‘আলেলে লে ব্ল্যু’।
ঢাকা/আমিনুল